জনৈক ইস্রায়েলীর গুপ্তহত্যা ও এক গাভী কাহিনী


ঐশী কিতাব কোরআনের ২য় অধ্যায়ের শিরোনাম আল-বাকারা। এরূপ নামকরণের কারণ এই যে, এই অধ্যায়ে খোদা এমন এক কাহিনী বর্ণনা করেছেন যা ঘটেছিল নবী মূসার জমানায়। আর এ ঘটনার উল্লেখ করে নবী মুহম্মদ তার শিষ্যদের সতর্ক করেন এই বলে-

আবু হুরায়রা বলেন- আমি রসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি: “যা আমি তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ করেছি তা এড়িয়ে চলবে, যা আদেশ করেছি, যতবেশী পার তা করবে। অতিরিক্ত প্রশ্ন এবং নবীদের সাথে তাদের মতপার্থক্য বিগতদেরকে ধ্বংস করেছে।”-[বুখারী, মুসলিম, নওয়াবী]


মূলত: যে কাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এ হাদিস, তা এই- ইস্রায়েলী এক ধনী ব্যক্তির অনিন্দ্য সুন্দর এক কন্যা ছিল। কোন পুত্র সন্তান না থাকাতে, রীতি অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারী ছিল তার ভাতিজা- যে ছিল চাল-চূলোহীন। ভাতিজা তার চাচাত বোনকে বিবাহ করার স্বপ্নে বিভোর ছিল। কিন্তু চাচা বিষয়টি জানতে পেরে সম্পর্কটির সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দিলেন। ভাতিজা দমে যাবার পাত্র ছিল না, সে যে কোনভাবে তার লক্ষ্য পূরণ করতে চাইল। কিন্তু কোনপথ খোলা নেই দেখে সে পিথিয়ার [দেবতার সেবাদাসী, মন্দিরের নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে মনের কথা ব্যক্ত করলে তার মাধ্যমে দ্বৈববাণী পাওয়া যেত]  স্মরণাপন্ন হল। পিথিয়া তাকে জানাল- “তোমার চাচার হায়াত রয়েছে, সহসা মরবে বলে মনে হচ্ছে না। সুতরাং যদি তুমি তোমার চাচাত বোনকে বিয়ে করতেই চাও, তবে তাকে হত্যা করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।” কিভাবে হত্যা করতে হবে এবং হত্যাকারীর সন্দেহ তালিকা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে- এ বিষয়েও পিথিয়া তাকে বিস্তারিত পরামর্শ দিল।


আর ঐ পরামর্শ বাস্তবায়নের সুযোগও এসে গেল। ইস্রায়েলী এক গোত্রের লোকজন দ্রব্য-সামগ্রী দান করার জন্যে এল। তখন ভাতিজা তার চাচাকে বলল, “হে চাচা! ইস্রায়েলী এক গোত্রের লোকেরা দ্রব্য-সামগ্রী দান করার জন্যে এসেছে। আপনি যদি আমার সাথে সেখানে যান, তবে আপনার প্রভাবে আমিও কিছু দান পেতে পারি।”


ভাতিজার প্রস্তাবে চাচা সম্মত হল। তারা উভয়ে রাতের অন্ধকারে চলল। যে বস্তিতে তারা বসবাস করত লোকজন দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে সেই বস্তিতে নয়, অন্য বস্তিতে এসেছিল। যখন তারা নিজ বস্তি পার হয়ে উক্ত বস্তির কাছাকাছি পৌঁছিল, ভাতিজা চাচাকে আক্রমণ করল এবং হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে বাড়ীতে চলে এল।


পরদিন প্রত্যুষে বস্তির সদর দ্বার খোলা হলে লোকেরা ঐ লাশ দেখতে পেল। আর এতে সাত সকালেই সেখানে ভীড় লেগে গেল। তারা বুঝতে পারল, রাতের অন্ধকারে কেউ একজন লোকটিকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখেছে। বেলা বাড়ার আগেই লোকটির পরিচয় পাওয়া গেল বটে, কিন্তু অনেক তত্ত্ব তালাশ করেও কে হত্যা করেছে বা কেন হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানা গেল না।


এদিকে ভাতিজাও সকালে তার চাচার খোঁজে বের হল, আর তথায় গিয়ে তার মৃতদেহটা দেখল। তখন সে চাচার জন্যে উচ্চঃস্বরে ক্রন্দন ও বিলাপ করতে লাগল। আর তারপর সে ও তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনগণ হত্যাকারীর খোঁজে নামল, কিন্তু কোন সূত্র মিলল না। প্রচলিত আইন ছিল- “যদি কোন বস্তির কাছাকাছি কোন হত্যাকান্ড ঘটে, আর যদি ঐ হত্যাকারীর কোন খোঁজ না মেলে, তবে ঐ বস্তিবাসী ঐ নিহতের পরিবারকে তার খুনের খেশারত বা রক্তমূল্য দিতে বাধ্য থাকবে।” আর তাই ভাতিজা অবশেষে ঐ বস্তিবাসীর কাছে তার চাচার রক্তমূল্য দাবী করে বসল। বস্তির লোকজন তো তার দাবী শুনে হতবাক, তারা বলল, “আল্লাহর কসম, আমরা তাকে হত্যা করিনি বা তার হত্যার সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনে। সকালে প্রধান ফটক খুলে বের হয়ে এসে আমরা এই অবস্থা দেখেছি। আর রাত্রে ফটক বন্ধ করার পর সকাল না হওয়া পর্যন্ত আমরা তা খুলিনে।” তারা যে কোন মূল্যে নিজেদেরকে হত্যার কোন আলামত থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট হল।


ইস্রায়েলীদের মধ্যে কোন নরহত্যা এক ভয়াবহ ব্যাপার! সুতরাং এ ঘটনা উত্তপ্ত বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির পর উভয়পক্ষ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিল। এসময় একজন বলল, “আমাদের মধ্যে আল্লাহর রসূল বিদ্যমান থাকা অবস্থায় আমরা পরস্পর বিবাদ করে নিজেদেরকে ধ্বংস করে ফেলব কেন? চল, আমরা তার কাছে যাই। নিশ্চয়ই তিনি কোন ফয়সালা দিতে পারবেন।”


উভয়পক্ষ মূসার কছে এল। নিহত ব্যক্তির ভাতিজা বলল, “আমি তাদের বস্তির কাছে আমার চাচাকে নিহত অবস্থায় পেয়েছি। তারা তাকে হত্যা করেছে।”

ঐ বস্তিবাসী বলল, “খোদার কসম, আমরা তাকে হত্যা করিনি। আর কে হত্যা করেছে সে সম্পর্কেও কিছু অবগত নই।”


মূসা দেখলেন কোন তথ্য প্রমাণ বা এমন কোন সূত্র নেই যা দিয়ে হত্যাকারীকে সনাক্ত করা যাবে। সুতরাং তিনি ফয়সালার জন্যে আল্লার কাছে প্রার্থনা করলেন। তারপর তিনি লোকদেরকে বললেন, “আল্লা তোমাদেরকে একটা গরু জবাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।”


গরু জবাইয়ের কথা শুনে লোকেরা আশ্চর্য হল। আর তারা একে তামাশা মনে করে ক্রুদ্ধ হল, বলল, “হে মূসা! আমরা তোমাকে হত্যাকারী চিহ্নিত করতে বলেছি। আর তুমি আমাদেরকে বলছ, গরু জবাইয়ের কথা। তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করছ?”

মূসা বললেন, “ঠাট্টা করে অজ্ঞ লোকেরা। আমি আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি, আমি যেন তাদের দলে না পড়ি। খোদার নির্দেশ যা আমি তাই তোমাদেরকে জানিয়েছি।”


তারা গরু জবাই করার জন্যে প্রস্তুত ছিল না। তাই এ বিষয়ে নানা রকম অবান্তর প্রশ্ন করতে লাগল। তারা বলল, “তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে পরিস্কার জেনে নাও, ঐ গরুটি কেমন হবে।”

মূসা বললেন, “আল্লাহ বলেছেন এ এমন একটা গরু যা বুড়োও না, অল্পবয়েসীও না-মাঝবয়সী, অতএব তোমরা যে আদেশ পেয়েছ তা পালন কর।”

আশেপাশে কি মাঝবয়সী গরুর অভাব আছে? একটা ধরে এনে জবাই কর! কিন্তু না! এ তো ইস্রায়েলী, জব্বর মাল! সুতরাং তারা বলল, “তোমার প্রতিপালককে আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে বল ওর রঙ কি হবে।”

মূসা বললেন, “আল্লা বলেছেন সেটা হবে হলুদ রঙের বাছুর, তার উজ্জ্বল গাত্রবর্ণ যারাই দেখবে তারাই খুশী হবে।”

তারা বলল, “তোমার প্রতিপালককে ডেকে জিজ্ঞেস কর, গরুটা কি ধরণের। আমাদের কাছে গরু তো একইরকম। আর আল্লার ইচ্ছেয় নিশ্চয়ই আমরা পথ পাব।”

মূসা বললেন, “এ এমন একটি গরু যাকে জমি চাষে বা ক্ষেতে পানি সেচের কাজে লাগান হয়নি, সম্পূর্ণ নিখুঁত।”

তখন তারা বলল, “এখন তুমি তথ্য ঠিক এনেছ।”


কোরআনে এ ঘটনা এভাবে বর্ণিত হয়েছে- যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে খুন করে একে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছিলে, আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চাইলেন যা তোমরা গোপন করছিলে।-(২:৭২)


আর যখন মূসা তার নিজের সম্প্রদায়কে বলেছিল, “আল্লা তোমাদেরকে একটি গরু জবেহের হুকুম দিয়েছেন।”

তারা বলেছিল, “তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করছ?”

মূসা বলেছিল, “আমি আল্লার আশ্রয় চাচ্ছি, আমি যেন জাহেলদের দলে না পড়ি।”


তারা বলল, “তোমার প্রতিপালককের কাছ পরিস্কার থেকে জেনে নাও, ঐ গরুটি কেমন হবে।”

মূসা বলল, “আল্লা বলেছেন এ এমন একটা গরু যা বুড়োও না, অল্পবয়েসীও না- মাঝবয়সী, অতএব তোমরা যে আদেশ পেয়েছ তা পালন কর।”

তারা বলল, “তোমার প্রতিপালকের কাছে যাও ও তাঁকে জিজ্ঞেস কর,  ওর রঙ কি হবে।”

মূসা বলল, “আল্লা বলেছেন সেটা হবে হলুদ রঙের বাছুর, তার উজ্জ্বল গায়ের রঙ যারাই দেখবে তারাই খুশী হবে।”


তারা বলল, “তোমার প্রতিপালককে আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে বল গরুটা কি ধরণের। আমাদের কাছে গরু তো একইরকম। আর আল্লার ইচ্ছেয় নিশ্চয়ই আমরা পথ পাব।”

মূসা বলল, “এ এমন একটি গরু যাকে জমি চাষে বা ক্ষেতে পানি সেচের কাজে লাগান হয়নি, সম্পূর্ণ নিখুঁত।”

তারা বলল, “এখন তুমি তথ্য ঠিক এনেছ।” -(২:৬৭-৭১)


ইস্রায়েলীরা গরু খুঁজতে বেরিয়ে পড়ল। কিন্তু তারা গরু বিষয়ক প্রশ্ন করতে করতে তার রূপ গুণ অনেক জটিল করে ফেলেছিল। ফলে এখন ঐ ধরনের গরু পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক এতিম বালকের কাছে ঐরূপ একটি গরু পাওয়া গেল, যেটিকে সে মাঠে চরাচ্ছিল। কিন্তু সে তার গরু বিক্রি করতে রাজী হল না। তখন তারা বলল, “আল্লার কসম! আমরা যে কোন মূল্যের বিনিময়ে এটি খরিদ করে নেব।”


তারা ঐ বালককে আটক করে মূসার কাছে নিয়ে এল এবং বলল, “হে রসূলুল্লাহ! আমরা যে গরুর সন্ধান করছি তা এর কাছে রয়েছে। আমরা তার কাছ থেকে তা মূল্যের বিনিময়ে খরিদ করতে চেয়েছি, কিন্তু সে তা বিক্রি করতে অস্বীকার করছে।”

মূসা ঐ বালককে বললেন, “গাভীটি তাদের কাছে বিক্রি কর।”

সে বলল,  “ইয়া রসূলুল্লাহ! আমার মালের ব্যাপারে আমিই কি হকদার নই?”

মূসা বললেন, “নিশ্চয়ই।’

সে বলল, “সুতরাং আমি আমার গাভী বিক্রি করতে রাজী নই, তবে আমার মাতা অনুমতি দিলে ভিন্নকথা।”


বালক তার গাভী নিয়ে চলে গেলে মূসা ইস্রায়েলীদের বললেন, “তোমরা ওর পিছু পিছু যাও, আর তার মাতাকে রাজী করাও।”

সুতরাং তারা তার পিছুপিছু তার বাড়ীতে এল এবং তার মাতার কাছে গাভীটি ক্রয়ের প্রস্তাব রাখল। মাতা বিক্রয়ে সম্মত হলেন। তখন তারা তাকে গাভীর বিনিময়ে তিন সেকল অফার করল। কিন্তু তাতে মাতা অসম্মতি জ্ঞাপন করে বললেন, “ওর মূল্য আরও অনেক বেশী হবে।”

তখন তারা বিনিময় মূল্য বাড়িয়ে চলল, আর মাতাও তা অস্বীকার করতে থাকলেন। এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বালকটিকে বলল, “আল্লার দোহাই! তোমার মাকে বাদ দিয়ে তুমি বরং একটা ন্যায্য মূল্য হাঁক, যাতে আমরা গাভীটি খরিদ করতে পারি।”

এতে বালকটিও ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচিয়ে বলল, “কসম আল্লা! তোমরা ওর চামড়া ভর্ত্তি সোনা দিতে চাইলেও আমি ওকে কখনও বিক্রি করব না আমার মায়ের অনুমতি ছাড়া।”

এ কথা শুনে তার মাতা মুচকি হেসে বললেন, “তবে সেটাই গাভীর মূল্য ধার্য্য হল: ওর চামড়া ভর্ত্তি সোনা।”


অন্যকোন উপায় না থাকায় ইস্রায়েলীরা ঐ মূল্যে সম্মত হল এবং গাভীটিকে মূসার কাছে নিয়ে এল। তখন তিনি সেটিকে জবাইয়ের নির্দেশ দিলেন। যদিও তারা সেটিকে জবাই করতে প্রস্তুত ছিল না, তথাপিও তারা সেটিকে জবাই করল।


তখন মূসা গাভীর স্কন্ধদ্বয়ের মধ্যে থেকে এক টুকরো মাংস নিয়ে মৃত ব্যক্তির গায়ে স্পর্শ করানোর নির্দেশ দিলেন। আর ঐ নির্দেশ মত কাজ করতেই মৃতব্যক্তি জীবিত হয়ে উঠে বসল। তখন তাকে তার হত্যাকারীর নাম জিজ্ঞেস করা হলে সে তার ভাতিজার নাম বলে দিয়ে আবারো নিশ্চুপ হয়ে গেল।


যদিও তারা সেটিকে জবাই করতে প্রস্তুত ছিল না, তথাপিও তারা সেটিকে জবাই করল।-(২:৭৩) আর আমি বললাম, “এর (বাছুরটির) কোন অংশ দিয়ে ওকে (মৃতদেহকে) আঘাত কর।” -এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন আর তোমাদেরকে তার নিদর্শণ দেখিয়ে থাকেন যেন তোমরা বুঝতে পার।-(২:৭৩)


এদিকে প্রকৃত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভাতিজাও নিজের অপরাধ স্বীকার করল। আর বনি-ইস্রায়েলীরা তাকে হত্যা করে প্রতিশোধ গ্রহণ করল।


যখন কেউ খোদায়ী নিদর্শণগুলোর দিকে গভীর ভাবে লক্ষ্য করে, তখন তার অন্তর স্বশ্রদ্ধায় নত হয়ে পড়ে। আসলে, দুনিয়ার সব গোপনতত্ত্ব একমাত্র খোদা ছাড়া আর কারো পক্ষে পুরোপুরি প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কে হত্যাকারী তা খুঁজে বের করার কি অন্যকোন পথ ছিল না? ওটাই কি একমাত্র উপায় ছিল মৃতকে কথা বলানো? একটা জবাই করা গরু নিজে কি একটা মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারে? না, আসমান ও জমিনের স্রষ্টাই হলেন প্রকৃত কারণ এসবের, আর এগুলো ঘটে একমাত্র তাঁর ইচ্ছে অনুসারে।


দেখ! খোদার ইচ্ছের বাধ্যতা একটুকরো মৃত পশুর মাংসকে কেমন অদ্ভূত ঘটনা ঘটাল। তাহলে মানুষ কেমন করে তাঁর ইচ্ছে জানার পরও তা অস্বীকার করে? আমরা গভীরভাবে এ কাহিনী পর্যালোচনা করলে দেখব, গরু এখানে সামান্য মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়। গরু কখনও কোন দেবতা হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে না। যে এক খোদার উপাসনা করে, তার উচিৎ সেই স্রষ্টাকে, যার ইচ্ছেতেই জীবন ও অস্তিত্ব লাভ, তাঁকে ভালভাবে জানা, যাতে সে কোন কার্য ও কারণের সাথে তাঁর সত্ত্বাকে গুলিয়ে না ফেলে। আর এই সাধারণ সত্যের সম্যক উপলব্ধি ব্যতিত কেউ উচ্চতর জ্ঞান ও বোধি লাভ করতে পারে না।


সমাপ্ত।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন