দ্বিতীয় বিবাহ কাকে বলে?

 

❏ প্রশ্ন-১১৭: দ্বিতীয় বিবাহ কাকে বলে? বিস্তারিত আলোচনা কর?

✍ উত্তর: যদি স্ত্রীকে এক তালাক বা দুই তালাক দেয়ার পর ইদ্দত অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর নিজ স্বামীর সঙ্গে দ্বিতীয়বার আক্বদ নিকাহ করার নাম- দ্বিতীয় নিকাহ বা বিবাহ। আর এটা জায়েযও আছে। যদি তিন তালাক দেয়া হয়, তবে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে তার সঙ্গে সহবাস করার পর যদি সে তালাক দিয়ে দেয় এবং ইদ্দত শেষ হয়ে যায়, তবে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ জায়েয হবে। অন্যথায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ শুদ্ধ হবে না।


আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন,



فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ بَعْدُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَتَرَاجَعَا إِنْ ظَنَّا أَنْ يُقِيْمَا حُدُودَ للهِ.



‘যদি স্বামী স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে, অতঃপর স্ত্রী যতক্ষণ দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রথম স্বামী তার জন্য হালাল বা বৈধ হবে না। হ্যাঁ! যদি দ্বিতীয় স্বামী সহবাসের পর তাকে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্য কোন গোনাহ হবে না। অতঃপর দ্বিতীয় বিবাহের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ফিরে যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে, তারা উভয়ই আল্লাহ্ তা‘আলার নির্ধারিত বিধি-বিধানের ওপর অটল থাকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে।"


159. সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৩০।



হিন্দুদের মধ্যে এ প্রথা প্রচলিত ছিল এবং বর্তমানেও আছে যে, বিধবা মহিলাদের দ্বিতীয় বিবাহ-শাদীর সুযোগ দেয়া হয় না। এ হতভাগা মহিলারা এমনিতেই ঘরের আন্দর মহলে একাকিত্ব জীবন কাটাতে হয় এবং জীবনের মূল্যবান সময় ও আশা-ভরসা থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়ে যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মুসলমানদের মধ্যেও এমন কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যারা নিজেদেরকে উচ্চ পর্যায়ের ভদ্র, সভ্য ও কৃষ্টিমনা মনে করে থাকে। তারা হিন্দুদের এই কুপ্রথাকে পূর্ণাঙ্গরূপে অনুসরণ করে। একথা তারা কখনো চিন্তাও করেনি যে, ইসলামে বিধবাদের সম্পর্কে কী বিধান রয়েছে। অথচ পবিত্র হাদীস শরীফে এসেছে যে, তোমরা বিধবাদের খুব তাড়াতাড়ি বিবাহের ব্যবস্থা করো।




❏ প্রশ্ন-১১৮: গোপন বিবাহ কাকে বলে?



✍ উত্তর: গোপনীয়ভাবে বিবাহ হওয়াকে نكاح السّر বা গোপন বিবাহ বলে। আর গোপন বিবাহ হচ্ছে যা লোকসমাজে প্রকাশ্যভাবে ও জানাজানি করে করা হয়না।





❏ প্রশ্ন-১১৯: নিকাহ অর্থ কি? নিকাহ কাকে বলে?



✍ উত্তর: নিকাহ অর্থ- মিলানো, একত্রিত করা। শরীয়তের পরিভাষায় একজন পুরুষ অপর মহিলার সঙ্গে যৌন মিলনের উপকারিতা উপভোগ করার লক্ষ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে নিকাহ বলা হয়। অথবা একজন পুরুষ ও একজন মহিলা পরস্পর সুখে-শান্তিতে ও মনোতুষ্টি নিয়ে বসবাস করা এবং সন্তানদের মা-বাবা হওয়া এবং জীবনের প্রয়োজনে পরস্পর সহযোগিতা প্রসারিত করার নিমিত্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে নিকাহ বলে। স্বাভাবিক অবস্থায় বিবাহ করা সুন্নাত এবং কামভাব প্রবল ও নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত হলে বিবাহ করা ওয়াজিব।

160. কান্যুদ্ দাক্বাইক্ব।

________________

কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন