অভিশপ্ত ইবলিশ কি সিজদার আদেশের মুকাল্লাফ (আজ্ঞাবহ) ছিল?

 

❏ প্রশ্ন-১২৯: অভিশপ্ত ইবলিশ কি সিজদার আদেশের মুকাল্লাফ (আজ্ঞাবহ) ছিল? কোরআন কারিমের পূর্বাপর বর্ণনা হতে বুঝা যাচ্ছে যে, وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا الخ. ‘যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, তোমরা আদমকে সিজদা করো’ আয়াতাংশে প্রদত্ত আদেশটি কেবল ফেরেশতাদের ওপর প্রযোজ্য ছিল। অথচ ইবলিশ ফেরেশতাদের স্বজাতিভূক্ত ছিল না। তাই সিজদা না করার কারণে তাকে কেন অভিশপ্ত করা হল?

✍ উত্তর: দৃশ্যতঃ আয়াতে যদিও কেবল ফেরেশতাদের কথা উল্লেখ রয়েছে, তবে এটা শাব্দিক আধিক্য, নচেৎ আদেশ ইবলিশের ওপরও করা হয়েছিল। আল্লাহ্ তা‘আলার নিন্দা ও ক্রোধ এবং প্রশ্নোত্তর একথার প্রমাণ বহন করে বা নজির স্থাপন করে। অনেক সময় নজির স্থাপনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির ওপর আদেশদাতার পক্ষ হতে আদেশ প্রমাণিত হয়। এই পদ্ধতিতে সেও ওই আদেশের আজ্ঞাবহ ছিল। যে বিষয়ে নজির স্থাপিত হয়, সে বিষয়টি বিশদভাবে বর্ণনা করার প্রয়োজন নেই। আর এখানে কাহিনীর মধ্যে নজির বিদ্যমান রয়েছে। আর তা হচ্ছে যখন তার ওপর ক্রোধ ও নিন্দার কাহিনীটি বর্ণনা করা হলো, তখন এতে বুঝা গেলো যে, সেও ওই হুকুমের আজ্ঞাবহ ছিলো।


আবার সূরা আ‘রাফের এই আয়াতটিতে রয়েছে যে,


مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ.


‘যখন আমি আদেশ করলাম তখন তোমাকে সিজদা করতে কিসে বারণ করল’, এতে আদেশ দেওয়ার বিষয়টি অতি সুস্পষ্ট। প্রথম দলিলটি হচ্ছে আকলি বা বুদ্ধিভিত্তিক এবং দ্বিতীয় দলিলটি হচ্ছে দালিলিক বা তাত্ত্বিক।


175. ইমদাদুল ফতওয়া, খন্ড নং-৫, পৃষ্ঠা নং-১২; ফাতওয়ায়ে হক্কানীয়া, খন্ড নং-২, পৃষ্ঠা নং- ১৬৭, ।

________________

কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন