আওলিয়া কিরামের মাযারের উপর গম্বুজ তৈরী করা প্রসঙ্গে আলোচনা


মুসলমানকে দু’শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। সাধারণ মুসলমানগণ এক শ্রেণীভুক্ত এবং উলামা, মাশায়িখ ও আওলিয়া কিরাম, যাদের তাযীম আসলে ইসলামেরই তাযীম, অন্য শ্রেণীভুক্ত।


(১) সাধারণ মুসলমাদের কবরকে পাকা করা বা এর উপর গম্বুজ তৈরী করা যেহেতু অনর্থক, সেহেতু নিষেধ। তবে কবরের নিশানা ঠিক রাখার অভিপ্রায়ে মাটি ইত্যাদি দেয়া ও ফাতিহা ইত্যাদি পাঠ করা জায়েয।


(২) উলামা, মাশায়িখ ও আওলিয়া কিরামের মধ্যে যাদের মাযার সমূহে জনগণের ভীর থাকে এবং লোকেরা ওখানে বসে কুলখানি, ফাতিহা ইত্যাদি পাঠ করে, আগতদের আরামের জন্য এবং ছাহেবে কবরের শান-মান প্রকাশ করার জন্য এবং আশে-পাশে ছায়ার জন্য গম্বুজ ঘর ইত্যাদি তৈরী করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয বরং সুন্নাতে সাহাবা দ্বারা প্রমাণিত।


(৩) যেসব সাধারণ মুসলমাদের কবর সমূহ পাকা করা বা এর উপর গম্বুজ বিশিষ্ট ঘর তৈরী করা নিষেধ, তাদের কবর সমূহ যদি পাকা করে ফেলা হয়, তাহলে এগুলোকে ভেঙ্গে ফেলা হারাম। প্রথম মাসআলা সম্পর্কে সবাই একমত কিন্তু শেষের দু’মাসায়েলা প্রসংগে আপত্তি রয়েছে। এজন্য আমি আলোচ্য বিষয়টাকে দু’টি অধ্যায়ে বিভক্ত করেছি। প্রথম অধ্যায়ে এর সমর্থনে প্রমাণ উপস্থাপন এবং দ্বিতীয় অধ্যায়ে এ প্রসংগে উত্থাপিত আপত্তি সমূহের জবাব দেয়া হয়েছে।

_________________

জা’আল হক (দ্বিতীয়াংশ)

মূল: হযরত হাকীমুল উম্মত মুফ্তী আহমদ ইয়ার খান নঈমী (رحمة الله)

অনুবাদ: অধ্যাপক মুহাম্মাদ লুৎফুর রহমান


সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন