ওলীগণ স্বীয় মাযারে জীবিত’ থাকা


‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ গ্রন্থের ৪২৬ পৃষ্ঠায় লেখক ওলীদের জীবীত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত নয় এবং এ বিষয়ের হাদিসগুলো বানোয়াট বলে দাবী করেছেন। তিনি তারপর লিখেছেন-‘‘আমরা জানি যে, মুমিন-কাফির প্রতিটি মানুষই মৃত্যুর মাধ্যমে ‘ধ্বংসশীল ইহ জগৎ থেকে স্থায়ী পরজগতে স্থানান্তরিত হয়।’’ তিনি নবীদের বিশেষ জীবন খুব কষ্টে স্বীকার করে তারপর লিখেন-‘‘এছাড়া অন্য কোনো নেককার মানুষের পারলৌকিক বিশেষ কোনো জীবন প্রমাণিত নয়।’’ আমি মিথ্যাচারের জবাবে কতিপয় রেওয়ায়েত পেশ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, এ গ্রন্থে বিষয়টি সংযোগ করলাম। প্রথমে সকলেরই জেনে রাখা উচিত, নবী ছাড়া প্রত্যেক কামিল পূর্ণ মু’মিন এবং এমনকি সাহাবীগণও ওলীর অন্তর্ভূক্ত।


ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সনদবিহীন একটি রেওয়ায়েত প্রথমে উল্লেখ করে পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করছি কতিপয় মুহাদ্দিস, মুফাস্সির সনদবিহীন একটি হাদিস উল্লেখ করেছেন, তার মানে কি দাঁড়ায় এ বিষয়ের দলিল শুধু একটাই!



বিভিন্ন আলেমদের বর্ণনা:


❏ যেমন আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী হানাফী (رحمة الله) বর্ণনা করেন-


قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: أَوْلِيَاءُ اللَّهِ لَا يَمُوتُونَ وَلَكِنْ يُنْقَلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ


-“রাসূল (ﷺ) বলেন: সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণের মৃত্যু নেই।” ৫৮

➥{আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৩৬৬ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম ফখরুদ্দিন রাবী: তাফছিরে কবীর, ৯ম খণ্ড, ৪২৭ পৃ: সূরা আলে ইমরানের ১৬৯-৭০ নং আয়াতের তাফছিরে; তাফছিরে নিছাপুরী, ৪র্থ খণ্ড, ৩৮৩ পৃ:; গাউছে পাক: সিররুল আসরার।}



❏ হিজরী ১১শ শতাব্দির মোজাদ্দিদ, আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (رحمة الله) হাদিসটি এভাবে উল্লেখ করেন:


أَوْلِيَاءُ اللَّهِ لَا يَمُوتُونَ وَلَكِنْ يَنْتَقِلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ


-“আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করে না, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।”


(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৩৬৬ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)


❏ হিজরী ৬ষ্ঠ শতাব্দির মোজাদ্দিদ, আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (رحمة الله) এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেন-


قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: أَوْلِيَاءُ اللَّهِ لَا يَمُوتُونَ وَلَكِنْ يُنْقَلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ


-“আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।”


(তাফসিরে কবীর, ৯ম খণ্ড, ৪২৭ পৃ: সূরা আলে ইমরানের ১৬৯-৭০ নং আয়াতের তাফছিরে)


❏ আল্লামা নিজামুদ্দিন হাসান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হুছাইন নিশাপুরী (رحمة الله) [ওফাত ৮৫০ হিজরী] তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেন,


وكقوله صلى الله عليه وسلم: أولياء الله لا يموتون ولكن ينقلون من دار إلى دار


-“আর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর বাণী হল: আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।”


(তাফসিরে নিশাপুরী, ৪র্থ খণ্ড, ৩৮৩ পৃ:)


❏ হেরেম শরীফে অন্যতম ইমাম, আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী (رحمة الله) এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেন-


قوله عليه السلام اولياء الله لا يموتون بل ينقلون من دار الى دار


-“আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বাণী: আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।”


(তাফসিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃ:)


❏ আল্লামা আবুল ফায়েয যুবাইদী (رحمة الله) এভাবে উল্লেখ করেছেন,


أَنَّ أَوْلياءَ اللهِ لَا يَمُوتُونَ، ولكِنْ يُنْقَلُون من دارٍ إِلَى دارٍ


-“নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং এক স্থান থেকে আরেক স্থানে প্রত্যাবর্তন করে।”


(আল্লামা যুবাইদী: তাজুল আরুছ, ২৪তম খণ্ড, ১৩৬ পৃ:; আল উবাবুজ জুখার, ১ম খণ্ড, ৪৭৩ পৃ:)


এবার আমি সনদসহ যে হাদিস ও ওলীদের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।



দলীল নং ১-২


عن ابى هريرة ؓ أن رسول الله ﷺ قال لشهداء أحد: أَشْهَدُ أَنَّ هَؤُلَاءِ شُهَدَاءُ عِنْدَ اللَّه يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَأْتُوهُمْ وَزُورُوهُمْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُسَلِّمُ عَلَيْهِمْ أَحَدٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا رَدُّوا عَلَيْهِ.


-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) উহুদের শহীদদের লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে,  উহুদের শহীদগণ আল্লাহর কাছে শহীদ (আর শহীদগণ জীবিত যা কুরআনে আছে, বাক্বারা-১৫৪) তোমরা যেয়ে তাদের যিয়ারত কর। সেই সত্তার কসম যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ, কেয়ামত পর্যন্ত তাদের প্রতি যে কেউ সালাম প্রেরণ করবে তারা তাদের সালামের জবাব দিবে।’’  ৫৯

➥{ইমাম বায়হাকীঃ দালায়েলুন নবুয়াতঃ ৩/৩০৭ পৃ., ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতিঃ আল-খাসায়েসুল কোবরা, ১/৩৮৮ পৃ. হা/১২১৫}


সুতরাং বুঝা গেল,  রাসূল (ﷺ) যেমনিভাবে জীবিত থাকার কারণে তার উম্মতের সালামের জবাব দেন তেমনিভাবে তাঁরাও দেন।



দলীল নং ৩-৬


❏ এ ধরণের বর্ণনা আরো পাওয়া যায়-


حَدَّثَنِي عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ زَارَ قُبُورَ الشُّهَدَاءِ بِأُحُدٍ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّ عَبْدَكَ وَنَبِيَّكَ يَشْهَدُ أَنَّ هَؤُلَاءِ شُهَدَاءُ، وَأَنَّهُ مَنْ زَارَهُمْ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ رَدُّوا عَلَيْهِ. هَذَا إِسْنَادٌ مَدَنِيٌّ صَحِيحٌ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ


-‘‘হযরত আবুল আ’লা ইবনে আব্দুল্লাহ   তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,  রাসূল (ﷺ) যখন উহুদ যুদ্ধের দিন শহীদগণের কবর যিয়ারত করেছেন এবং বলেছেন, হে আল্লাহ্! তোমার বান্দা ও তোমার নবী সাক্ষ্য দেয় এরা শহীদ। যারা তাদের যিয়ারত করবে অথবা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের প্রতি সালাম পাঠাবে উক্ত শহীদগণ তার জবাব দিবেন।’’ ৬০

➥{ইমাম বায়হাকী, দালায়েলুন নবুয়াত, ৩/৩০৭ পৃ., ইমাম হাকেম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক, ৩/২৯ পৃ,  হা/৪৩২০, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতিঃ আল-খাসায়েসুল কোবরা, ১/৩৮৮ পৃ. হা/১২১৬}



❏ শুধু তাই নয় ইমাম হাকিম (رحمة الله) বর্ণনা করেন-


قَالَ الْعَطَّافُ: وَحَدَّثَتْنِي خَالَتِي، أَنَّهَا زَارَتْ قُبُورَ الشُّهَدَاءِ، قَالَتْ: وَلَيْسَ مَعِي إِلَّا غُلَامَانِ يَحْفَظَانِ عَلَيَّ الدَّابَّةَ، قَالَتْ: فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِمْ فَسَمِعْتُ رَدَّ السَّلَامِ، قَالُوا: وَاللَّهِ إِنَّا نَعْرِفُكُمْ كَمَا يَعْرِفُ بَعْضُنَا بَعْضًا، قَالَتْ: فَاقْشَعْرَرْتُ، فَقُلْتُ: يَا غُلَامُ ادْنُ بَغْلَتِي فَرَكِبْتُ


-‘‘বর্ণনাকারী আতাফ  বলেন, আমার খালা বর্ণনা করেছেন,  তিনি উহুদের শহীগণের কবরস্থানের যিয়ারত করেছেন। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে কেবল দুটি গোলাম ছিল। তারা যানবাহনের হেফাযত করছিল। আমি উক্ত উহুদের কবরবাসীগণকে সালাম করলাম। আমি সালামের জবাব শুনেছি। এরপর এই কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম- আমরা তোমাকে তেমনি চিনি, যেরূপ আমরা একে অপরকে চিনি। এরপর আমার লোমকুপ শিউরে উঠলো। আমি ফিরে এলাম। উক্ত রেওয়ায়েতটি ইমাম বায়হাকী ও ইমাম আবিদ দুনিয়া  ও উক্ত সূত্রে তাদের গ্রন্থে সংকলন করেছেন।’’ ৬১

➥{ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি, আল-খাসায়েসুল কোবরা, ১/৩৮৮ পৃ. হা/১২১৬, ইমাম হাকেম,  আল-মুস্তাদরাক, ৩/২৯ পৃ. হাদিস:৪৩২০}



দলীল নং- ৭-৮


শুধু তাই নয় ইমাম সুয়ূতি  এবং ইমাম বায়হাকী  আল্লামা ওয়াকেদীর সূত্রে বর্ণনা করেন-


قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَتْ فَاطِمَةُ الْخُزَاعِيَّةُ تَقُولُ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي وقد غابت الشمس بقبول الشُّهَدَاءِ وَمَعِي أُخْتٌ لِي، فَقُلْتُ لَهَا: تَعَالَيْ نُسَلِّمْ عَلَى قَبْرِ حَمْزَةَ، فَقَالَتْ: نَعَمْ، فَوَقَفْنَا عَلَى قَبْرِهِ فَقُلْنَا: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا عَمَّ رَسُولِ اللَّه ﷺ ، فَسَمِعْنَا كَلَامًا رَدَّ عَلَيْنَا: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّه،


-‘‘হযরত ফাতেমা খুযায়িয়্যাহ  বর্ণনা করেন, আমি শহীদগণের সর্দার হযরত আমীর হামযা (رضي الله عنه) এর মাযার যিয়ারত করেছি। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে বললাম, হে রাসূলাল্লাহ (ﷺ) এর চাচা! আপনাকে সালাম। জবাবে আমি শুনলাম, ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।’’  ৬২ সুবহানাল্লাহ!

➥{ইমাম বায়হাকী, দালায়েলুন নবুয়তঃ ৩/৩০৯ পৃ., ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি, আল-খাসায়েসুল কোবরাঃ ১/৩৮৮ পৃ. হাদিসঃ ১২১৭}



দলীল নং-৯


❏ উহুদের শহীদগণ জীবিত থাকার ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী  বলেন,


فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ: لَا يُنْكِرُ بَعْدَ هَذَا مُنْكِرٌ، وَوُجِدَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، وَعَمْرُو بْنُ الْجَمُوحِ فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ، فَحُوِّلَا. وَذَلِكَ أَنَّ الْقَنَاةَ كَانَتْ تَمُرُّ عَلَى قَبْرِهِمَا، وَوُجِدَ خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ وَسَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ، فَتُرِكَا. وَلَقَدْ كَانُوا يَحِفرُونَ التُّرَابَ، فَحَفَرُوا نَثْرَةً مِنْ تُرَابٍ، فَفَاحَ عَلَيْهِمْ رِيحُ الْمِسْكِ


-‘‘উহুদের কবর সমুহ খননের পর ব্যাপকভাবে যা প্রত্যক্ষ করা গেছে,  তারপরও শহীদগণ জীবিত আছেন-এ সত্য অস্বীকার করার সাধ্য কারো নেই।.........এক বর্ণনায় আমি পেয়েছি (আবু সাঈদ খুদরী) যখন কবর সমূহ খনন করা হয়,  তখন মেশকের অনুরূপ একটি খুশবু চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’’ ৬৩

➥{ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি, আল-খাসায়েসুল কোবরা, ১/৩৮৮ পৃ. হা/১২১৪, বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ৩/২৯৪ পৃ.}



দলীল নং-১০


❏ বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ  তার পিতার কবরের অবস্থা সম্পর্কে বলেন-


قَالَ جَابِرٌ: فَرَأَيْتُ أَبِي فِي حُفْرَتِهِ، فَكَأَنَّهُ نَائِمٌ، فَقِيلَ لَهُ: أَفَرَأَيْتَ أَكْفِنَتَهُ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا دُفِنَ فِي نَمِرَةٍ خُمِّرَ بِهَا وَجْهُهُ، وَعَلَى رِجْلَيْهِ الْحَرْمَلُ، فَوَجَدْنَا النَّمِرَةَ كَمَا هِيَ وَالْحَرْمَلُ عَلَى رِجْلَيْهِ عَلَى هَيْئَتِهِ، وَبَيْنَ ذَلِكَ سِتٌّ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً، فَشَاوَرَهُمْ جَابِرٌ فِي أَنْ يُطَيَّبَ بِمِسْكٍ، فَأَبَى ذَلِكَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وسلم.


-‘‘হযরত জাবের  বলেন, আমি আমার পিতাকে যেভাবে কবরে দেখেছি তা এই- তিনি যেন নিদ্রাচ্ছন্ন আছেন (ঘুমিয়ে আছেন)। যে চাদরে তাকে কাফন দেয়া হয়েছিল তা তেমনি ছিল। তার পায়ের উপর যা রাখা হয়েছিল তাও তেমনি আকারে বিদ্যমান ছিল।....... অথচ ইতিমধ্যে চলি­শ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। শহীদগণের মধ্যে একজনের পায়ে কোদাল লাগলে সেখান থেকে রক্ত বের হতে লাগল।’’ ৬৪

➥{ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি, আল-খাসায়েসুল কোবরা, ১/৩৮৮ পৃ. হাদিসঃ ১২১৪}



━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন