মাওলানা মুতীউর রহমান তার ‘এসব হাদীস নয়’ গ্রন্থের ১৫৩ পৃষ্ঠায় এ হাদিসটিকে জাল প্রমাণ কারার অনেক অপ্রচেষ্টা করেছেন, কিন্তু সর্বশেষে ব্যর্থ হয়েছেন, কারণ সে কোনো নির্ভরযোগ্য দলিল উপস্থাপন এবং জাল হবার কোনো কারণ উল্লেখ করতে পারেননি।
প্রথম সূত্র:
মূলত হাদিসটি হল এভাবে হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,
(ابْن بكير) حَدَّثَنَا أَحْمَد بْن عَبْد الله بْن الْفَتْح حَدَّثَنَا صَدَقَة بْن مُوسَى بْن تَميم حدَّثَنِي أَبِي عَن حُمَيْد الطَّوِيل عَن أَنَسٍ مَرْفُوعًا: يُوقَفُ عَبْدَانِ بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ تَعَالَى فَيَأْمُرُ بِهِمَا إِلَى الْجَنَّةِ فَيَقُولانِ رَبَّنَا بِمَ اسْتَأْهَلْنَا الْجَنَّةَ وَلَمْ نَعْمَلْ عَمَلا تُجَازِينَا بِهِ فَيَقُولُ لَهُمَا عَبْدَيَّ ادْخُلا الْجَنَّةَ فَإِنِّي آلَيْتُ عَلَى نَفْسِي أَنْ لَا أُدْخِلَ النَّارَ مَنِ اسْمُهُ أَحْمَدُ وَلا مُحَمَّدٌ.
-‘‘কিয়ামতের দিন দুধরনের ব্যক্তিদের মহান আল্লাহ্ তা‘য়ালার দরবারে উপস্থিত করা হবে। মহান রব তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার আদেশ করবেন। তারা আরজ করবেন, হে আল্লাহ্! আমরা কেনো জান্নাতের উপযোগী হলাম? আমরা তো এমন কোনো আমল করিনি যা আমাদের জন্য জান্নাতে প্রবেশে যথেষ্ট হবে? অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন, হে আমার বান্দা! তোমরা উভয়েই জান্নাতে প্রবেশ কর, কেননা আমি অঙ্গিকার করেছি, যে ব্যক্তি মুহাব্বাত করে আহমদ এবং মুহাম্মদ নাম রাখবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।’’ ৫৭
৫৭. ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফিরদাউস : ৫/৪৮৫ পৃ. হা/৮৮৩৭ এবং ৫/৫৩৫ পৃ. হা/৯০০৬, ইমামা মানাবী : ফয়জুল কাদীর, ৫/৪৫৩ পৃ., আল্লামা বুরহান উদ্দিন হালবী : সিরাতে হালবিয়্যাহ : ১/১২১ পৃ., ইমাম সুয়ূতি, আল-লাআলিল মাসনূ, ১/৯৭ পৃ., আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৮৫ পৃ., ইমাম দায়লামী : আল ফিরদাউস : ৫/৪৮৫ পৃ. হা/৮৮৩৭, ইমাম কাস্তাল্লানী, মাওয়াহেবুল্লাদুনিয়্যাহ, ২/৩৭৬ পৃ., ইবনে হাজার মক্কী, জামেউল ওসায়েল, ১/৫৩১ পৃ., ইমাম জুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব, ৭/৩০৫ পৃ., ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১/৪১৯ পৃ.
সনদ পর্যালোচনা:
ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) এ হাদিসটির সনদ দুর্বল বলেছেন কেননা সনদে (صَدَقَة بْن مُوسَى بْن تَميم) নামক যঈফ রয়েছেন। খতিবে বাগদাদী (رحمة الله) তাকে (صدقة شيخ مجهول) অজ্ঞাত মুহাদ্দিস বলেছেন। তবে আল্লামা মুগলতাঈ (رحمة الله) এবং ইবনে আবি ই‘য়ালা (رحمة الله) তার জীবনী আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন তিনি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। ৫৮
৫৮. ইমাম খতিবে বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ, ৬/৩৬৬ পৃ. আল্লামা মুগলতাঈ, ইকমালু তাহযিবুল কামাল, ৬/৩৬৬ পৃ., ইবনে আবি ই‘য়ালা, তবকাতুল হাম্বলীয়া, ১/৭৮ পৃ., ইবনে হাজার, লিসানুল মিযান, ৪/৩১৪ পৃ.
তবে উসূলে হাদিসের নীতিমালা অনুসারে এ হাদিসটির আরও দুটি শাওয়াহেদ থাকায় ‘হাসান’ পর্যায়ের মর্যাদা রাখে।
দ্বিতীয় সূত্র:
ইমাম কাস্তালানী (رحمة الله) সংকলন করেন-
وروى أبو نعيم عن نبيط ابن شريط قال قال رسول الله ﷺ قَالَ اللَّهُ: وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا عَذَّبْتُ أَحَدًا يُسَمَّى بِاسْمِكَ فِي النَّارِ.
-‘‘ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী (رحمة الله) হযরত নবীত্ব বিন শারীত্ব (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন যে, আমাকে আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জত বলেছেন, আমার জালালিয়াতের শপথ! যার নাম আপনার নামে রাখা হবে তাকে জাহান্নামের আযাব দেওয়া হবে না।’’ ৫৯
৫৯. ইমাম আবু নুঈম ইস্পাহানী, হিলইয়াতুল আউলিয়া, ইমাম কাস্তাল্লানী, মাওয়াহেবুল্লাদুনিয়্যাহ, ২/৩৭৬ পৃ., ইমাম জুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব, ৭/৩০৫ পৃ., ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১/৪১৯ পৃ. ইবনে হাজার মক্কী, জামেউল ওসায়েল, ১/৫৩১ পৃ.,
তৃতীয় সূত্র:
অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা পাওয়া যায়-
وعن ابن عباس رضى الله عنهما انه ﷺ قال : اذا كان يوم القيامة ينادى مناد فى الموقف الا ليقم من كان اسمه محمدا ، فليدخل الجنة بكرامتى
-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, কিয়ামতের দিন ফেরেশতারা মুহাম্মদ নামের ব্যক্তিদেরকে ডাকবেন ও খুঁজতে থাকবেন এবং তাদেরকে বলা হবে তোমরা জান্নাতে যাও, এটা আল্লাহর মহত্ব ও বড়ত্ব কী, তা দেখানোর জন্য তাদের প্রতি এ প্রত্যাদেশ হবে।’’ ৬০
৬০. আল্লামা ইউসূফ নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৮৫ পৃষ্ঠা
চতুর্থ সূত্র:
অনুরূপ হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আরেকটি হাদিস পাওয়া যায়।
انه ﷺ قال : قال الله عز وجل : و عزتى و جلالى لا اعذب احدا تسمى باسمك فى النار-
-‘‘নিশ্চয়ই আঁকা (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, আল্লাহ্ তা‘য়ালা বলেন, হে হাবীব! আমার ইজ্জত ও জালালিয়াতের কসম যারা আপনার নামে নাম মিলেয়ে রাখবে তাদেরকে কখনো জাহান্নামের আযাব দেয়া হবে না।’’ ৬১
৬১.
আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন ইসামঈল নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৮৪ পৃ., ইমাম বুরহান উদ্দিন হালবী : সিরাতে হালবিয়্যাহ : ১/১৩৫ পৃ.
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে হাদিসটির মোট ৫টির বেশী সনদ রয়েছে। প্রত্যেকটি সনদ দুর্বল হলেও হাদিসটি “হাসান” হওয়াতে কোন অসুবিধা নেই বরং নিঃসন্দেহে ‘হাসান’ বলা যায়।
পঞ্চম সূত্র:
ইমাম ইবনে আসাকীর (رحمة الله) এবং ইবনে বুকাইর (رحمة الله) সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-
(ابْن بكير) حَدَّثَنَا حَامِد بْن حمَّاد بْن الْمُبَارك العسكري حَدَّثَنَا إِسْحَاق بْن سيَّار أَبُو يَعْقُوب النصيبي حَدَّثَنَا حجاج بْن الْمنْهَال حَدَّثَنَا حمَّاد بْن سَلمَة عَن برد بْن سِنَان عَن مَكْحُول عَن أَبِي أُمَامَة مَرْفُوعًا: مَنْ وُلِدَ لَهُ مَوْلُودٌ فَسَمَّاهُ مُحَمَّدًا تَبَرُّكًا بِهِ كَانَ هُوَ وَمَوْلُودُهُ فِي الْجَنَّةِ.
-‘‘হযরত আবু উমামাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যার সন্তান জন্ম নিল সে আমার পবিত্র নাম হতে বরকত হাসিল করার নিমিত্তে তার নবজাতকের নাম মুহাম্মদ রাখবে তবে সে এবং তার সন্তান দু’জনই বেহেশতে যাবে।’’ ৬২
৬২.
ক. ইমাম ইবনে আসাকির : তারীখে দামেস্ক : ১৩/১৭৭ পৃ.
খ. ইমাম মানাবী : ফয়জুল কাদীরে ২/২৩৭ পৃষ্ঠা, হা/৯০৮৪
গ. ইবনে কাইয়্যুম : মানারুল মুনীফ : ৬১ পৃষ্ঠা
ঘ. আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরলভী : আহকামে শরীয়ত, ১/৮০ পৃষ্ঠা
ঙ. ইমাম ইবনে বুকাইর : ফযলুল মিন ইসমু আহমদ ওয়া মুহাম্মদ : ১/৫৮ পৃষ্ঠা
চ. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : আল লাআলীল মাসনূআ : ১/১০৬ পৃ.
ছ. শায়খ ইউসূফ নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৮৫ পৃ.
জ. আল্লামা আজলূনী : কাশফুল খাফা : ২/২৫৪ পৃ. হা/২৬৪৩
ঝ. মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১৬/৪২২ পৃ. হা/৪৫২২৩
হাদিসটির মান: হাদিসটির মান ‘হাসান’।
✦ ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) এ হাদিস সংকলন করে লিখেন-
(قلتُ) هَذَا مثل حَدِيث ورد فِي الْبَاب وَإِسْنَاده حسن.
-‘‘আমি (সুয়ূতি) বলি, এর অনুরূপ আরও অসংখ্য সনদে হাদিস বর্ণিত আছে। আর এ হাদিসের সনদ ‘হাসান’।’’ (ইমাম সুয়ূতি, লা-আলিল মাসনূআ, ১/৯৭ পৃ.)
✦ উক্ত হাদিস সম্পর্কে আল্লামা আজলূনী (رحمة الله) বলেন-
رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أُمَامَةَ رَفَعَهُ قَالَ السُّيُوطِيّ: هَذَا أَمْثَلُ حَدِيثٍ وَرَدَ فِي هَذَا الْبَابِ وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ-
-‘‘উক্ত হাদিসটি ইমাম ইবনে আসাকীর (رحمة الله) তার তারীখে দামেস্কে হযরত আবু উমামা (رحمة الله) হতে মারফূ সূত্রে বর্ণনা করেন। ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) বলেন, এর অনুরূপ আরও অসংখ্য সনদে হাদিস বর্ণিত আছে। আর এ হাদিসের সনদ ‘হাসান’।’’ (আজলূনী, কাশফুল খাফা, ২/৩৪২ পৃ. হা/২৬৪৪)
✦ আল্লামা তাহের পাটনী (رحمة الله) লিখেন-
قُلْتُ رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ مَعْرُوفُونَ
-‘‘আমি বলি, এ হাদিসের সমস্ত রাবী সিকাহ বা বিশ্বস্ত, সুপরিচিত।’’ (তাযকিরাতুল মাওদ্বুআত, ৮৯ পৃ.)
✦ আহলে হাদিসদের তথাকথিত ইমাম শাওকানী লিখেন-
وقال في اللآلىء: هذا أمثل حديث: أورده في الباب، وإسناده حسن
-‘‘ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) তাঁর আল-লাআলীল মাসনূ’ গ্রন্থে বলেন, এর অনুরূপ আরও অসংখ্য সনদে হাদিস বর্ণিত আছে। আর এ হাদিসের সনদ ‘হাসান’এ হাদিসটির সনদ সহীহ।’’ (শাওকানী, ফাওয়াইদুল মাওদ্বুআত, ৪৭১ পৃ.)
সুতরাং প্রমাণ হয়ে গেল হাদিসটি নিঃসন্দেহে ‘হাসান’ বা গ্রহণযোগ্য।
৬ষ্ঠ সূত্র:
ইমাম জাফর সাদেক (رحمة الله) তার পিতা ইমাম বাকের (رحمة الله) হতে তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন-
إذَا كَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ نَادَى مُنَادٍ إلَّا لِيَقُمْ مَنِ اسْمُهُ. مُحَمَّدٌ فَلْيَدْخُل الْجَنَّةَ لِكَرَامَةِ اسْمِهِ ﷺ
-‘‘কিয়ামতের ময়দানে কোনো এক আহব্বানকারী আহব্বান করবে যে, যার নাম মুহাম্মদ সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করে। এটা শুধু আল্লাহ্ তা‘য়ালার হাবীব (ﷺ) এর মহত্ব ও বড়ত্ব দেখানোর জন্য এ মর্যাদা।’’ ৬৩
৬৩.
ক. ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ১/১৭৬ পৃ.
খ. শায়খ ইউসূফ নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৮৫ পৃ.
৭ম সূত্র:
✦ ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) সংকলন করেন-
وَقَالَ أَبُو المحاسن عَبْد الرَّزَّاق بْن مُحَمَّد الطبسي فِي الْأَرْبَعين أَنْبَأنَا أَبُو عَبْد مُحَمَّد بْن الْفضل الفراوي أَنْبَأنَا أَبُو سَعِيد مُحَمَّد بْن عَلِيّ بْن الخشاب الصُّوفِي أَنْبَأنَا أَبُو عُمَرو أَحْمَد بْن أَبِي القراني، سمعتُ أَبَا الْحَسَن مُحَمَّد بْن يَحْيَى بْن مُحَمَّد الْخَطِيب يَقُولُ سَمِعْتُ جدِّي مُحَمَّدَ بْنَ سَهْلِ بْنِ إِسْحَاقَ الْفَرَايِضِيِّ يَقُولُ أَخْبَرَنَا أَبِي يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِي أَنه قَالَ: إِذَا كَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ نَادَى مُنَادٍ يَا مُحَمَّدُ قُمْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ فَيَقُومُ كُلُّ مَنِ اسْمُهُ مُحَمَّدٌ فَيَتَوَهَّمُ أَنَّ النِّدَاءَ لَهُ فَلِكَرَامَةِ مُحَمَّدٍ لَا يُمْنَعُونَ.
-‘‘মুহাম্মদ বিন সাহল ইবনে ইসহাক ফারায়েদী তিনি তার সম্মানিত পিতা সাহল বিন ইসহাক ফারায়েদী (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন, তিনি মারফূ সূত্রে আল্লাহর নবী থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের ময়দানে কোনো এক আহব্বানকারী আহব্বান করবে যে, হে মুহাম্মদ নামের অধিকারীগণ! তোমরা বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করো। এ ডাকে মুহাম্মদ নামের অধিকারীগণ সাড়া দেবেন (জান্নাতে প্রবেশ করবেন), এটা কেবল আল্লাহ্ তা‘য়ালার হাবীব হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)’র নামের মহত্ব ও সম্মান নিমিত্ত, যা অপ্রতিরোদ্ধ।’’ (ইমাম সুয়ূতি, লা-আলিল মাসনূআ, ১/৯৭ পৃ.)
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! উপরের আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, রাসূল (ﷺ)-এর নাম যদি ইখলাস এবং মুহাব্বত করে কেউ রাখে, এটা হাশরের ময়দানে তার জন্য নাযাতের উসিলা হতে পারে। এ বিষয়ে অনেক সূত্রে হাদিসে পাক বর্ণিত হয়েছে।
✦ এজন্য আল্লামা বুরহানুদ্দীন হালাবী (رحمة الله) লিখেন-
فقد جاء في أحاديث كثيرة
-‘‘এ বিষয়ে অনেক হাদিসে পাক বর্ণিত হয়েছে।’’ (বুরহানুদ্দীন হালবী, সিরাতে হালবিয়্যাহ : ১/১২১ পৃ.,)
উসূলে হাদিসের একটি নীতিমালা আমি এ গ্রন্থের শুরুতে আলোচনা করেছি যে, যঈফ হাদিসও যখন একাধিক সূত্রে বর্ণিত হবে সেটা ‘হাসান’ স্তরে পৌঁছে যাবে।
━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন