মুসলমানদের দোয়া ও কল্যাণের দিকে মহিলাদের গমনের অনুমতি


৫০ - بَابُ مَا جَاءَ فِيْ الرُّخْصَةِ لِلنِّسَاءِ فِي الْـخُرُوْجِ إِلَى الْـخَيْرِ وَدَعْوَةِ الْـمُسْلِمِيْنَ

১৪৬ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، مَنْ سَمِعَ، أُمَّ عَطِيَّةَ، تَقُوْلُ: رُخِّصَ لِلنِّسَاءِ فِي الْـخُرُوْجِ إِلَى الْعِيْدَيْنِ، حَتَّىٰ لَقَدْ كَانَتِ الْبِكْرَانِ تَخْرُجَانِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ، حَتَّىٰ لَقَدْ كَانَتِ الْـحَايِضُ تَخْرُجُ، فَتَجْلِسُ فِيْ عُرْضِ النَّاسِ يَدْعُوْنَ وَلَا يُصَلِّيْنَ.

বাব নং ৬৫. ৫০. মুসলমানদের দোয়া ও কল্যাণের দিকে মহিলাদের গমনের অনুমতি

১৪৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি ঐ ব্যক্তি থেকে যিনি উম্মে আতিয়্যাকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  মহিলাদেরকে দু’ঈদের নামাযে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন। ফলে দু’জন বালিকা একটি কাপড়ে আবৃত হয়ে বের হতো। এমনকি ঋতুবতী মহিলাও বের হতো এবং মানুষ থেকে দূর গিয়ে পৃথক হয়ে বসত। এসব মহিলা দোয়ার মধ্যে অংশগ্রহণ করত কিন্তু নামায পড়ত না।

ব্যাখ্যা: রাসূল (ﷺ) ’র যুগে মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে গিয়ে নামাযে অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল। কিন্তু পরবর্তী ওলামায়ে কিরাম ফিৎনার ভয়ে মহিলাদের মসজিদে গমণ নিষেধ করে দিয়েছেন। তারা বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিস দলীল হিসেবে পেশ করেন। আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, যদি নবী করিম (ﷺ)  তাঁর পরে বর্তমান মহিলাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি তাদেরকে মসজিদে আগমণে বাঁধা দান করতেন।

147 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَبْدِ الْكَرِيْمِ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: كَانَ يُرَخِّصُ لِلنِّسَاءِ فِي الْـخُرُوْجِ إِلَى الْعِيْدَيْنِ مِنَ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَىٰ. وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَتْ: إنْ كَانَ الطَّامِثُ لَتَخْرُجُ، فَتَجْلِسُ فِيْ عُرْضِ النِّسَاءِ، فَتَدْعُوْ فِي الْعِيْدَيْنِ. وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَتْ: أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ  أَنْ نُخْرِجَ يَوْمَ النَّحْرِ، وَيَوْمَ الْفِطْرِ ذَوَاتِ الْـخُدُوْرِ وَالْـحُيَّضَ، فَأَمَّا الْـحُيَّضُ، فَيَعْتَزِلْنَ الصَّلَاةَ وَيَشْهَدْنَ الْـخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْـمُسْلِمِيْنَ، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! إِذَا كَانَتْ إِحْدَانَا لَيْسَ لَـهَا جِلْبَابٌ؟ قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا أُخْتَهَا مِنْ جِلْبَابِهَا».

১৪৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আব্দুল করিম থেকে, তিনি উম্মে আতিয়্যা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে মহিলাদের অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল।

অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, ঋতুবতী মহিলাও বের হতো কিন্তু তারা অন্যান্য মহিলাদের থেকে পৃথক হয়ে বসত এবং উভয় ঈদে দোয়ায় অংশগ্রহণ করত।

অপর এক রেওয়ায়েতে হযরত উম্মে আতিয়্যা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূল (ﷺ)  আমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, আমরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঋতুবতী মহিলাদেরকেও মসজিদে নিয়ে যাই। অবশ্য ঋতুবতী মহিলারা নামায থেকে দূরে থাকত কিন্তু অন্যান্য ইবাদত ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করত। একজন মহিলা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমাদের মধ্যে কারো ওড়না না থাকে? উত্তরে তিনি বললেন, তাকে তার কোন বোন স্বীয় চাদরের মধ্যে শরীক করে নিবে।
+++++++
কিতাবঃ শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা 
[ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সংকলিত কিতাব মুসনাদে ইমামে আজমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ]
ব্যাখ্যাকারঃ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষকঃ
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া
ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন