বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে উযূ করা প্রসঙ্গে


২ - بَابُ مَا جَاءَ فِيْ سُوْرِ الْهِرَّةِ

৪৪ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوْقٍ، عَنْ عَائِشَةَ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  تَوَضَّأَ ذَاتَ يَوْمٍ فَجَاءَتِ الْهِرَّةُ، فَشَرِبَتْ مِنَ الْإِنَاءِ، فَتَوَضَّأَ رَسُوْلُ اللهِ  مِنْهُ، وَرَشَّ مَا بَقِيَ.


বাব নং ১৭.২. বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে উযূ করা প্রসঙ্গে 


৪৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা শা’বী থেকে, তিনি মসরূক থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, একদিন রাসূল (ﷺ)  উযূ করার ইচ্ছে করেছেন। ইত্যবসরে একটি বিড়াল এসে উযূর পানি থেকে পানি পান করল। তিনি সেই (বিড়ালের উচ্ছিষ্ট) পানি দিয়ে উযূ করলেন এবং অবশিষ্ট পানি মাটিতে ঢেলে দিলেন।

ব্যাখ্যা: বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পাক কিনা এ নিয়ে ওলামাগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। আইম্মায়ে সালাসাহ’র মতে বিনা কারাহাত পাক। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে মাকরূহে তানযিহীর সহিত পাক।

মানুষের সহজের জন্য গৃহপালিত কিংবা ঘরে অধিকহারে আসা-যাওয়া করা প্রাণীর উচ্ছিষ্ট জায়েয রাখা হয়েছে। সাধারণত হাদিসের বাহ্যিক অর্থ দ্বারা বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পাক হওয়া বুঝায় যা আইম্মায়ে সালাসা’র অভিমত। কিন্তু ইমাম আ‘যম (رحمة الله) হাদিসের শেষাংশ “অবশিষ্ট পানি মাটিতে ঢেলে দিলেন” থেকে মাকরূহ তানযিহী মুরাদ নিয়েছেন। সুতরাং অন্য পানি পাওয়া না গেলে ঐ পানি দিয়ে উযূ করা বৈধ।

++++++++
কিতাবঃ শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা 
[ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সংকলিত কিতাব মুসনাদে ইমামে আজমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ]

ব্যাখ্যাকারঃ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষকঃ
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া
ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন