(৩)
বসবাসের জন্য মদীনা সর্বোত্তম স্থান
৩. عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: تُفْتَحُ اليَمَنُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيْهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، وَتُفْتَحُ الشَّأْمُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، وَتُفْتَحُ العِرَاقُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
৩. অনুবাদ: হযরত সুফিয়ান ইবনে আবু যুহায়র (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, ইয়ামান বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং তাদের অনুগত লোকদের উঠায়ে তথায় নিয়ে যাবে। অথচ মদীনাই তাদের জন্য উত্তম ছিল, যদি তারা বুঝত। সিরিয়া বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং তাদের অনুগত লোকদের উঠায়ে নিয়ে যাবে। অথচ মদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর। এরপর ইরাক বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বজন এবং তাদের অনুগতদেরকে উঠায়ে তথায় নিয়ে যাবে অথচ মদীনাই তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা জানত।
➥[১২] সহীহ বুখারী শরীফ, পৃ. ২৫২ হাদিস নং ১৭৫৪
ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (ﷺ)অগ্রীম বলে দিয়েছেন যে, একদিন ইয়ামন, সিরিয়া ও ইরাক মুসলমানদের হাতে বিজয় হবে। আর লোকেরা বসবাসের জন্য সেসব দেশে সপরিবারে এবং আত্মীয়স্বজন নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু তারা জানেনা যে, ঐসব দেশে বসবাসের চেয়ে মদীনা শরীফে বসবাস করা কতই উত্তম।
যে শহরে প্রিয় নবী (ﷺ) বসবাস করেন সেটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবাস স্থল। সেখানকার দু:খ-কষ্ট সহ্য করার মধ্যেও অনেক ফযিলত রয়েছে। কিন্তু মানুষ পৃথিবীর সাময়ীক সুখ-শান্তির জন্য নব বিজিত ঐসব দেশে বসাবাসের জন্য চলে যাবে। অন্যান্য দেশে ধন- দৌলত ও আরাম-আয়েশী বেশী থাকতে পারে কিন্তু মদীনা পাকের যে বরকত, নবী করিম (ﷺ)’র প্রতিবেশী হওয়ার সৌভাগ্য ও দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার যত উপকরণ মদীনায় আছে তা পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
উক্ত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর ইলমে গায়েব প্রকাশিত হয়। তিনি অগ্রীম যে সংবাদ দিয়েছিলেন পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়েছিল। তিনি যে ধারাবাহিকভাবে বলেছেন সে ভাবেই ঔ দেশসমূহ বিজিত হয়েছিল।
হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি বইসমগ্র
এপ্স টি তে রয়েছে
চল্লিশ হাদিস দ্বারা মদীনা শরীফের ফযিলত,
শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা(رحمة الله) ও
বিষয় ভিত্তিক মুজিযাতুর রাসূল (ﷺ)
👉https://play.google.com/store/apps/details?id=sunniencyclopedia.blogspot.com.usmangoniall
🌬যাজাকাল্লাহু খাইরান
বসবাসের জন্য মদীনা সর্বোত্তম স্থান
৩. عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: تُفْتَحُ اليَمَنُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيْهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، وَتُفْتَحُ الشَّأْمُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، وَتُفْتَحُ العِرَاقُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يُبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
৩. অনুবাদ: হযরত সুফিয়ান ইবনে আবু যুহায়র (رضي الله عنه)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, ইয়ামান বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং তাদের অনুগত লোকদের উঠায়ে তথায় নিয়ে যাবে। অথচ মদীনাই তাদের জন্য উত্তম ছিল, যদি তারা বুঝত। সিরিয়া বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং তাদের অনুগত লোকদের উঠায়ে নিয়ে যাবে। অথচ মদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর। এরপর ইরাক বিজিত হবে, তখন একদল লোক নিজেদের সাওয়ারী হাঁকিয়ে এসে স্বজন এবং তাদের অনুগতদেরকে উঠায়ে তথায় নিয়ে যাবে অথচ মদীনাই তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা জানত।
➥[১২] সহীহ বুখারী শরীফ, পৃ. ২৫২ হাদিস নং ১৭৫৪
ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (ﷺ)অগ্রীম বলে দিয়েছেন যে, একদিন ইয়ামন, সিরিয়া ও ইরাক মুসলমানদের হাতে বিজয় হবে। আর লোকেরা বসবাসের জন্য সেসব দেশে সপরিবারে এবং আত্মীয়স্বজন নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু তারা জানেনা যে, ঐসব দেশে বসবাসের চেয়ে মদীনা শরীফে বসবাস করা কতই উত্তম।
যে শহরে প্রিয় নবী (ﷺ) বসবাস করেন সেটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবাস স্থল। সেখানকার দু:খ-কষ্ট সহ্য করার মধ্যেও অনেক ফযিলত রয়েছে। কিন্তু মানুষ পৃথিবীর সাময়ীক সুখ-শান্তির জন্য নব বিজিত ঐসব দেশে বসাবাসের জন্য চলে যাবে। অন্যান্য দেশে ধন- দৌলত ও আরাম-আয়েশী বেশী থাকতে পারে কিন্তু মদীনা পাকের যে বরকত, নবী করিম (ﷺ)’র প্রতিবেশী হওয়ার সৌভাগ্য ও দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার যত উপকরণ মদীনায় আছে তা পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
উক্ত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর ইলমে গায়েব প্রকাশিত হয়। তিনি অগ্রীম যে সংবাদ দিয়েছিলেন পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়েছিল। তিনি যে ধারাবাহিকভাবে বলেছেন সে ভাবেই ঔ দেশসমূহ বিজিত হয়েছিল।
হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি বইসমগ্র
এপ্স টি তে রয়েছে
চল্লিশ হাদিস দ্বারা মদীনা শরীফের ফযিলত,
শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা(رحمة الله) ও
বিষয় ভিত্তিক মুজিযাতুর রাসূল (ﷺ)
👉https://play.google.com/store/apps/details?id=sunniencyclopedia.blogspot.com.usmangoniall
🌬যাজাকাল্লাহু খাইরান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন