ছবির বিধান


৪- بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّمَاثِيْلِ

٤٣١- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ عَلِيٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ، أَنَّهُ كَانَ عَلَّقَ فِيْ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ  سِتْرًا فِيْهِ تَمَاثِيْلُ، فَأَبْطَأَ جِبْرَائِيْلُ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَتَاهُ فَقَالَ لَهُ: مَا أَبْطَأَكَ عَنِّيْ ؟ قَالَ: إِنَّا لَا نَدْخُلُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَلَا تَمَاثِيْلَ، فَابْسُطِ السِّتْرَ وَلَا تُعَلِّقْهُ، وَاقْطَعْ رُءُوْسَ التَّمَاثِيْلِ، وَأَخْرِجْ هَذَا الْـجَرْوَ.

বাব নং ২১৬.৪. ছবির বিধান

৪৩১. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবু ইসহাক থেকে, তিনি আসেম ইবনে হামযাহ থেকে, তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূল (ﷺ) ’র ঘরের দরজায় এমন এক পর্দা লটকালেন যার মধ্যে ছবি ছিল। ফলে জিব্রাঈল (আ) আসতে দেরী করলে রাসূল (ﷺ)  তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি আমার কাছে আসতে বিলম্ব হল কেন? জিব্রাঈল (আ) বললেন, আমরা (ফেরেস্তারা) এমন ঘরে প্রবেশ করি না যাতে কুকুর এবং ছবি রয়েছে। সুতরাং আপনি পর্দা খুলে বিছিয়ে দিন এবং এটা লটকাবেন না আর ছবিগুলোর মাথা কেটে ফেলুন এবং কুকুরের এই বাচ্চাটি বের করে দিন।
(ইবনে মাজাহ, ২/১২০৪/৩৬৫১)

ব্যাখ্যা: আল্লাহমা আইনী (رحمة الله) বলেন যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকবে সে ঘরে কোন ফেরেস্তা প্রবেশ করেনা। তবে কেরামান কাতেবীন এই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা এরা কোন অবস্থায় মানুষ থেকে আলাদা হয়না। অথবা কেউ কেউ বলেন অহীর ফেরেস্তা ও রহমত এবং মাগফিরাতের ফেরেস্তা প্রবেশ করেনা। তবে কেউ কেউ শিকারী কুকুরকে এ হুকুমের বাইরে মনে করেন।

❏ছবি সম্পর্কে তিনি বলেন, নবী করমি (ﷺ)  ইসলামের প্রাথমিক যুগে সব ধরণের ছবি নিষেধ করেছেন। চাই তা কাপড়ে নক্শাকৃত হোক। এর কারণ হলো লোকেরা সবে মাত্র ছবি পূজা ত্যাগ করেছে। তাই তিনি সব ধরনের ছবি থেকে নিষেধ করেছেন। পরে যখন লোকদের অন্তরে এই নিষেধাজ্ঞা মজবুত হয়ে গেলে কাপড়ে নকশাকৃত ছবি যা কাপড় তৈরীর প্রয়োজনে করতে হয় এবং যা চাদর হিসাবে বিছানো হয় এমন কাপড়ে ছবি বৈধ করে দিয়েছেন। যাতে মূর্খ লোকেরা ঐ ছবি গুলোকে তা’যীমের খেয়াল না করে। আর যে কাপড় লটকানো হয় সে কাপড়ে ছবি নিষিদ্ধ।  ২০৫
➥ আল্লামা বদর উদ্দিন আইনি (رحمة الله) (৮৫৫হি,), উমদাতুল কারী, খন্ড ২২ পৃষ্ঠাঃ  ৭৪)।
++++++++
কিতাবঃ শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা 
[ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সংকলিত কিতাব মুসনাদে ইমামে আজমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ]
ব্যাখ্যাকারঃ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষকঃ
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া
ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন