কথার মাধ্যমে ঈলা


১৩- بَابُ مَا جَاءَ فِي الْإِيْلَاءِ بِالْكَلَامِ

٢٩٨- حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْ حَنِيْفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ فِي الْـمَوْلَىٰ: فَيْئُهُ الْـجِمَاعُ إِلَّا أَنْ يَكُوْنَ لَهُ عُذْرٌ، فَفَيْئُهُ بِاللِّسَانِ.

বাব নং ১৪৬. ১৩. কথার মাধ্যমে ঈলা

২৯৮. অনুবাদ: হাম্মাদ আবু হানিফা থেকে, তিনি হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আলকামা থেকে বর্ণনা করেন, ঈলাকারীর ঈলা থেকে প্রত্যাবর্তন করার পদ্ধতি হলো সহবাস করা। তবে যদি কোন ওযরের কারণে সহবাসে অক্ষম হয় তবে তার প্রত্যাবর্তন হবে কথার মাধ্যমে। (সুনানুল কুবরা, লিল বায়হাকী, ৭/৩৮০/১৫৬২৭)

ব্যাখ্যা: ঈলার পদ্ধতি হলো কোন স্বামী শপথ করল যে, আমি চারমাস বা এর অধিক সময়ের জন্য আমার স্ত্রীর নিকট যাবোনা। তাহলে এই স্বামী হবে মূ’লী আর তার কাজটি হবে ঈলা। ঈলা সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, للذين يؤلون من نسائهم الخ “যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে ঈলা করে.
(সূরা বাকারা, আয়াত, ২২৬)।

ঈলার বিধান হলো, ঈলাকারী যদি উক্ত সময়ের মধ্যে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, তবে ঈলা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তার উপর কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে আর ঈলা শেষ হয়ে যাবে। যদি নির্ধারিত সময়ে সে স্ত্রী সহবাস না করে এবং সময়ও শেষ হয়ে যায় তবে এর বিধান সম্পর্কে মতবিরোধ আছে। শাফেঈ, মালিকী ও হাম্বলী মাযহাব মতে তাকে বিচারকের সামনে হাযির করে বাধ্য করা হবে যে, হয়তো স্ত্রীকে তালাক দিবে নয়তো ফিরিয়ে আনবে। সুতরাং তাদের মতে ঈলার সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকে।
হানাফীদের মতে ঈলার সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই এক তালাকে বায়েন হয়ে যাবে এবং এরপর তাকে ফিরিয়ে আনার স্বামীর অধিকার থাকবে না তবে সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে পারবে। এটাই অধিকাংশ ওলামায়ে কিরাম, সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেঈনে এজামগণের মত।
+++++++++
কিতাবঃ শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা 
[ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সংকলিত কিতাব মুসনাদে ইমামে আজমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ]
ব্যাখ্যাকারঃ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষকঃ
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া
ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন