(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
চতুর্থ অধ্যায়
----------
বি:দ্র: এখানে সুন্নীদের পক্ষ হতেও এধরণের প্রশ্নের উদয় হতে পারে। মায়ের প্রার্থনা নামঞ্জুর করার কারণ হলো - তিনি ছিলেন নেককার। তাহলে পরবর্তী সময়ে দেখা যায়- নবী করীম [ﷺ] সবসময় নিজের জন্য এবং পিতামাতার জন্য মাগফিরাত কামনা করতেন। তাহলে কি নবীজী এবং তাঁর পিতামাতা বদকার বা গুনাহগার ছিলেন? নাউযুবিল্লাহ!
এই বিষয়টির জবাব তাফসীরে রুহুল বয়ান ২৬ পারা সূরা আল-ফাতাহ ২য় আয়াতের ব্যাখ্যায় এভাবে বলা হয়েছে - ”হে রাসূল, আপনার উছিলায় আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের গুনাহ্ আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন”- আল্লাহর এই বাণীর বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। কেননা তিনি তো ছিলেন বেগুনাহ। সুতরাং আয়াতে ”আপনার গুনাহ্ ”-এঁর অর্থ হবে ”আপনার উম্মতের গুনাহ।”
আর ”মাগফিরাত”-এর তিনটি অর্থ রয়েছে যথা: (১) অপরাধ ক্ষমা করা (২) অপরাধ থেকে হেফাযত করা (৩) অপরাধের খেয়াল থেকে নিরাপদ রাখা। প্রথম অর্থ হবে সাধারণ গুনাহ্গারদের বেলায়। দ্বিতীয় অর্থ হবে নেককার ও আল্লাহর অলী এবং নবীজীর পিতামাতা ও সাহাবাগণের বেলায়। তৃতীয় অর্থ হবে নবীগণের বেলায়।
উক্ত ব্যাখ্যার দ্বারা বুঝা গেলো - নবী করীম [ﷺ] নিজের জন্য যে মাগফিরাত কামনা করতেন - তার অর্থ হবে - ”হে আল্লাহ, আমাকে সদাসর্বদা গুনাহ বা অপরাধের খেয়াল থেকে বাঁচিয়ে রেখো।” হুযুরের পিতা-মাতার জন্য মাগফিরাত কামনার অর্থ হবে – ”হে আল্লাহ, আমার পিতা-মাতাকে গুনাহ থেকে হেফাযতে রেখো।” আর সাধারণ উম্মতের জন্য মাগফিরাত কামনার অর্থ – ”হে আল্লাহ! তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিও।” (রুহুল বয়ান, সূরা ফাতহ আয়াত-২)
এখন পরিষ্কার হয়ে গেলো - হুযুরের পিতামাতা নেককার ছিলেন এবং নবীজী তাদের গুনাহ হতে হেফাযতের জন্যই দোয়া করতেন এবং গুনাহ ও যাবতীয় অপরাধের খেয়াল থেকে নিজেকে নিষ্পাপ রাখার জন্য তিনি সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন (তাফসীরে রুহুল বয়ান)। একই শব্দের একাধিক অর্থ ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে না জানার কারণে রহমানপুরী নামে জনৈক মুফতী সাহেব আমার ”নূরনবী”র এই অংশটি নিয়ে অনেক লিফলেটিং করেছিলেন। কিন্তু তিনি কামিয়াব হতে পারেননি। আলহামদুলিল্লাহ! সর্বোপরি জওয়াব হলো - উম্মতকে শিখানোর জন্যই হুযুর [ﷺ] ঐ ভাবে দোয়া করতেন।
নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা-মাতার পুনর্জীবন লাভ ও নূতন করে ইসলাম গ্রহণ:
নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা-মাতা হুযুরের নবুয়তের যুগ পাননি। কিন্তু তাঁরা ছিলেন মিল্লাতে ইব্রাহীমীর উপর প্রতিষ্ঠিত একেশ্বরবাদী হানিফ সম্প্রদায়ভূক্ত মু’মিন। তাঁদের মত আরবে আরও কিছু লোক হানিফ সম্প্রদায়ভূক্ত ছিলেন। যেমন - আব্দুল মোত্তালেব, ওয়ারাকা ইবনে নওফেল, হযরত খাদিজা ও হযরত আবু বকর – প্রমূখ (رضي الله عنهم)। যারা নবুয়ত যুগের পূর্বে ইনতিকাল করেছেন, তাদেরকে ”আসহাবে ফাৎরাত” বলা হয়। তাঁরা ছিলেন তৌহিদবাদী হানিফ। নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা হযরত আব্দুল্লাহ এবং মাতা বিবি আমেনাও ছিলেন অনুরূপ তৌহিদপন্থী মু’মিন।
যখন নবী করীম [ﷺ] জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ১০ম হিজরীতে একলাখ চৌদ্দ হাজার সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে মক্কা শরীফে হজ্ব করতে আসেন, তখন একদিন বিবি আয়েশা (رضي الله عنها) কে সাথে নিয়ে জান্নাতুল মুয়াল্লাতে বিবি খাদিজা (رضي الله عنه)-এঁর মাযার যিয়ারত করতে গেলেন। (তখন নাম ছিল হাজুন)। হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) গাধার লাগাম ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন। নবী করীম [ﷺ] যিয়ারতকালে প্রথমে খুব কাঁদলেন - পরে হাসলেন। হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) কারণ জানতে চাইলে হুযুর আকরাম [ﷺ] বললেন - ”আমার পিতা-মাতাকে আল্লাহ্ পাক পুনর্জীবিত করে আমার সামনে হাযির করেছেন। তাঁরা নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করে পুনরায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি পিতা-মাতাকে দেখে খুশী হয়ে হেসেছি।” (বেদায়া ও নেহায়া দ্রষ্টব্য)। ইমাম সোহায়লীর বরাত দিয়ে ইবনে কাছির এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেছেন-
عن عائشة رضي الله عنها قالت ان الله احي ابويه اكراما له صلي الله عليه وسلم فاسلما ثم مانا كما كانا كما احي الموتي بعيسي عليه السلام -(ردالمحتار مطلب اسلام ابوي البي)
অর্থঃ- হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) বলেন- আল্লাহ তায়ালা নবী করীম [ﷺ]-এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা (عليه السلام)-এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
সুতরাং আমরা এখন থেকে মুক্তকন্ঠে বলবো - হযরত আব্দুল্লাহ ও হযরত আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা। কেননা, তারা সাহাবী হিসাবে গণ্য।
বি:দ্র: হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) ও হযরত ইসমাইল (عليه السلام) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন - যেন তাঁদের বংশধরদের (আরব) মধ্যে প্রত্যেক যুগেই কিছু মুসলিম বিদ্যমান থাকে। (সূরা বাক্বারাহ ১২৮ আয়াত)।
-رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ
অর্থঃ- ”হে প্রভু! আমাদের উভয়কে তুমি তোমার অনুগত মুসলিম হিসেবে কবুল করো এবং আমাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যেও (আরব দেশে) কিছু সংখ্যক লোককে অনুগত মুসলিম বানিয়ে রেখো।” এই দোয়ার বরকতে পরবর্তী প্রত্যেক যুগেই আরবে কিছু সংখ্যক সত্যপন্থী হানিফ সম্প্রদায় বিদ্যমান ছিলেন। নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা-মাতা ও তাঁদের পূর্ব পুরুষগণ এই হানিফ সম্প্রদায়ভূক্ত ছিলেন। তাঁদেরকে কাফের মনে করা বেদ্বীনি কাজ। ইতিহাসেও হানিফ সম্প্রদায়ের উল্লেখ রয়েছে। বাতিলপন্থীরা ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে বে-খবর।
চতুর্থ অধ্যায়
----------
বি:দ্র: এখানে সুন্নীদের পক্ষ হতেও এধরণের প্রশ্নের উদয় হতে পারে। মায়ের প্রার্থনা নামঞ্জুর করার কারণ হলো - তিনি ছিলেন নেককার। তাহলে পরবর্তী সময়ে দেখা যায়- নবী করীম [ﷺ] সবসময় নিজের জন্য এবং পিতামাতার জন্য মাগফিরাত কামনা করতেন। তাহলে কি নবীজী এবং তাঁর পিতামাতা বদকার বা গুনাহগার ছিলেন? নাউযুবিল্লাহ!
এই বিষয়টির জবাব তাফসীরে রুহুল বয়ান ২৬ পারা সূরা আল-ফাতাহ ২য় আয়াতের ব্যাখ্যায় এভাবে বলা হয়েছে - ”হে রাসূল, আপনার উছিলায় আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের গুনাহ্ আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন”- আল্লাহর এই বাণীর বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। কেননা তিনি তো ছিলেন বেগুনাহ। সুতরাং আয়াতে ”আপনার গুনাহ্ ”-এঁর অর্থ হবে ”আপনার উম্মতের গুনাহ।”
আর ”মাগফিরাত”-এর তিনটি অর্থ রয়েছে যথা: (১) অপরাধ ক্ষমা করা (২) অপরাধ থেকে হেফাযত করা (৩) অপরাধের খেয়াল থেকে নিরাপদ রাখা। প্রথম অর্থ হবে সাধারণ গুনাহ্গারদের বেলায়। দ্বিতীয় অর্থ হবে নেককার ও আল্লাহর অলী এবং নবীজীর পিতামাতা ও সাহাবাগণের বেলায়। তৃতীয় অর্থ হবে নবীগণের বেলায়।
উক্ত ব্যাখ্যার দ্বারা বুঝা গেলো - নবী করীম [ﷺ] নিজের জন্য যে মাগফিরাত কামনা করতেন - তার অর্থ হবে - ”হে আল্লাহ, আমাকে সদাসর্বদা গুনাহ বা অপরাধের খেয়াল থেকে বাঁচিয়ে রেখো।” হুযুরের পিতা-মাতার জন্য মাগফিরাত কামনার অর্থ হবে – ”হে আল্লাহ, আমার পিতা-মাতাকে গুনাহ থেকে হেফাযতে রেখো।” আর সাধারণ উম্মতের জন্য মাগফিরাত কামনার অর্থ – ”হে আল্লাহ! তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিও।” (রুহুল বয়ান, সূরা ফাতহ আয়াত-২)
এখন পরিষ্কার হয়ে গেলো - হুযুরের পিতামাতা নেককার ছিলেন এবং নবীজী তাদের গুনাহ হতে হেফাযতের জন্যই দোয়া করতেন এবং গুনাহ ও যাবতীয় অপরাধের খেয়াল থেকে নিজেকে নিষ্পাপ রাখার জন্য তিনি সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন (তাফসীরে রুহুল বয়ান)। একই শব্দের একাধিক অর্থ ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে না জানার কারণে রহমানপুরী নামে জনৈক মুফতী সাহেব আমার ”নূরনবী”র এই অংশটি নিয়ে অনেক লিফলেটিং করেছিলেন। কিন্তু তিনি কামিয়াব হতে পারেননি। আলহামদুলিল্লাহ! সর্বোপরি জওয়াব হলো - উম্মতকে শিখানোর জন্যই হুযুর [ﷺ] ঐ ভাবে দোয়া করতেন।
নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা-মাতার পুনর্জীবন লাভ ও নূতন করে ইসলাম গ্রহণ:
নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা-মাতা হুযুরের নবুয়তের যুগ পাননি। কিন্তু তাঁরা ছিলেন মিল্লাতে ইব্রাহীমীর উপর প্রতিষ্ঠিত একেশ্বরবাদী হানিফ সম্প্রদায়ভূক্ত মু’মিন। তাঁদের মত আরবে আরও কিছু লোক হানিফ সম্প্রদায়ভূক্ত ছিলেন। যেমন - আব্দুল মোত্তালেব, ওয়ারাকা ইবনে নওফেল, হযরত খাদিজা ও হযরত আবু বকর – প্রমূখ (رضي الله عنهم)। যারা নবুয়ত যুগের পূর্বে ইনতিকাল করেছেন, তাদেরকে ”আসহাবে ফাৎরাত” বলা হয়। তাঁরা ছিলেন তৌহিদবাদী হানিফ। নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা হযরত আব্দুল্লাহ এবং মাতা বিবি আমেনাও ছিলেন অনুরূপ তৌহিদপন্থী মু’মিন।
যখন নবী করীম [ﷺ] জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ১০ম হিজরীতে একলাখ চৌদ্দ হাজার সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে মক্কা শরীফে হজ্ব করতে আসেন, তখন একদিন বিবি আয়েশা (رضي الله عنها) কে সাথে নিয়ে জান্নাতুল মুয়াল্লাতে বিবি খাদিজা (رضي الله عنه)-এঁর মাযার যিয়ারত করতে গেলেন। (তখন নাম ছিল হাজুন)। হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) গাধার লাগাম ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন। নবী করীম [ﷺ] যিয়ারতকালে প্রথমে খুব কাঁদলেন - পরে হাসলেন। হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) কারণ জানতে চাইলে হুযুর আকরাম [ﷺ] বললেন - ”আমার পিতা-মাতাকে আল্লাহ্ পাক পুনর্জীবিত করে আমার সামনে হাযির করেছেন। তাঁরা নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করে পুনরায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি পিতা-মাতাকে দেখে খুশী হয়ে হেসেছি।” (বেদায়া ও নেহায়া দ্রষ্টব্য)। ইমাম সোহায়লীর বরাত দিয়ে ইবনে কাছির এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেছেন-
عن عائشة رضي الله عنها قالت ان الله احي ابويه اكراما له صلي الله عليه وسلم فاسلما ثم مانا كما كانا كما احي الموتي بعيسي عليه السلام -(ردالمحتار مطلب اسلام ابوي البي)
অর্থঃ- হযরত আয়েশা (رضي الله عنها) বলেন- আল্লাহ তায়ালা নবী করীম [ﷺ]-এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা (عليه السلام)-এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
সুতরাং আমরা এখন থেকে মুক্তকন্ঠে বলবো - হযরত আব্দুল্লাহ ও হযরত আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা। কেননা, তারা সাহাবী হিসাবে গণ্য।
বি:দ্র: হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) ও হযরত ইসমাইল (عليه السلام) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন - যেন তাঁদের বংশধরদের (আরব) মধ্যে প্রত্যেক যুগেই কিছু মুসলিম বিদ্যমান থাকে। (সূরা বাক্বারাহ ১২৮ আয়াত)।
-رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ
অর্থঃ- ”হে প্রভু! আমাদের উভয়কে তুমি তোমার অনুগত মুসলিম হিসেবে কবুল করো এবং আমাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যেও (আরব দেশে) কিছু সংখ্যক লোককে অনুগত মুসলিম বানিয়ে রেখো।” এই দোয়ার বরকতে পরবর্তী প্রত্যেক যুগেই আরবে কিছু সংখ্যক সত্যপন্থী হানিফ সম্প্রদায় বিদ্যমান ছিলেন। নবী করীম [ﷺ]-এঁর পিতা-মাতা ও তাঁদের পূর্ব পুরুষগণ এই হানিফ সম্প্রদায়ভূক্ত ছিলেন। তাঁদেরকে কাফের মনে করা বেদ্বীনি কাজ। ইতিহাসেও হানিফ সম্প্রদায়ের উল্লেখ রয়েছে। বাতিলপন্থীরা ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে বে-খবর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন