ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ
প্রসঙ্গ: হুযুর [ﷺ] ভূমিষ্ট হলেন কিভাবে?
===========
আল্লাহর প্রিয় হাবীব [ﷺ] পিতা-মাতার মাধ্যমে নূর হিসাবেই দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর আগমনের ধরণ ছিল ভিন্ন রকম। সাধারণ মায়েরা গর্ভকালীন ব্যথা অনুভব করে থাকেন এবং প্রসবকালীন সময়ে প্রচন্ড কষ্ট ও যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন। কিন্তু বিবি আমেনা (رضي الله عنها) গর্ভকালীন ও প্রসবকালীণ সময়ে কোন ওজন অথবা ব্যথা-বেদনা কিছুই অনুভব করেননি। অন্যান্য মায়েদের প্রসবকালীন সময়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু নবীজীর মায়ের এ অবস্থা ছিল না। বরং তাঁর থেকে বের হয়েছিল একটি নূর, যা মক্কাভূমি থেকে সিরিয়া পর্যন্ত আলোকিত করেছিল। সে নূর ছিল নবী করীম [ﷺ]-এঁর নূর মোবারক।
অন্যান্য সন্তানগণ মায়ের নাভির মাধ্যমে গর্ভে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে এবং ভূমিষ্ট হওয়ার পর তাদের নাভি কাটা হয়। কিন্তু নবী করীম [ﷺ] পবিত্র মায়ের নাভির সাথে যুক্ত ছিলেন না - বরং নাভি কর্তিত অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়েছেন। অন্যান্য সন্তানগন রক্তমাখা অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, কিন্তু নবী করীম [ﷺ] পবিত্র অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। অন্যান্য সন্তানগণ উলঙ্গ ও খতনাবিহীন অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে - কিন্তু নবী করীম [ﷺ] বেহেশতী লেবাছ পরিহিত, সুরমা মাখা চোখ ও খতনাকৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছেন।
নবী করীম [ﷺ] এরশাদ করেছেন-
عَن أنس قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَرَامَتِي على رَبِّي عز وَجل أَنِّي ولدت مختونا لم ير أحد سوءتي
”আনাস (রাদ্বিয়ালাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল [ﷺ] বলেছেন, আল্লাহ জাল্লা জালালুহু'রর পক্ষ থেকে আমার মু'জিজা হলো আমি খৎনা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছি এবং জন্মকালে কেউ আমার ছতর দেখে নি।”
(বেদায়া ও নেহায়া, ২য় খন্ড, ২৬১ পৃষ্ঠা, পুরাতন ছাপা।)
মাদারিজুন নবুয়ত কিতাবে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। অন্যান্য সন্তানগণ ভূমিষ্ট হয়ে ওয়াঁ ওয়াঁ (হুয়া) করে চিৎকার দেয়। কিন্তু নবী করীম [ﷺ] ভূমিষ্ট হয়েই প্রথমে সিজদা করেন এবং পরে শুদ্ধ আরবী ভাষায় ”আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্নী রাসুলুল্লাহ” কালেমা শরীফ পাঠ করেছিলেন।
(আল্লামা দিয়ার বিকরীর তারিখুল খামিছ ও সুয়ূতীর খাছায়েছে কুবরা)
সুতরাং নবী করীম [ﷺ]-এঁর ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রকৃতি ভিন্ন ধরণের হওয়াই স্বাভাবিক। আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন।
আল্লাহ তায়ালা আদম (عليه السلام) ও বিবি হাওয়া (عليها السلام) কে পিতামাতা ছাড়াই সরাসরি পয়দা করেছেন - একজনকে মাটি দিয়ে, অন্যজনকে বাম পাঁজরের হাঁড় দিয়ে। হযরত ঈসা (عليه السلام) কে পিতার বীর্য ছাড়া শুধু রুহ দিয়ে বিবি মরিয়মের গর্ভে পয়দা করেছেন। সাধারণ মানুষ পয়দা হয় পিতা-মাতার নুৎফা বা বীর্য থেকে, সরাসরি মাটি থেকে নয়। কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী [ﷺ]-কে আল্লাহ পয়দা করেছেন নূর দ্বারা। এই নূর কোন পদ্ধতিতে পিতার পৃষ্ঠ থেকে মায়ের গর্ভে গেলেন এবং কোন পদ্ধতিতে মায়ের গর্ভ হতে দুনিয়াতে পদার্পণ করলেন তা গবেষণার বিষয় নয়, বরং কুদরতের উপর বিশ্বাস স্থাপনই এর একমাত্র সমাধান।
মাওলানা আব্দুল আউয়ান জৌনপুরীর ফতোয়া:
এবার আসুন, এ ব্যাপারে ওলামাগণের মতামত কী- তা আলোচনা করি। হাদীয়ে বাংগাল ও আসাম নামে পরিচিত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী সাহেবের সাহেবজাদা মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী সাহেব আরবিতে একখানা কিতাব রচনা করেছেন। উক্ত কিতাবের নাম- عمدة النقول في كيفية ولادة الرسول
অর্থঃ- ” নবী করীম [ﷺ]-এঁর বেলাদত শরীফের ধরণ সম্পর্কে উত্তম রেওয়ায়াত ও দলীল।”
উক্ত কিতাবে তিনি কয়েকখানা বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাবের এবারত উদ্ধৃত করে অবশেষে নিজের মতামত বা ফতোয়া প্রদান করেছেন। আমরা উক্ত কিতাবের ফতোয়ার এবারত হুবহু পাঠকের সামনে উপস্থাপন করছি। উক্ত কিতাবের ফটোকপি অধম লেখকের নিকট সংরক্ষিত আছে। কিতাবের এবারত নিম্নরূপঃ-
وفى الاتحاف بحب الاشراف للعلامة عبد الله الشبراوى الشافعى رحمة الله تعالى قال فى تعليقه على قوله وإذ كنا نحكم بطهارة فضلاته صلى الله عليه وسلم الغريبة قال العلامة التلمسانى كل مولد غير الأنبياء يولد من الفرج وكل الانبياء غير نبينا مولودون من فوق الفرج وتحت السرة وأما نبينا صلى الله عليه وسلم فمولود من الخاصرة اليسرى تحت الضلوع ثم التام لوقته خصوصية له ولم يصح نقل ن نبيا من-الانبياء ولد من لفرج ولهذا افتي المالكية بقتل من قال ان النبي صلي الله عليه وسلم ولد من مجري ايول -انتها -
অর্থঃ- ”আল্লামা আবদুল্লাহ শাবরাভী শাফেয়ী (رحمة الله عليه) স্বীয় ‘আল আতহাফ বিহুব্বিল আশরাফ’- গ্রন্থে নবী করীম [ﷺ]-এঁর পবিত্র দেহ থেকে বহির্গত যাবতীয় বর্জ বস্তুর পবিত্রতা শীর্ষক আলোচনা প্রসঙ্গে আল্লামা তিলিমসানী কর্তৃক একটি ফতোয়ার উল্লেখ করে বলেন - উক্ত আল্লামা তিলিমসানী ফতোয়া দিয়েছেন যে, ”আম্বিয়ায়ে কেরাম (عليهم السلام) ব্যতীত প্রত্যেক মানব সন্তান মায়ের প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভূমিষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরামগণ (عليهم السلام) ভূমিষ্ট হয়েছেন মায়ের নাভি ও প্রস্রাবের রাস্তার মধ্যবর্তীস্থান দিয়ে এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা [ﷺ] ভূমিষ্ট হয়েছেন বিবি আমেনার (رضي الله عنها) বাম উরুদেশ দিয়ে - যা বাম পাঁজরের হাঁড়ের নিচে অবস্থিত। তারপর উক্ত স্থান সাথে সাথেই জোড়া লেগে যায়। এই বিশেষ ব্যবস্থাধীনে ভূমিষ্ট হওয়া নবী করীম [ﷺ]-এঁর একক বৈশিষ্ট্য। কোন নবী (عليه السلام) মায়ের প্রস্রাবের স্থান দিয়ে ভূমিষ্ট হওয়ার বর্ণনাটি সঠিক নয়। একারণেই মালেকী মাযহাবের মুফতী ও উলামাগণ ফতোয়া দিয়েছেন যে, ”যে ব্যক্তি বলবে - নবী করীম [ﷺ] মায়ের প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভূমিষ্ট হয়েছেন, তাকে কতল করা ওয়াজিব।” (উমদাতুন নুকুল ফী কাইফিয়াতে বিলাদাতির রাসূল- মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী এবং মূল গ্রন্থ আল আতহাফ বি-হুব্বিল আশরাফ- আল্লামা শাবরাভী)
(মূল কিতাব ”আল আতহাফ” লন্ডন থেকে ফটোকপি করে নিয়ে এসেছি)।
উস্তাজুল উলামা আল্লামা আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর 'শিয়া পরিচিতি' থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গ: হুযুর [ﷺ] ভূমিষ্ট হলেন কিভাবে?
===========
আল্লাহর প্রিয় হাবীব [ﷺ] পিতা-মাতার মাধ্যমে নূর হিসাবেই দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর আগমনের ধরণ ছিল ভিন্ন রকম। সাধারণ মায়েরা গর্ভকালীন ব্যথা অনুভব করে থাকেন এবং প্রসবকালীন সময়ে প্রচন্ড কষ্ট ও যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন। কিন্তু বিবি আমেনা (رضي الله عنها) গর্ভকালীন ও প্রসবকালীণ সময়ে কোন ওজন অথবা ব্যথা-বেদনা কিছুই অনুভব করেননি। অন্যান্য মায়েদের প্রসবকালীন সময়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু নবীজীর মায়ের এ অবস্থা ছিল না। বরং তাঁর থেকে বের হয়েছিল একটি নূর, যা মক্কাভূমি থেকে সিরিয়া পর্যন্ত আলোকিত করেছিল। সে নূর ছিল নবী করীম [ﷺ]-এঁর নূর মোবারক।
অন্যান্য সন্তানগণ মায়ের নাভির মাধ্যমে গর্ভে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে এবং ভূমিষ্ট হওয়ার পর তাদের নাভি কাটা হয়। কিন্তু নবী করীম [ﷺ] পবিত্র মায়ের নাভির সাথে যুক্ত ছিলেন না - বরং নাভি কর্তিত অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়েছেন। অন্যান্য সন্তানগন রক্তমাখা অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, কিন্তু নবী করীম [ﷺ] পবিত্র অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। অন্যান্য সন্তানগণ উলঙ্গ ও খতনাবিহীন অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে - কিন্তু নবী করীম [ﷺ] বেহেশতী লেবাছ পরিহিত, সুরমা মাখা চোখ ও খতনাকৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছেন।
নবী করীম [ﷺ] এরশাদ করেছেন-
عَن أنس قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَرَامَتِي على رَبِّي عز وَجل أَنِّي ولدت مختونا لم ير أحد سوءتي
”আনাস (রাদ্বিয়ালাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল [ﷺ] বলেছেন, আল্লাহ জাল্লা জালালুহু'রর পক্ষ থেকে আমার মু'জিজা হলো আমি খৎনা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছি এবং জন্মকালে কেউ আমার ছতর দেখে নি।”
(বেদায়া ও নেহায়া, ২য় খন্ড, ২৬১ পৃষ্ঠা, পুরাতন ছাপা।)
মাদারিজুন নবুয়ত কিতাবে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। অন্যান্য সন্তানগণ ভূমিষ্ট হয়ে ওয়াঁ ওয়াঁ (হুয়া) করে চিৎকার দেয়। কিন্তু নবী করীম [ﷺ] ভূমিষ্ট হয়েই প্রথমে সিজদা করেন এবং পরে শুদ্ধ আরবী ভাষায় ”আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্নী রাসুলুল্লাহ” কালেমা শরীফ পাঠ করেছিলেন।
(আল্লামা দিয়ার বিকরীর তারিখুল খামিছ ও সুয়ূতীর খাছায়েছে কুবরা)
সুতরাং নবী করীম [ﷺ]-এঁর ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রকৃতি ভিন্ন ধরণের হওয়াই স্বাভাবিক। আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন।
আল্লাহ তায়ালা আদম (عليه السلام) ও বিবি হাওয়া (عليها السلام) কে পিতামাতা ছাড়াই সরাসরি পয়দা করেছেন - একজনকে মাটি দিয়ে, অন্যজনকে বাম পাঁজরের হাঁড় দিয়ে। হযরত ঈসা (عليه السلام) কে পিতার বীর্য ছাড়া শুধু রুহ দিয়ে বিবি মরিয়মের গর্ভে পয়দা করেছেন। সাধারণ মানুষ পয়দা হয় পিতা-মাতার নুৎফা বা বীর্য থেকে, সরাসরি মাটি থেকে নয়। কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী [ﷺ]-কে আল্লাহ পয়দা করেছেন নূর দ্বারা। এই নূর কোন পদ্ধতিতে পিতার পৃষ্ঠ থেকে মায়ের গর্ভে গেলেন এবং কোন পদ্ধতিতে মায়ের গর্ভ হতে দুনিয়াতে পদার্পণ করলেন তা গবেষণার বিষয় নয়, বরং কুদরতের উপর বিশ্বাস স্থাপনই এর একমাত্র সমাধান।
মাওলানা আব্দুল আউয়ান জৌনপুরীর ফতোয়া:
এবার আসুন, এ ব্যাপারে ওলামাগণের মতামত কী- তা আলোচনা করি। হাদীয়ে বাংগাল ও আসাম নামে পরিচিত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী সাহেবের সাহেবজাদা মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী সাহেব আরবিতে একখানা কিতাব রচনা করেছেন। উক্ত কিতাবের নাম- عمدة النقول في كيفية ولادة الرسول
অর্থঃ- ” নবী করীম [ﷺ]-এঁর বেলাদত শরীফের ধরণ সম্পর্কে উত্তম রেওয়ায়াত ও দলীল।”
উক্ত কিতাবে তিনি কয়েকখানা বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাবের এবারত উদ্ধৃত করে অবশেষে নিজের মতামত বা ফতোয়া প্রদান করেছেন। আমরা উক্ত কিতাবের ফতোয়ার এবারত হুবহু পাঠকের সামনে উপস্থাপন করছি। উক্ত কিতাবের ফটোকপি অধম লেখকের নিকট সংরক্ষিত আছে। কিতাবের এবারত নিম্নরূপঃ-
وفى الاتحاف بحب الاشراف للعلامة عبد الله الشبراوى الشافعى رحمة الله تعالى قال فى تعليقه على قوله وإذ كنا نحكم بطهارة فضلاته صلى الله عليه وسلم الغريبة قال العلامة التلمسانى كل مولد غير الأنبياء يولد من الفرج وكل الانبياء غير نبينا مولودون من فوق الفرج وتحت السرة وأما نبينا صلى الله عليه وسلم فمولود من الخاصرة اليسرى تحت الضلوع ثم التام لوقته خصوصية له ولم يصح نقل ن نبيا من-الانبياء ولد من لفرج ولهذا افتي المالكية بقتل من قال ان النبي صلي الله عليه وسلم ولد من مجري ايول -انتها -
অর্থঃ- ”আল্লামা আবদুল্লাহ শাবরাভী শাফেয়ী (رحمة الله عليه) স্বীয় ‘আল আতহাফ বিহুব্বিল আশরাফ’- গ্রন্থে নবী করীম [ﷺ]-এঁর পবিত্র দেহ থেকে বহির্গত যাবতীয় বর্জ বস্তুর পবিত্রতা শীর্ষক আলোচনা প্রসঙ্গে আল্লামা তিলিমসানী কর্তৃক একটি ফতোয়ার উল্লেখ করে বলেন - উক্ত আল্লামা তিলিমসানী ফতোয়া দিয়েছেন যে, ”আম্বিয়ায়ে কেরাম (عليهم السلام) ব্যতীত প্রত্যেক মানব সন্তান মায়ের প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভূমিষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরামগণ (عليهم السلام) ভূমিষ্ট হয়েছেন মায়ের নাভি ও প্রস্রাবের রাস্তার মধ্যবর্তীস্থান দিয়ে এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা [ﷺ] ভূমিষ্ট হয়েছেন বিবি আমেনার (رضي الله عنها) বাম উরুদেশ দিয়ে - যা বাম পাঁজরের হাঁড়ের নিচে অবস্থিত। তারপর উক্ত স্থান সাথে সাথেই জোড়া লেগে যায়। এই বিশেষ ব্যবস্থাধীনে ভূমিষ্ট হওয়া নবী করীম [ﷺ]-এঁর একক বৈশিষ্ট্য। কোন নবী (عليه السلام) মায়ের প্রস্রাবের স্থান দিয়ে ভূমিষ্ট হওয়ার বর্ণনাটি সঠিক নয়। একারণেই মালেকী মাযহাবের মুফতী ও উলামাগণ ফতোয়া দিয়েছেন যে, ”যে ব্যক্তি বলবে - নবী করীম [ﷺ] মায়ের প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভূমিষ্ট হয়েছেন, তাকে কতল করা ওয়াজিব।” (উমদাতুন নুকুল ফী কাইফিয়াতে বিলাদাতির রাসূল- মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী এবং মূল গ্রন্থ আল আতহাফ বি-হুব্বিল আশরাফ- আল্লামা শাবরাভী)
(মূল কিতাব ”আল আতহাফ” লন্ডন থেকে ফটোকপি করে নিয়ে এসেছি)।
উস্তাজুল উলামা আল্লামা আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর 'শিয়া পরিচিতি' থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন