জানাজার নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করার বৈধতা (৪)

 

জানাজার নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করার বৈধতা (৪)


জানাযার নামাজ ও দোয়ার মধ্যে পার্থক্যঃ



● ১) জানাযার জন্য ওযু কিংবা তায়াম্মুম শর্ত কিন্তু দোয়ার জন্য শর্ত নয়।



● ২) জানাযার জন্য কিবলামুখী হওয়াশর্ত কিন্তু দোয়ার জন্য নয়।



● ৩) জানাযার জন্য কিয়াম তথা দাড়ানো শর্ত দোয়ার জন্য নয়।



● ৪) ফিকহের কিতাব সমূহে কোথাও জানাযাকে দোআ হিসেহে উল্লেখ করা হয়নি বরং সব জায়গায় লিখা আছে “সালাতুল জানাযাহ” তথা জানাযার নামায। এমনকি জানাযার পূর্বে যে নিয়ত করা হয় তাতে ও আমরা বলে থাকি “সালাতিল জানাযাহ” দোআ -ইল- জানাযাহ কেউ বলেনা।



● ৫) যে কারনে নামায ভঙ্গ হয় সে কারণে জানাযার নামায ও ভঙ্গ হয়।



● ৬) নামায জামাতে হয় জানাযা ও জামাতে হয়।



● ৭) নামাযে নিয়্যত আছে জানাযায় ও নিয়্যত আছে।



● ৮) নামাযে সালাম আছে জানাযায় ও সালাম আছে।



● ৯) জানাযায় রুকু সিজদা নেই একেক ধরনের নামায একেক ধরনের হয় যেমন ইস্তিকার নামায, ইস্তিখারার নামায, সালাতুত তাসবীহ ইত্যাদি বিভিন্ন রূপ (উসুলুশ শাশী)।



● ১০) নামায থেকে সালাম দ্বারা বের হতে হয় জানাযায় ও তাই কিন্তু দোআ থেকে পৃথক হতে সালাম প্রয়োজন হয়না।



● ১১) ফরয নামাযের পর দোআ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত জানাযার নামায ফরযে কেফায়া তাই এতে ও দোআ অপরিহার্য।



● ১২) সালাতুল মাগরিবকে মাগরিবের দোআ বলা হয় না বরং নামায বলা হয় তাহলে সালাতুল জানাযাকে জানাযার দোআ কেন বলা হবে? তাই এটা ও নামায।



● ১৩) নামাযের জন্য আযান আছে, জানাযার জন্য ও এলান (ঘোষনা) আছে সকল নামাযেই দোআ আছে শুধু জানাযাকে খাস করা ঠিক নয়।



● ১৪) নামাযে মাসবুক (বিলম্বে আসলে) যেভাবে পরবর্তীতে নামায সম্পন্ন করতে হয় একই ভাবে জানাযার একই হুকুম। কিন্তু দোআয় মাসবুকের মাসআলা নেই।



● ১৫) দোআয় এদিক সেদিক তাকানো যায়, নামাযে ও জানাযায় তাকানো যায়না, তাই জানাযার নামায দোআ হয় কী করে।



● ১৬) নামাযে মুক্তাদীর জন্য “ইক্তিদা” আছে জানাযায় ও আছে।



● ১৭) ইস্তিসকার নামায মাঠে ময়দানে হয় জানাযার নামায ও তাই বরং প্রয়োজনে মসজিদে ও পড়া যায়।



● ১৮) বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরের কিতাব তফসীরে জালালাইন কিতাবে ৫০২ পৃষ্টা মধ্য সূরা ইনশিরাহ ৭-৮ নং আয়াতে আছে, আর যখন নামায হতে অবসর গ্রহন করবে অতঃপর দোয়ার মধ্যে মশগুল হয়ে যাও। নামায শেষ হওয়ার পর দোয়ার কথা বলা হয়েছে। জানাযা দোআ নয় বরং নামায, তাই তাঁর পর দোআ করতে হবে। সুতরাং একটি ফরযে কিফায়ার নামাযকে কেবল দোআ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে হালকা করে দেয়ার কোন মানে হয়না।



অতএব আসুন তর্কের খাতিরে তর্ক নয় বরং সত্যকে জানার চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (ﷺ) এর আনুগত্যকে মান্য করার চেষ্টা করি। বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন (ﷺ)।

_________________

জানাজার নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করার বৈধতা

সংকলক : মাসুম বিল্লাহ সানি

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন