॥ ষোল থেকে একুশ হাদিস ॥
👉 ইমাম বুখারী, মুসলিম এবং নাসায়ী হযরত জাবির (رضي الله عنه) থেকে এবং
👉 ইমাম আহমদ উৎকৃষ্ট সনদ ধারা, বুখারী তার তারীখের মধ্যে এবং বাযযাব, তাবরাণী, বায়হাকী এবং আবু নুয়াইমঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে।
👉 এবং ইমাম তাবরানী মুয়াজমে আউসত এ হযরত আবু সাঈদ খুরদী (رضي الله عنه) থেকে এবং
👉 কবীর নামক গ্রন্থে হযরত সায়েব ইবনে ইয়াজিদ (رضي الله عنه) এবং ইমাম আহমদ (رضي الله عنه) উৎকৃষ্ট সনদ দ্বারা এবং
👉 শায়বা, তাবরানী হযরত আবু মুসা আশআরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ননা করেন, বচনগুলো হযরত জাবের (رضي الله عنه) এরঃ
قال رسول الله صلی الله عليه وسلم واعطيت ما لم يعطهن احد قبلی الی قوله صلی الله عليه وسلم واعطيت الشفاعة
অর্থাৎ উল্লেখিত ছয়টি হাদিস শরীফে বর্ণিত যে, হুজুর শাফিউল মুযনেবীন (ﷺ) এরশাদ করেন,
"আমাকে (সর্বপ্রথম) সুপারিশকারী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং শাফায়াতের ক্ষমতা বিশেষ করে আমাকেই প্রদান করা হবে। আর আমি ব্যতিত অন্য কাউকে এ মর্যাদা দেয়া হয়নি।"
॥ বাইশ ও তেইশ হাদিস ॥
👉হযরত ইবনে আনাস (رضي الله عنه) এবং আবু সায়ীদ (رضي الله عنه), হযরত আবু মুসা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হাদিস সমূহে ঐ বিষয়বস্তুও রয়েছে যা ইমাম আহমদ, ইমাম বুখারী ও মুসলিম হযরত আনাস (رضي الله عنه) , আবার ইমাম বুখারী ও মুসলিম হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর শফীউল মুযনেবীন ﷺ এরশাদ করেন,
أن لكل نبي دعوة قد دعا به في أمته واستجب له (وهذا اللفظ لانس ولفظ الی سعيد) ليس من نبي الا وقد اعطی دعوة فتعجلها( ولفظ ابن عباس)لم يبق نبی الا اعطی له(رجعنا الی لفظ انس والفاظ الباقين کمثله معنی)قال وانی اخثباءت دعوتی شفاعة للامتی يوم القيامة (زاد ابو موسی)جعلتها لمن مات من امتی لا يشرك بالله شيٸا
অর্থাৎ নবীগণের (عليه السلام) যদিও হাজার হাজার দোয়া কবুল হয়ে থাকে। কিন্তু একটি খাস দোয়া মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তা লাভ করে থাকেন। এরশাদ হয়—যা চাও প্রার্থনা কর। নিশ্চয় দেয়া হবে সমস্ত নবী হযরত আদম (عليه السلام) থেকে শুরু করে হযরত ঈসা (عليه السلام) পর্যন্ত সবাই আপন আপন সেই সদায় পৃথিবীতেই করে ফেলেছেন এবং আমি পরকালের জন্যই পরক্ষন করছি। তা হচ্ছে আমার উম্মতদের জন্যে আমার শাফায়াত। এটা কেয়ামত দিবসে আমার সে সব উম্মতের জন্য রখেছি, যারা ইমানের সাথে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।
আল্লাহু আকবর। হে উম্মতের পাপিষ্টয়া, তোমরা কি তোমাদের সরদার হুজুর (ﷺ) এর অনুগ্রহ, আপন অবস্থার উপর প্রত্যক্ষ করনি? তিনি আল্লাহর দরবার থেকে তিনটি প্রার্থনার অনুমতি লাভ করেন-এরশাদ হয় যা প্রার্থনা করেন, তা পূর্ণ করা হবে।
কিন্তু, হুজুর (ﷺ) নিজ স্বার্থের জন্য কোন প্রার্থনা করেননি। সব কটি তোমাদেরই জন্য। দুটি প্রার্থনা পৃথিবীতে করেছেন। তৃতীয়টিও পরকালে তোমাদের সেই ভয়ানক চাহিদার জন্যে রেখে দিয়েছেন, যখনই সেই দয়ালু মুনিব আকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত অন্য কোন হিতাকাংখী ত্রাণকর্তা থাকবেনা।
◾যথার্থই এরশাদ ফরমান আল্লাহ তায়ালা,
عزيز عليه ما عنتم حريص عليكم بالمؤمنين رٶف رحيم -
"সেই মহান জাতের শপথ, যিনি তাকে আমাদের উপর দয়ালু করেছেন। নিশ্চয় নিশ্চয় কোন ‘মা’ আপন স্নেহাস্পদ। একমাত্র সন্তানের উপরও তো এত বেশী দয়াশীল নয় যে পরিমাণ তিনি (ﷺ) আপন উম্মতের উপর দয়াবান।"
হে খোদা। তুমি আমাদের অক্ষমতা ও দুর্বলতা এবং তাঁর (ﷺ) মহান হকসমূহ জানো। হে ক্ষমতাবান! হে স্রষ্টা, হে মহামহিম ! আমাদের পক্ষ থেকে তার উপর। এবং তাঁর বংশধরে। উপর সেই বরকতময় দরূদ সমূহ নাযিল করুণ, যা তার এক সমূহের সমতুল্য হয় এবং তার দয়া সমুহের সমপরিমাণ হয়।
আফসোস! আল্লাহর বান্দাদের কেউ কেউ তার (ﷺ) সর্বোত্তম হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছে। কেউ কেউ তার সাথে সন্দেহ সৃষ্টি করতে চেয়েছে। কেউ তার প্রশংসাকে তার মত মনে করেছে। আবার কেউ তার মহান সম্মানিত মর্যাদা দেখে হিংসায় ফেটে পড়েছে। একি আশ্চর্য । প্রিয় নবীর প্রতি ভালবাসার কার্যাদিকে কেহ কেহ বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করে যদিও তাহা কোরআন সুন্নাহ সম্মত আর প্রিয় নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উপর শির্কের ফতোয়া লাগায় (নাউজুবিল্লাহ)
________________
কিতাবঃ কোরআন হাদিসের আলোকে শাফায়াত
মূলঃ- চতুর্দশ শতাব্দীর মোজাদ্দিদ ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত শাহ মাওলানা আহমদ রেযা খান ফাযেলী বেরলভী (রহঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন