দুনিয়াবী আরাম-আয়েশ ত্যাগ করল

 

দুনিয়াবী আরাম-আয়েশ ত্যাগ করল


সিরিয় এই যুবকের সংকল্প, স্বাধীনচেতা মনোভাব এবং ঈমানের উপর অবিচলতায় মোবারকবাদ। একটু ভেবে দেখুনতো, চোখের সামনে দুই দুইটি প্রাণপ্রিয় ভাই শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করে নেন, কিন্তু তাঁর অবিচল পদক্ষেপ একটুও সরেনি। না কোন হুমকি তাঁকে ভীত করতে পেরেছে, না বন্দী জীবনের দু:খ-কষ্ট তাঁকে নিজের সংকল্প থেকে বিচলিত করতে পেরেছে। সত্যনিষ্ঠ ও সত্যের এই ধারক বিভিন্ন আপদ-বিপদে সামান্য পরিমাণ ভয় পাননি। বালা মুসিবতের বিক্ষুব্ধ বাতাস তাঁর সুদৃঢ় মনোবলকে নাড়াতে পারে নি। আল্লাহ্ তা’আলা ও তা্রঁ রাসুল صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি উৎসর্গের মনোভাব পার্থিব আপদগুলোকে মোটেও পরোয়া করেনি। বরং আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় যুদ্ধ করতে গিয়ে আসা শত বাধাবিপত্তিকে তিনি সর্বান্তঃকরণে সাধুবাদ জানান। তাছাড়া পৃথিবীর ধন-দৌলত ও সৌন্দয্যের্র লালসাও তাঁর সংকল্প হতে তাঁকে বিচ্যুত করতে পারেনি। এই গাজী নওজোয়ান ইসলামের খাতিরে বিভিন্ন ভাবে পার্থিব আরাম-আয়েশকে ত্যাগ করেন।



ইয়ে গাজী ইয়ে তেরে পুর আসরার বন্দে,   জিনেঁ তো নে বখ্শা হে যওকে খোদাঈ


হে ঠোকর সে দো নীম সাহরা ও দরেয়া,    সিমট কর পাহাড় উন কি হাইবত সে রাঈ


দো আলম সে করতি হে বেগানা দিল কো,    আজব চিজ হে লজ্জতে আশনাঈ


শাহাদত হে মতলূব ও মকসূদে মুমিন,    না মালে গনিমত না কিশওয়র কশাঈ।



অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা রক্ষা পাওয়ারও বিভিন্ন উপায় তৈরি করে রেখেছেন। সেই রোম রমনীটি মুসলমান হয়ে গেল। আর উভয়ে শাদী মোবারকের মাধ্যমে যুগলজীবন লাভ করলেন। প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারাও যদি উভয় জাহানে সফলতা লাভ করতে চান, তা হলে আশিকানে রাসুলদের সাথে মাদানী কাফেলাতে সুন্নত শিখার জন্য সফর করুন এবং প্রতিদিন ফিকরে মদীনার মাধ্যমে মাদানী ইনআমাতের রিসালা পূরণ করে প্রতি মাদানী মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে নিজ এলাকার জিম্মাদারের নিকট জমা করানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

____________

হোসাইনী দুলহা

🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন