শৈশবকাল থেকে পালিত পুত্র যখন বুঝতে শুরু করে তখন তার সাথে পর্দা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। এমন কোন পদ্ধতি বলে দিন যেন পালিত পুত্রের সাথে যুবক হওয়ার পরও পর্দা ওয়াজিব না হয়?

 

প্রশ্ন:- শৈশবকাল থেকে পালিত পুত্র যখন বুঝতে শুরু করে তখন তার সাথে পর্দা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। এমন কোন পদ্ধতি বলে দিন যেন পালিত পুত্রের সাথে যুবক হওয়ার পরও পর্দা ওয়াজিব না হয়?


উত্তর:- তার পদ্ধতি হলো, যে ছেলে বা মেয়েকে পালক নিবেন তার সাথে দুধের সম্পর্ক গড়ে নিন। কিন্তু দুধের সম্পর্ক গড়তে এ বিষয়ে খুবই মনোযোগ রাখা আবশ্যক যে, যদি কন্যা সন্তানকে পালক নিতে হয় তবে স্বামীর পক্ষ থেকে যেন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। যেমন; স্বামীর বোন অথবা ভাতিজী বা ভাগ্নি যেন সেই মেয়েকে দুধ পান করিয়ে দেয় এবং যদি ছেলে সন্তানকে পালক নিতে হয় তবে স্ত্রী তার সাথে নিজের পক্ষ থেকে দুধের সম্পর্ক সৃষ্টি করবে যেমন; স্ত্রী নিজে অথবা তার বোন বা মেয়ে কিংবা বোনের মেয়ে বা ভাইয়ের মেয়ে যেন সেই সন্তানকে নিজের দুধ পান করিয়ে দেয়। এভাবে উভয় পদ্ধতিতে স্ত্রী এবং স্বামী দু’জনেরই পর্দার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। স্মরণ রাখবেন! যখনই দুধের সম্পর্ক সৃষ্টি করবেন, তখন বাচ্চাকে হিজরী সনের হিসাবে দুই বছরের মধ্যে পান করাবেন। এর পর দুধ পান করানো নাজায়েয। বরং মায়ের জন্য তার আপন সন্তানকেও দুই বছরের পর দুধ পান করানো নাজায়েয। কিন্তু যদি আড়াই বছরের ভিতরেও কোন বাচ্চা দুধ পান করে নেয়, তবুও দুধের সম্পর্ক স্থাপন হয়ে যাবে।

______________

কিতাব : পর্দা সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর ও মাসআলা

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন