আধুনিক যুগের মানুষের মন নতুনত্বের প্রতি আসক্ত। প্রত্যেক জিনিসের আধুনিক ফ্যাশন আজ কালের অতি প্রিয়। কতেক আধুনিক ধােকাবাজ তৌহীদের অর্থও আধুনিক করে নিয়েছে। রিসালত, নবুয়্যত ও ঈমানের শরবতকে আধুনিক কৌশলে পাত্রস্থ করে ব্যবহারে মত্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের ঈমানে কাঁপন ধরেছে। কাজেই প্রয়ােজন অনুভব করা হলাে যে, মুসলিম মিল্লাতকে এ চার শব্দগুলাের ঐ পুরানাে নিখুঁত অর্থ বাতলায়ে দেয়া যাক, যা চৌদ্দশত বছর থেকে মেনে আসা হচ্ছে। প্রত্যেক ব্যক্তি জ্ঞাত আছেন যে, তৌহিদ এবং রেছালাত এমন মৌলিক আকিদা বা বিশ্বাস যার উপর ইসলামের মূলভিত্তি স্থাপিত। কালমা-ই- তায়্যৈবা
لا اله الا الله محمد رسول الله
পড়ে সবাই ইসলাম ধর্মের মহান নেয়ামত ঈমান অর্জন করেন। কিন্তু আমাদের জানা দরকার اله“ইলাহ' অর্থ কি? এবং উলুহিয়াত বা আল্লাহর একত্তবাদের পরিধি বা ভিত্তি কি জিনিসের উপর? উলুহিয়্যাত এবং আবদিয়াত (দাসত্ত) এর পৃথককারী জিনিসটি কি? এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ব্যতিত কোন ইলাহ নেই। কিন্তু ইলাহ কি? সাধারণতঃ বলা হয়, যে, ইলাহ তিনিই যিনি গায়েব (অদৃশ্য) জানেন। ইলাহ তিনিই, যিনি মুশকিল কুশা (অসাধ্য সাধনকারী) হাজত রওয়াহ (মনবাসনা পূর্ণকারী) এবং অভিযােগ শ্রবণকারী, সাহায্যদাতা। ইলাহ তিনিই যিনি দূর থেকে শুনেন এবং দেখেন। এ বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য এ যে সাধারণত মুসলিম মিল্লাত, আম্বিয়া-ই কেরাম, আউলিয়ায়ে এজাম বিশেষ করে হুযুর সায়্যৈদুল আম্বিয়া (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অদৃশ্য জ্ঞানী, হাজির নাজির, অভিযােগ শ্রবণকারী, সাহায্যদাতা হিসেবে জানেন এবং বিশ্বাস করেন।ওদের মতে এরা সব মুশরীক, কেননা তারা বান্দাদেরকে ইলাহ মানছে।
আরবের মুশরীকগণ তাদের মুর্তিগুলাের (প্রতিমা) ব্যাপারে এ আকিদা রাখতাে যে, এরা গায়ের (আদৃশ্য) জানে, প্রার্থনা কবুল করে ওরা মুশরীক ছিল। এ মুসলিমরাও নবী-ওলীগণের মধ্যে ক্ষমতা মেনে নিয়ে আরবের মুশরীকদের ন্যায় শির্কে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি দেখাচ্ছি যে, ইলাহ শব্দের এ অর্থ কোন মতে শুদ্ধ নয় এবং না এসব জিনিসের উপর উলুহিয়াত নির্ভরশীল। (যদি হয়) তাহলে কোরআনের আলােকে লক্ষাধিক ইলাহ মানতে হবে।
_________________
কিতাবঃ ইসলামের মৌলিক চারটি বিষয়।
মূলঃ হাকিমুল উম্মাহ মুফতি ইয়ার খান নঈমী (রহঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন