তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিদের আরাে কিছু ভ্রান্ত আক্বিদা

 

তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিদের আরাে কিছু ভ্রান্ত আক্বিদা:

১। গাঙ্গুহী সাহেবের অন্যতম শিষ্য মৌ: হােসাইন আলী। দেওবন্দী স্বীয় গ্রন্থ"বুলগাতুল হায়রান", ১৫৬ নং পৃষ্ঠায় বলেছেন-' আর মানুষ খােদ মুখতার ; ভাল করুক কিংবা নাই করুক এর পূর্বে আল্লাহর এ সম্পর্কে কোন জ্ঞানও নেই যে, তারা কি করবে ; বরং তারা (কাজ) করার পরে আল্লাহ্ জানতে পারবেন। অর্থ-মানুষ কার্য সম্পাদনের পূর্বে আল্লাহ্ কিছুই জানেন না। (নাউযুবিল্লাহ)



২। বুলগাতুল হাযরান কিতাবের ৮ নং পৃষ্ঠায়-উক্ত মৌ: হােসাইন আলী নবী করীম (ﷺ)-কে পুলসিরাত হতে পতিত হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ)।



৩। তাবলীগ জামাত ও দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বি ও গাঙ্গুহী। সাহেবের ভক্ত মৌ: মাহমুদ হাসান দেওবন্দী, তার রচিত"আল জাহদুল মুকিল"-এর ১ ম খন্ড, ৮৩ নং পৃষ্ঠায় বলেন-"মন্দ কার্যাদি সম্পাদনে মহান আল্লাহ রাব্বল আলামিন। সক্ষম।"(নাউযুবিল্লাহ)



তিনি উক্ত কিতাবের ৪১ নং পৃষ্ঠায় বলেন, অন্যান্য মন্দ কাজের ন্যায় মিথ্যা বলাও আল্লাহর পক্ষে সম্ভব'। (নাউযুবিল্লাহ)



৪। ইসলামী শরিয়তে মক্কায় এক রাকাত নামাজে এক লক্ষ আকসায় পঁচিশ হাজার রাকাতের ল্যাবের কথা রয়েছে। অথচ তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের মতে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে এক রাকাতে উনপঞ্চাশ কোটি রাকাতের সওয়াব পাওয়া যায়। (দাওয়াতে তাবলীগ, পৃষ্ঠা-৮০, কৃত মোঃ আশরাফ আলী তালেবী)। উল্লেখ্য, তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের মধ্যে এমন"বহুত ফায়দা"ও বেশী বেশী নেকীর অনেক মিথ্যা আশ্বাস প্রচলিত রয়েছে।



মন্তব্য-



+মহান রাব্দুল আলামীন সুরা বনি ইসরাঈলের ৭১ নং আয়াতে এরশাদ করেন-"স্মরণ কর, সে দিনকে যখন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের নেতা সহ আহবান করব।



+"আর রাসুল (ﷺ) ফরমান-"যে যাকে ভালবাসে হাশর নশর তার সাথেই হবে।"(বুখারী-৫৭০২, মুসলিম-৪৭৭৯)



+তিনি (ﷺ) আরও ফরমান-"তুমি যাকে ভালবাস তার সাথেই তুমি জান্নাতে থাকবে।"(বুখারী-৪৭৭৫, মুসলিম-৬ষ্ঠ খন্ড, নং-৬৪৭২)



এখন ভেবে দেখুন আপনি কাকে ভালবাসেন ও অনুসরণ করেন এবং কার সাথে আপনি হাশরে ও জান্নাতে থাকতে চান।



প্রসঙ্গক্রমে সম্মানিত পাঠকগণের জ্ঞাতার্থে একটি তথ্য উপস্থাপন করছি। ইমামে আহলে সুন্নাত মুজাদ্দিদে মিল্লাত ইমাম আহমদ রেজা খান বেরলভী (র:) ১৩২০ হিজরীতে আরবীতে"আল-মু'তামাদুল মুস্তানাদ"নামক একখানা পুস্তক রচনা করেন, যা হিন্দুস্থানের গােলাম আহমদ কাদিয়ানী ও উপরােল্লিখিত দেওবন্দী আলেমগণের উর্দুতে রচিত বিভিন্ন কিতাব সমূহে তাদের বর্ণিত জঘন্য আপত্তিকর মতবাদ/ আকিদার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তা আরবীতে অনুবাদপূর্বক মক্কা মােয়াজ্জমা ও মদিনা মােনাওয়ারার ৩৩ জন মুফতির খেদমতে পেশ করে তাদের মতামত চান। হারামাঈন শরীফাঈনের ঐ ৩৩ জন মুফতি এবারতসমূহ পর্যালােচনা করে ঐগুলাের লেখকগণকে সরাসরি কাফের ঘােষণা করেন। উক্ত ফতােয়ার নাম হয়"হুসামুল হেরমাঈন"বা মক্কা-মদিনার তীক্ষ তরবারী, যা ১৩২৪ হিজরীতে প্রকাশিত হয় (এটার বাংলা অনুবাদকৃত কপি আমার কাছে মজুদ আছে) (মাসিক সূন্নীবার্তা, নং-১৮৮)।



যদিও উলামায়ে হারামাঈন কর্তৃক (দেওবন্দী মুরুব্বীদের আকিদা সম্বন্ধে) জিজ্ঞাসিত ২৬ টি প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীণ দেওবন্দের শিষ্য উলামায়ে কেরামের অনুরােধক্রমে মাওলানা খলীল আহমাদ সাহারানপুরী"আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ"কিতাবের মাধ্যমে তাদের সাফাই পেশ করেন। (১৩২৫ হিজরীতে), এছাড়া জানামতে অদ্যাবধি তারা কিংবা তাদের অনুসারীগণ তাদের পােষণকৃত ভ্রান্ত কুফুরী আক্বিদা গুলাে প্রত্যাখান কিম্বা ভূল স্বীকার করেননি। উল্লেখ্য, এ ফতােয়া প্রদানের আগে তাদের ভ্রান্ত আক্বিদার বিষয়ে প্রত্যেককে আলা হযরত চিঠি লিখেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও তাদের নিকট হতে কোনরূপ জবাব বা অনুশােচনার মনােভাব প্রকাশ না হওয়ায় এ ফতােয়া জারী করা হয়।



যদিও উক্ত ফতােয়ার বিষয়ে তাবলীগ জামাতের অনুসারীগণ ও দেওবন্দী আলেমগণ ঐ হাদীসের আশ্রয় নেন, যাতে বলা আছে কেউ কাউকে বিনা কুফুরীতে কাফের বললে, তার পরিণতি নিজের দিকেই ফিরে আসবে। কিন্তু এখানে যে কারনে তাদেরে কাফের ফতােয়া দেয়া হয়েছে, তার যথার্থতা পাঠককুল নিজেরাই ভেবে দেখতে পারেন।

__________________

কিতাবঃ ইসলামী তাবলিগ বনাম বর্তমান তাবলিগ

সংকলকঃ  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন