আশরাফ আলী থানভীর আকিদা

 

আশরাফ আলী থানভীর আকিদাঃ


১। থানভী সাহেবের এক মুরিদ তাকে লিখল যে,"আমি রাত্রি বেলায় স্বপ্ন দেখলাম যে, আমি শুদ্ধভাবে কালিমায়ে শাহাদাৎ উচ্চারণ করতে খুব চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রত্যেকবারই এভাবে উচ্চারিত হলাে:

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আশরাফ আলী রাসূলুল্লাহ"



"এহেন কুফুরী কালিমার জন্য তিনি মুরিদকে ভৎর্সনা ও তওবার কথা না বলে উত্তরে শুধু এতটুকু বলে শেষ করলেন যে,"আমার প্রতি তােমার মহব্বত খুব বেশী, এসব তারই ফল।"(তথ্যসূত্র: তাবলীগী জামাত, পৃ ; ৫৫ ও ৫৬)



উক্ত মুরিদ ঐ চিঠিতে আরাে উল্লেখ করেন যে, দরূদ পড়ার সময় নবীজি (ﷺ)-এর নামের পরিবর্তে থানভী সাহেবের নাম চলে আসে। তদুত্তরে থানভী সাহেব লিখেন,"এ ঘটনায় এ কথার সান্ত্বনা নিহিত যে, তুমি যার প্রতি মনােযােগী তিনি আল্লাহ তায়ালার সাহায্যক্রমে সুন্নতের অনুসারী।"(বেসালায় আল এমদাদ ; তথ্যসূত্র-তাবলীগ জামাত, পৃ: ৫৭, তাবলীগ দর্পণ পৃ: ৫৬)



°°°মন্তব্যঃ এমন কালিমা ও দরূদ কি কুফরী নয় ?



২। থানভী সাহেব বৃদ্ধ বয়সে প্রথম স্ত্রীর বর্তমানে এক যুবতী মুরিদনীকে বিবাহ করেন। থানভী সাহেবের ভাই পত্র মারফত


ইহার কারণ জানতে চাইলে তিনি জবাবে লিখেন যে,' কাশফ দ্বারা দেখলেন যে তার গৃহে আয়েশা (رضي الله عنه) আগমন করেছেন। ইহার আলােকে এবং নবী (ﷺ)-এর সাথে মা আয়েশা (رضي الله عنه) বিবাহের ঘটনার যুক্তি দেখিয়ে তিনি কুমারীর সাথে তার বিবাহের যথার্থতা প্রমাণ করেন।' (রেসালায় আল এমদাদ ; তথ্যসূত্র: তাবলীগ দর্পণ, পৃ: ৫৭)



°°°মন্তব্যঃ এমন ব্যাখ্যা মা আয়েশা (رضي الله عنه) এর প্রতি চরম। বেয়াদবী নয় কি ?



৩-থানভী সাহেবের মতে-"রাসূলের যে এলমে গায়েব আছে। এমন এলেমে গায়েব তাে যায়েদ, ওমর বরং সমস্ত শিশু, পাগল এবং সমস্ত জীব জানােয়ার ও চতুষ্পদ জন্তু (গরু, ছাগল, শিয়াল, কুকুর ইত্যাদি) সবার মধ্যেই আছে।"(নাউযুবিল্লাহ) (সূত্র: থানবী সাহেব রচিত হিফযুল ঈমান, পৃঃ ১৫)



°°°মন্তব্য-হুজুর (ﷺ)-এর শানে এর চাইতে বেয়াদবী মূলক মন্তব্য আর কি হতে পারে ?



৪। থানভী সাহেব তার কাছদুস সাবিল"গ্রন্থে লিখেন' আকিকা, খতনা, বিসমিল্লাহখানী, চল্লিশা, শবে বরাতের হালুয়া, মহররমের অনুষ্ঠান ইত্যাদি ছেড়ে দাও, নিজেও করাে অন্যের ঘরে হলেও যােগদান করাে না।' (তথ্য সূত্র: তাবলীগ জামাত, পৃ: ৬২)। অথচ এ আমল গুলাে জায়েয।



৫। একই কিতাবে (কাছদুস সাবিল) তিজা (কুলখানী), দশওয়া, বিশওয়া, চল্লিশা, ওরশ, বুজুর্গের উদ্দেশ্যে মানত, ফাতেহা শরীফ, গেয়ারবী শরীফ, মিলাদ শরীফ ইত্যাদি বরকতময় কাজকে তিনি নাজায়েয বলেছেন এবং এতে অংশ নিতে। বারণ করেছেন। (তথ্য সূত্র: তাবলীগী জামাত, পৃ: ৬৩)। অথচ এগুলাে বরকতময় আমল।



৬। ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ করাকে তিনি বৈধ/ জায়েয মনে করতেন না।

(তথ্য সূত্র: তাবলীগী জামাত, পৃ: ৬১)।



অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বুযুর্গগণ ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনকে শবে কদরের চাইতেও উত্তম মনে করেন।

__________________

কিতাবঃ ইসলামী তাবলিগ বনাম বর্তমান তাবলিগ

সংকলকঃ  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন