নাজদ থেকে শয়তানের দল বের হবেঃ-
❏সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ বিন ওমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, নাবী কারিম (ﷺ) দোয়া করেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي يَمَنِنَا
-‘হে আল্লাহ আমাদের শাম দেশে বারকাত দান করুণ। হে আল্লাহ আমাদের ইয়ামান দেশে বারকত দান করুণ। তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে আরয করলেন, হে রাসূল (ﷺ) আমাদের নাজদের জন্য দোয়া করুণ।’
নবী কারিম (ﷺ) পুনরায় শাম এবং ইয়ামানের জন্য দোয়া করলেন, অতঃপর নজদ বাসীরা আরয করল, আমাদের নাজদের জন্য দোয়া করুণ।
রাবী বলেন, তৃতীয়বার যখন বলা হল হে রাসূল (ﷺ) আমাদের নাজদের জন্য দোয়া করুণ। তখন নাবী কারিম (ﷺ) বললেন-
هُنَاكَ الزَّلاَزِلُ وَالفِتَنُ، وَبِهَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ
-‘‘সেখানে ভূমিকম্প এবং ফিতনা বের হবে এবং সেখান হতেই শয়তানের শিং বের হবে।’’ ১৬৬
{১৬৬. সহীহ বোখারী শরীফ, ৯/৫৪ পৃ. হা/৭০৯৪, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৭৬৬ পৃ. হা/৬২৭১, ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ৬/২২৭ পৃ. হা/৩৯৫৩, ৯/৪৫৮ পৃ. হা/৫৬৪২। }
আক্বিদা
নাবী পাক (ﷺ)’র কাছে পুরো নজদ থেকে যে ফিতনা এবং শয়তানের দল বের হবে সেটার ইলম ছিল। আর এই দলের প্রধান ছিল মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব নাজ্দী। বড় বড় মুহাদ্দিস এবং ব্যাখ্যাকার এই হাদিসের ব্যাখ্যা এটিই নির্ণয় করেছেন। ১৬৭
{১৬৭. এমনকি দেওবন্দীদের শায়খে কেরআন আল্লামা আব্দুল হাদী শাহ মানসুরী তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব ‘তাসহিুলুল বুখারী’ তে এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেন-
لعل المراد منه قَرْنُ محمد بن عبد الوهاب النجدى-
-‘‘সম্ভবত মহানবী (قَرْنُ) শব্দ দ্বারা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব নাজদী কে বুঝিয়েছেন।’’ (তাসহিলুল বুখারী, ২১ পৃ., দারুল উলূম তালিমুল কোরআন, মারদান হতে প্রকাশিত।) মক্কা শরীফের অন্যতম মুফতি ও মুহাদ্দিস আল্লামা আহমদ ইবনে যাইনী দাহলান মক্কী (رحمة الله) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেন-
جاء رواية قرنا الشيطان بصغية التثنية قال بعض العلماء المراد من قرنى الشيطان مسيلمة الكذاب و ابن عبد الوهاب-
-‘‘এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে (قرنا الشيطان) উলামায়ে কেরাম এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ভণ্ড নবী দাবীদ্বার মুসায়লামাতুল কায্যাব এবং ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নাজদী।’’ (ইবনে দাহলান, আদ্-র্দুরুস সানিয়্যাহ, ৫০ পৃ.)}
বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার (গ্রন্থকারের) ‘ওহাবী মাযহাব’ নামক কিতাবটি অধ্যয়ন করুণ।
❏সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) খারিজিদের ব্যাপারে যে দৃষ্টিভঙ্গি রাখতেন, সে ব্যাপারে ইমাম বুখারী (رضي الله عنه) তাঁর বুখারী শরীফে লিখেছেন,
وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، يَرَاهُمْ شِرَارَ خَلْقِ اللَّهِ، وَقَالَ: إِنَّهُمُ انْطَلَقُوا إِلَى آيَاتٍ نَزَلَتْ فِي الكُفَّارِ، فَجَعَلُوهَا عَلَى المُؤْمِنِينَ
-‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (رضي الله عنه) খারেজীদেরকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে মন্দ জানতেন। তিনি বলতেন এইসব লোক কাফিরদের ব্যাপারে যে আয়াত নাযিল হয়েছে তা মু‘মিনদের উপর চাপিয়ে দিত।’ ১৬৮
{১৬৮. সহীহ বোখারী, ৯/১৬ পৃ. পরিচ্ছেদ: بَابُ قَتْلِ الخَوَارِجِ وَالمُلْحِدِينَ بَعْدَ إِقَامَةِ الحُجَّةِ عَلَيْهِمْ}
আক্বিদা
এমন কতেক লোক রয়েছে যারা কুরআন পড়ে আর কুরআনের যে সব আয়াত কাফেরদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে তা মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়। এরা কারা?
এখন লক্ষ্য করুণ, যে সব লোক নবীগণ ও ওলীগণের মান মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং তাদের দানের ক্ষমতাকে অস্বীকার করে এবং নিজেদের দলিলের স্বপক্ষে যেসব কুরআনের আয়াত পড়ে সব আয়াত যে ব্যাপারে নাযিল হয়েছে তা নবীগণ ও ওলীগনের উপর চাপিয়ে দেয়।
আর এরা হল ওই সব লোক যাদের চিহ্নিত করনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) বলেছেন যে, দুনিয়ার মধ্যে এরা সবচেয়ে মন্দ লোক।
❏কবি বলেন-
خدا محفوظ ركهے ہر بلا سے
خصوصا خارجيت كى دبا سے
-‘হে আল্লাহ, প্রত্যেক মুসিবত থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন,
বিশেষ করে খারিজিদের মহামারী থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন।’
____________________
আকাইদে সাহাবাহ
(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)
মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ
ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)
বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন