প্রথম কথা
ইতিহাসের কলংক আহলে বাইতের দুষমন, মানবতার শত্রু এজিদ ছিল একাধারে ফাসিক, ফাজির, মদখোর, জুয়াড়ি ও বেনামাজি। প্রখ্যাত সাহাবি হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহ আনহু এর ঔরষে জন্মগ্রহণ করেও সে যত পাপাচার করেছে তা বর্ণনা করতেও শরির শিউরে উঠে। এজন্য সমস্ত উলামায়ে কেরামগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, এজিদ ছিল একজন জঘন্য ফাসিক বা পাপিষ্ঠ। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল আলাইহির রহমত সহ একদল উলামায়ে কেরামগণ তাকে কাফির ফতোয়া প্রদান করেছেন। (এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘ইয়াযিদের হাকিকত’ বইটি পড়ার অনুরোধ রইল)
কিন্তু আজ এজিদপ্রেমী সালাফিরা স্বীয় প্রেমিকের প্রশংসায় এতটাই পঞ্চমুখ যে, তারা মসজিদের মিম্বরে দাঁড়িয়ে এজিদের প্রশংসা করছে। এজিদ নাকি অনেক বড় তাবেয়ি ছিল। কারবালার হত্যাকান্ডে তার নাকি কোন হাত ছিল না। সে নাকি ক্ষমাপ্রাপ্ত। তার জন্য জান্নাত নাকি ওয়াজিব হয়ে গেছে। তার নামের শেষে রাহিমাহুমুল্লাহ বলে দোয়া করা হচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ
সর্বপরি এজিদকে ক্ষমাপ্রাপ্ত ও জান্নাতি বানাতে গিয়ে তার ভক্তবৃন্দরা বুখারি শরীফের একটি হাদিসের ইবারত ও অর্থকে পরিবর্তন করে সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে ধোকা দিচ্ছে।
তারা বলে নবীজি নাকি বলেছেন, আমার উম্মতের যে ব্যক্তি সাগর পথে কোন যুদ্ধে অংশ নিবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। আবার কেউ বলে নবীজি বলেছেন যে ব্যক্তি কুস্তুনতুনিয়ার যুদ্ধে অংশ নিবে সে ক্ষমাপ্রাপ্ত। অথচ হাদিসের মর্মকথা এর সম্পূর্ণ বিপরীত। নবীজি (ﷺ) বলেছেন: সর্ব প্রথম যে বাহিনী সাগর পথে অভিযান করবে তাদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। আর সর্ব প্রথম বাহিনী যারা কায়সারের শহরে আক্রমণ করবে তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত। তাই আসুন প্রথমে তাদের দু’একটি বক্তব্য শুনি।
____________
কিতাব: কুস্তুনতুনিয়ার যুদ্ধে এজিদের অন্তর্ভুক্তি
লেখকঃ হাফিজ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ইকরাম উদ্দিন
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন