ঈদের নামাযের আগে ও পরে (নফল) নামায না পড়া


৫১ - بَابُ مَا جَاءَ فِيْ عَدْمِ الصَّلَاةِ قَبْلَ الْعِيْدِ وَلَا بَعْدَهَا

১৪৮ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ  خَرَجَ يَوْمَ الْعِيْدِ إِلَى الْـمُصَلَّىٰ، فَلَـمْ يُصَلِّ قَبْلَ الصَّلَاةِ وَلَا بَعْدَهَا شَيْئًا.

বাব নং ৬৬. ৫১. ঈদের নামাযের আগে ও পরে (নফল) নামায না পড়া প্রসঙ্গে

১৪৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আদী থেকে, তিনি সাঈদ ইবনে জুবাইর থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ)  ঈদের দিন ঈদগাহে গমন করেছেন কিন্তু ঈদের নামাযের আগে অথবা পরে কোন (নফল) নামায আদায় করেন নি। (নাসাঈ, ৩/১৯৩/১৫৮৭)

ব্যাখ্যা: হাদিসে বর্ণিত বিধান ঈদগাহের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা রাসূল (ﷺ)  ঈদগাহের মধ্যে ঈদের নামাযের আগে ও পরে অন্য কোন নামায আদায় করেন নি। সিহাহ সিত্তাহ্ গ্রন্থসমূহে এ ধরনের আরো অনেক রেওয়ায়েত রয়েছে। তবে কোন কোন রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, اذا رجع الى منزله صلى ركعتين “যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসতেন, তখন দু’রাকাত নামায পড়তেন।” মূলকথা হল ঈদের নামাযের আগে ঘরে কিংবা ঈদগাহে নামায পড়া জায়েয নয়। তবে ঈদের নামাযের পরে ঘরে দু’রাকাত পড়া যেতে পারে।
+++++++
কিতাবঃ শরহে মুসনাদে ইমাম আ‘যম আবু হানিফা 
[ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সংকলিত কিতাব মুসনাদে ইমামে আজমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ]
ব্যাখ্যাকারঃ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষকঃ
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া
ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন