নবিদের সম্পর্কে আক্বিদা


১.‘নবী’ শব্দের অর্থই হলো, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা। আর যদি বাতিল পন্থীদের মতো নবি অর্থ যদি শুধু ‘সংবাদদাতা’ হয় তাহলে তো টেলিভিশনের সংবাদ প্রদানকারীও নবি হবেন! ইমাম শিহাবুদ্দীন কাস্তাল্লানী (رحمة الله) বলেন-

 النبوة ماخوذة من النباء بمعنى الخبر ان اطلعه الله على الغيب-

-‘‘ نبوة শব্দটি نباء শব্দ থেকে নির্গত; যার অর্থ হচ্ছে খবর বা জ্ঞান। অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁকে অদৃশ্য বিষয়াদি অবহিত করেছেন (সে খবর)।’’ 

➤ ইমাম কুস্তালানী : মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া : ২/১৯২পৃষ্ঠা,।


‘নবী’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে আরবী অভিধানের কিতাব مصباح اللغات এর ৮৪৭ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে النبى : الله تعالى كے الهام سے غيب كى باتيں بتا نيوالا - 

-‘‘নবী’ শব্দের অর্থ হল আল্লাহ তা‘য়ালা কতর্ৃক ইলহামের মাধ্যমে গায়বের সংবাদ প্রদানকারী।’’

আরবী অভিধানের অন্যতম কিতাব المنجد (আল মুনজিদ) এর ৭৮৪ নং পৃষ্ঠায় নবুয়ত শব্দের অর্থ সম্পর্কে বলা হয়েছে-

النبوة : الاخبار عن الغيب او المستقبل بالهام من الله

-‘‘নবুয়ত হলো আল্লাহ তা‘য়ালার পক্ষ থেকে ইলহামের মাধ্যমে গায়ব বা ভবিষ্যতের সংবাদ প্রদান করা।’’

২. নবি ওই ধরনের সম্মানিত মানবকে বলা হয়, যার কাছে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা‘য়ালা ওহী পাঠিয়েছেন। (আল-আরবাঈন, ৩৩পৃ. শরহে আকাঈদ, ৯৪পৃ.)

৩. নবিগণ সবাই পুরুষ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোন মহিলা বা জ্বীন ছিল না। (সূরা জ্বীন, শরহে আকায়েদ, ২৯পৃ.) তাই ডা. জাকির নায়েকের মত কেউ এ কথাও ধারনা করা গোমরাহী হবে যে চারজন মহিলা নবি এসেছিলেন।’’ ➤ জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র, ভলিয়ম নং ১ পৃষ্ঠা, নং ৩৫৫, পিস পাবলিকেন্স, ঢাকা।


আরবী অভিধানের অন্যতম কিতাব المنجد (আল মুনজিদ) এর ৭৮৪ নং পৃষ্ঠায় নবুয়ত শব্দের অর্থ সম্পর্কে বলা হয়েছে-

النبوة : الاخبار عن الغيب او المستقبل بالهام من الله

-‘‘নবুয়ত হলো আল্লাহ তা‘য়ালার পক্ষ থেকে ইলহামের মাধ্যমে গায়ব বা ভবিষ্যতের সংবাদ প্রদান করা।’’

২. নবি ওই ধরনের সম্মানিত মানবকে বলা হয়, যার কাছে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা‘য়ালা ওহী পাঠিয়েছেন। (আল-আরবাঈন, ৩৩পৃ. শরহে আকাঈদ, ৯৪পৃ.)

৩. নবিগণ সবাই পুরুষ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোন মহিলা বা জ্বীন ছিল না। (সূরা জ্বীন, শরহে আকায়েদ, ২৯পৃ.) তাই ডা. জাকির নায়েকের মত কেউ এ কথাও ধারনা করা গোমরাহী হবে যে চারজন মহিলা নবি এসেছিলেন।’’ ➤ ইবনে কাসির, তাফসিরে ইবনে কাসির, ৪/৩৬২পৃষ্ঠা, প্রাগুক্ত।


ইমাম আবুল হাসান আশ‘আরী (رحمة الله) বলেন-  أَنَّهُ لَيْسَ فِي النِّسَاءِ نَبِيَّةٌ-‘‘কোনো মহিলা নবি ছিলেন না।’’ ১০৮

৪. নবি প্রেরণ করাটা আল্লাহর বাধ্যগত ব্যাপার নয়। তিনি স্বীয় মেহের বানীতে মানুষের হেদায়েতের জন্য নবিগণকে পাঠিয়েছেন। (উসূলে বাযদভী, ১২৬পৃ.)

৫. নবি হওয়ার জন্য ওহীর প্রয়োজন, প্রত্যক্ষ হোক বা ফিরেশতার মাধ্যমে হোক। (তামহিদ, ১২৬পৃ.)

৬. যে ব্যক্তি নবি থেকে নবুয়ত বিলুপ্ত হতে পারে বলে মনে করে সে, কাফির।

➤ আরবাঈন, ৩২৯পৃষ্ঠা,

সমস্ত নবীগণ নিষ্পাপ ছিলেন
---------------

৭. নবিগণের নিষ্পাপ হওয়া আবশ্যক। নিষ্পাপ হওয়াটা একমাত্র নবি ও ফিরেশতাগণের বৈশিষ্ট্য। নবি ফিরেশতা ব্যতীত কেই নিষ্পাপ নয়। শরীয়তের ইমামদের নবিদের মতো নিষ্পাপ মনে করাটা গোমরাহী ও ধর্মহীনতার পরিচায়ক। ইসমতে আম্বিয়া বা নবিগণ নিষ্পাপ হওয়া মানে আল্লাহ তাঁদেরকে পাপমুক্ত রাখার জন্য ওয়াদাবদ্ধ। কিন্তু ইমাম ও পীর-আওলিয়াদের জন্য এ রকম কোন ওয়াদা নেই। তাই নবিদের থেকে গুনাহ প্রকাশ পাওয়াটা অসম্ভব। (আরবাঈন, ৩২৯পৃ.)


শয়তানের জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্পেশাল বান্দা রয়েছেন যাদের শয়তান কখনই মন্দ কাজ তো দূরের কথা তাদের অন্তরে খারাপ ধারণাও সৃষ্টি করতে শয়তান সক্ষম নয়। মহান আল্লাহ তা‘য়ালা তাদেরকে হিফাযত করেন, আর তা ইরশাদ করেন এভাবে-

إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ 

-‘‘ওহে ইবলিশ, আমার বিশিষ্ট বান্দাদের উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব নেই।’’

➤সুরা হিজর,আয়াত ৪২



শয়তান নিজেই স্বীকার করেছিল-

وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ (৩৯) إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ

-‘‘হে মওলা, তোমার বিশিষ্ট বান্দাগণ ব্যতীত বাকী সবাইকে বিপদগামী করবো।’’

➤সুরা হিজর,আয়াত ৩৯-৪০



হযরত ইউসুফ (عليه السلام) নবীগণের চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন-

وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي

-‘‘আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না। মানুষের মন অবশ্যই মন্দকর্ম প্রবণ। তবে (তারা ছাড়া) যার প্রতি আল্লাহর দয়া রয়েছে।’’ 

➤সুরা ইউসুফ,আয়াত ৫৩


আল্লামা মোল্লা জিওন (رحمة الله) সূরা বাক্বারার ১২৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-

انَّهُمْ مَعْصُومونَ عَن الكُفْر قَبْل الوحى وَ بَعَده باجماع

-‘‘নবীগণ ওহী প্রাপ্তির আগে ও পরে কুফুরী থেকে পূতঃপবিত্র থাকেন।’’ 

➤মোল্লা জিওন, তাফসীরে আহমদিয়া, ২১২ পৃষ্ঠা,


তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আরও বলেন-

لاخلاف لاحد فى ان نبينا عليه السلام لم يرتكب صغيرة ولاكبيرة طرفة عين قبل الوحى وبعده كما ذكره ابو حنيفة فى الفقه الاكبر. –

-‘‘এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, আমাদের নবী (ﷺ) নবুয়াতের আগে বা পরে এক মুহূর্তের জন্যও সগীরা বা কবীরা কোন প্রকারের গুনাহে লিপ্ত হননি, যেমন ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) তাঁর ফিকহুল আকবারে উল্লেখ করেছেন।’’ 

➤মোল্লা জিওন, তাফসীরে আহমদিয়া, ২১৩পৃ


আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) সুরা শূরা এর ১৫২ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-

يدل عليه انه عليه السلام قيل له هل عبدت وثنا قط قال لاقيل هل شربت خمرا قط قال لافمازلت اعرف ان الذى هم عليه كفر-

-‘‘হুযুর (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনি কখনও মূর্তি পূজা করে ছিলেন? তিনি ইরশাদ ফরমান-‘না’। ‘‘আপনি কখনও শরাব পান করেছিলেন?’’ ফরমালেন-‘না, আমি তো সবসময় জানতাম যে, আরববাসীদের এ আচরণ কুফরী।’’ 

➤ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহূল বায়ান, ৮/৩৪৭ পৃষ্ঠা,দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।


তিনি এ হাদিসটিকে হুবহু হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে মারফু সূত্রে সংকলন করেছেন এভাবে-

قال على رضى الله عنه قيل للنبى عليه السلام هل عبدت وثنا قط قال لا قيل هل شربت خمرا قط قال لا وما زلت اعرف ان الذي هم اى الكفار عليه كفر

-‘‘হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ)‘র কাছে একদা এক ব্যক্তি জানতে চাইলেন.....উপরের হাদিসের মত।’’

➤ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহূল বায়ান, ৫/৩৫৮ পৃষ্ঠা, ও ৮/৭৫ পৃষ্ঠা,প্রাগুক্ত, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল  উম্মাল, ১২/৪৮৭ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩৫৫৯৮



এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (رحمة الله)‘র ‘জা‘আল হক’ ২য় খন্ডের (বাংলা) ২৮৬-৩১৪ পৃষ্ঠা দেখুন।


এক নজরে তাদের সম্পর্কে আরও কিছু আক্বিদা
----------------

৮. নবিগণ শিরক, কুফুরী, ওই ধরনের কাজ, যার দ্বারা মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হতে হয়, যেমন মিথ্যা, আত্মসাৎ, অজ্ঞতা ইত্যাদি ও মান-সম্মান বিবর্জিত আচরণ থেকে নবুয়াতের আগে ও পরে তাঁরা ইচ্ছাকৃত সগিরা গুনাহ থেকেও পবিত্র। (উসূলে বাযদবী, ১৬৭পৃ.)

৯. আল্লাহ তা‘য়ালা সমস্ত নবিদেরকে ইলমে গায়ব দান করেছেন।

➤সুরা নিসা, ২৬-২৭, সুরা আলে-ইমরান-১৭৯,  সুরা তাকবীর, ২৪


আসমান জমীনের প্রতিটি অণু পরমাণু নবিদের সামনে উদ্ভাসিত। তাঁদের এ ইলমে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান) খোদা প্রদত্ত। প্রদত্ত জ্ঞান আল্লাহর জন্য অসম্ভব। কেননা তার কোন সিফাত বা কামালিয়াত কারো প্রদত্ত হতে পারে না, বরং তাঁর  সমস্ত গুণবলী সত্তাগত।


সমস্ত নবীরা তাদের কবরে জীবিত
--------------------

১০. সমস্ত নবি  ওফাতের পর তাঁদের নিজ নিজ সমাধিতে জীবিত এবং সেখানে তাঁরা নামাজ পড়েন।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ- 

-‘‘হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : নিশ্চয় আম্বিয়ায়ে কিরাম (রাঃ) তাঁদের নিজ নিজ কবরে জীবিত এবং তারা সেখানে নামায আদায় করেন।’’

➤ ইমাম আবু ই‘য়ালা : আল মুসনাদ : ৬/১৪৭ পৃ: হাদিসঃ ৩৪২৫, ইমাম বায়হাকী : হায়াতুল আম্বিয়া : ৬৯-৭০ পৃষ্ঠা,ইমাম হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়াইদ : ৮/২১১ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৩৮১২, ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানী : তবকাতে ইস্পাহানী : ২/৪৪ পৃ:, ইমাম আদী : আল কামিল : ২/৭৩৯ পৃ:,ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী: আল-জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯, ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী: শরহুস সুদূর:  পৃষ্ঠা, ২৩৭, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী: সিলসিলাতুস সহীহা: হাদিস : ৬২২, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সাহীহুল জামে : হাদিস নং- ২৭৯০, দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ১/১১৯ পৃষ্ঠা, হাদিস ৪০৩।



ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) বলেন, হাদিসটি ‘হাসান’। ➤ সূয়ুতি, আল-জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯ এবং শরহুস সুদূর:  পৃষ্ঠা, ২৩৭


আলবানী তার দুটি গ্রন্থে হাদিসটি সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন। ➤আলবানী, সিলসিলাতুস সহীহা: হাদিস/৬২২ এবং সহীহুল জামে : হাদিস/২৭৯০


অপরদিকে আল্লামা নুরুদ্দীন ইবনে হাজার হাইসামী (رحمة الله) বলেন-

رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى وَالْبَزَّارُ، وَرِجَالُ أَبِي يَعْلَى ثِقَاتٌ.

-‘‘এ হাদিসের সকল রাবি সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’

➤ মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৮/২১১ পৃষ্ঠা, হা/১৩৮১২, এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম খন্ডের ৪০৭-৪১১  পৃষ্ঠা, দেখুন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে আসবে।


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:وَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، فَإِذَا مُوسَى قَائِمٌ يُصَلِّي، فَإِذَا رَجُلٌ ضَرْبٌ، جَعْدٌ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَإِذَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ يُصَلِّي، أَقْرَبُ النَّاسِ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، وَإِذَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ يُصَلِّي، أَشْبَهُ النَّاسِ بِهِ صَاحِبُكُمْ - يَعْنِي نَفْسَهُ - فَحَانَتِ الصَّلَاةُ فَأَمَمْتُهُمْ-

-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, মি‘রাজের রাত্রে আম্বিয়া (عليه السلام) এর এক বিরাট জামাতকে দেখেছি, মুসা (عليه السلام)কে তার কবরে নামায পড়তে দেখেছি। তাকে দেখতে মধ্য আকৃতির চুল কোকরানো সানওয়া দেশের লোকের মত। আমি ঈসা (عليه السلام) কে দন্ডায়মান অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি, তিনি দেখতে ওরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফীর মত ........... তার পরে নামাযের সময় আসলো আমি সকল নবী (عليه السلام)এর ইমামতি করলাম।’’ 

➤ ইমাম মুসলিম : সহীহ : ফাদ্বায়েলে মূসা (عليه السلام) : ১/১৫৭ : হাদিস : ১৭৩, খতিব তিবরিজী : মিশকাতুল মাসাবীহ : ৩/২৮৭ : হাদিস : ৫৮৬৬,ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ২/৩৮৭ পৃ:, ইমাম তকি উদ্দিন সুবকী :শিফাউস-সিকাম : ১৩৫-১৩৮ পৃষ্ঠা, ইমাম সূয়ূতী : আল-হাভীলিল ফাতওয়া : ২/২৬৫পৃ:, ইমাম সাখাভী : কওলুল বদী : ১৬৮ পৃষ্ঠা, ইমাম মুকরিজী : ইমতাঈল - আসমা: ৮/২৪৯ পৃ:


বুঝা গেল যে সমস্ত নবীরাই তাদের কবরে জীবিত থাকার কারণে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপস্থিত হয়েছিলেন।

+++++++++++
আকায়েদে আহলে সুন্নাহ (১ম খন্ড)
(ফিতনা ফাসাদের মোকাবেলায় আমাদের সঠিক আক্বিদা)

গ্রন্থনা ও সংকলনে:
মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর
প্রকাশক, সাকলাইন প্রকাশক, বাংলাদেশ।

সম্পাদনায়:
মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন