মীলাদ মাহফিল জায়েয হওয়ার দলীলসমুহ

 

মীলাদ মাহফিল জায়েয হওয়ার দলীলসমুহ



১। মীলাদনুষ্ঠান পালন করা হুযূরে পাক (ﷺ) এর প্রতি আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করার এক উত্তম রীতি। এ আনন্দ ও খুশী জাহেরের দ্বরুন কুখ্যাত কাফের আবু লাহাব ও উপকৃত হয়েছে। যেমনঃ বোখারী শরীফে এ প্রসঙ্গে এসেছেঃ



انه خفف عن ابى لهب كل يوم الا ثنين سبب عتقه لثو يبة جاريته لما بشرته بولادة المصطفى صلى الله عليه وسلم-



অর্থাৎ কুখ্যাত আবু লাহাব হতে প্রতি সোমবার জাহান্নামের অগ্নি হালকা করা হয়, যেহেতু তার কৃতদাসী সুয়াইবিয়া কর্তৃক ভাতিজা মুহাম্মদ এর আগমনের সংবাদ জানানোর কারণে তাকে মুক্ত করে দিয়েছিলো। একথা কাব্যাকারে উপস্থাপন করেছেন হাফিজ শামছুদ্দিন মুহাম্মদ বিন নাছির দিমাশকী (رحمة الله)


 


اذا كان هذا كافرا جاء ذمه * بتبت يداه فى الجحيم مخلدا-


اتى انه فى يوم الاثنين دائما * يخفف عنه للسرور باحمدا-


فماالظن باالعبد الذى كان عمره * با حمد مسرورا ومات موحدا



অর্থাৎঃ আবু লাহাব কাফের হওয়ায় তার নিন্দায় সুরা লাহাব এমর্মে অবর্তীণ হয়েছিল যে, সে চির জাহান্নামী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার ব্যাপারে অত্যাশ্চর্য একটি ঘটনা আছে যে, প্রতি সোমবার তার থেকে প্রজ্জলিত অগ্নিশিখা হালকা করা হয়, কেবল আহমদী শুভাগমনের খুশী প্রকাশের দ্বরুন। তাহলে ঐ ব্যক্তির বেলায় কি অবস্থা হবে, যে সুদীর্ঘ জীবনে আহমদী শুভাগমনে খুশী যাহের করে একত্ববাদে মৃত্যু বরণ করে। রাসূলে পাক (ﷺ) নিজেই নিজের আগমনের দিনকে অত্যধিক সম্মান করতেন এবং এদিবসে তাঁর প্রতি খোদা প্রদত্ত সমুহ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতেন। যারা এভাবে শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে তিনি তাদেরকে মর্যাদায় ভুষিত করবেন। নবীদের জন্মানুষ্ঠানের শুকরিয়াকে কোন সময় রোজা পালনের মাধ্যমেও করা হতো্ যেমনঃ হাদীস শরীফে হযরত কাতাদাহ (رضي الله عنه) হতে একখানা হাদীস এসেছে, তিনি বলেছেনঃ



ان رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالَ ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ



অর্থাৎঃ হুযূরে পাক (ﷺ)কে সোমবার দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন: এ দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনে আমার উপর প্রথম কোরআন অবর্তীণ হয়। ইমাম মুসলিম (رضي الله عنه) এ হাদীসটি সহীহ মুসলিম শরীফের কিতাবুস সিয়াম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন।



আলোচ্য হাদীস হুযূরে পাকের মীলাদানুষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে থাকে। তবে মীলাদ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আকৃতি থাকলেও মূল অর্থ ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন তাতে রোজা দ্বারা পালন করা হোক বা খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে হোক, যিকরের আলোচনা মাহফিল হোক বা নবী (ﷺ) এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠের মাধ্যমে হোক অথবা মাহফিলের আয়োজন করে তাঁর শামায়েল শরীফ শুনানোর মাধ্যমে হোক তাতে কোন বৈপরিত্ব নেই।



৩। হুযূরে পাকা (ﷺ) এর আগমনের খুশী যাহের করা পবিত্র কুরআনে পাকের নিন্মোক্ত বাণী দ্বারা নির্দেশিত।



মহান আল্লাহ পাকের বাণীঃ



قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ



অর্থাৎঃ বলুন হে রাসূল! আল্লাহর ফজল ও করুনা এ দুটো দ্বারা তারা যেন খুশী যাহের করে। অতএব, মহান আল্লাহ পাক আমাদরেকে তাঁর রহমত দ্বারা খুশী যাহের করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ই হচ্ছেন সর্বোত্তম রহমত। যার প্রমাণ মিলে নিন্মোক্ত আয়াতে কারীমাতে وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ অর্থাৎঃ আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি।



৪। হুযূরে পাক (ﷺ) অতীত যুগের সময়োপযোগী বড় বড় ধর্মীয় ঘটনাসমুহ বর্ণনা করতেন। এবং বলতেন যখন এ দিবস গুলো আসবে তখন তোমরা তার আলোচনা করবে, এর যথার্থ সম্মান করবে। রাসূলে পাক (ﷺ) এ স্মরনীয় মহিমান্বিত কার্যাবলী নিজেই পালন করেছেন। যেমন: হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় পৌছলেন, তখন সেখানকার ইয়াহুদী গোষ্টিকে দেখতে পেলেন যে, তারা আশুরার দিনে রোজা রাখছে। তিনি তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, আমরা ঐ দিনে রোজা রাখার কারণ হলো, যেহেতেু মহান আল্লাহ পাক ঐ দিনে আমাদের নবী মুসা (عليه السلام) কে নীল দরিয়ার বিশাল তরঙ্গে ফেরাউনের আক্রমনএ থেকে রক্ষা করেছেন এবং ফেরাউন সহ তার বাহিনীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারেন। তাই এ নেয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ আমরা ঐ দিনে রোজা রাখি। তা শ্রবনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) , বললেনঃ



 نَحْنُ أَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ:، وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ



অর্থাৎ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরেকে লক্ষ্য করে বললেন: আমরা তোমাদের চেয়ে মুসা (عليه السلام) এর প্রতি অধিক হক্বদার। এর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেও রোজা রেখেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও রোজা রাখার নির্দেশ দেন।



৫। প্রচলিত ধারায় উদযাপিত মীলাদ মাহফিলের আয়োজন রাসূলে পাকের যুগে ছিলনা বিধায় সুত্র মতে তা বিদআতের আওতায় পড়ে যায় কিন্তু শরীয়াতের দলীলের আওতাভুক্ত হওয়ায় তাকে বিদআতে হাসানাহ বলা হয়েছে। আর কাওয়ায়িদে কুল্লীয়্যা তথা সাধারন নিয়মানুযায়ী তা বেদআত হয়েছে সামাজিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তবে একক নিয়মানুযায়ী নয়, যা রাসূলে পাকের যুগে কোন একজন পালন করেছেন পরবর্তীতে তা ইজমায় পরিনত হয়ে গেছে।



৬। মূলত: মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠের নিমিত্তে, যা নিন্মোক্ত বাণী দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ পাকের বাণীঃ



إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيماً .



অর্থাৎ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর ফেরেস্তাগন তাঁর নবীর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। অতএব, হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর উপর সালাত ও সালাম পাঠ করতে থাক।



একথা শতস্ফুর্ত যে, শরঈভাবে যা কিছু পাঠ করা হয় মূল তা শরীয়তে দলীল হিসেবে বিবেচিত হয়। অতএব, নবী করীম (ﷺ) এর প্রতি যতই দরুদ শরীফ পড়া হবে ততই নুবুওয়তী ফয়েজ দিলে আসতে থাকবে, মুহাম্মদী সাহায্য অনবরত আসতে থাকবে।



৭। মীলাদ শরীফ মূলত: হুযূরে পাকের জন্মালোচনাকে অন্তভূর্ক্ত করে এমনকি তাঁর মোজেযা, সীরাত এবং তাঁর পরিচয়কে অন্তভূর্ক্ত করে। অর্থাৎ: নবীজীর জন্মালোচনা, মোজেযা, সীরাত ও জীবনী আলোচনার সমন্বয়ে গঠিত মীলাদ।



৮। আমাদের জন্য উচিত রাসূলে পাকের পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়ার আশায় তাঁর গুনাবলী পরিপূর্ণভাবে বর্ণনা করা, তাঁর চরিত্র বর্ণনা করা। যেহেতু কবি সাহিত্যিকরা তাদেঁর কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে রাসূলে পাকের প্রশংসা জ্ঞাপন করে তাঁর নৈকট্যের ধারপ্রান্তে পৌছিয়েছেন পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের আমলের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করেছেন। সুতরাং ব্যক্তি যদি প্রশংসা সুচক কবিতা আবৃত্তি করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে তবে যারা তাঁর পবিত্র শামায়েলসমুহ সংগ্রহ করে তার প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কেন সন্তুষ্ট হবেন না? অতএব, বান্দাহ রাসূলে পাকের প্রতি সীমাতিরিক্ত সন্তুষ্টি ও ভালবাসা লাভের কারণে তাঁর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়ে থাকে।



৯। রাসূলে পাক (ﷺ) এর মু’জিযা ও শামায়েল সমুহের পরিচয় জানা সীমাতিরিক্ত ভালবাসা ও পরিপর্ূণ ঈমানদারের লক্ষন। সাধারন মানব-মানবা সৌন্দর্যের প্রেমে আকর্ষীত হোক চরিত্রে বা গঠনে অথবা ইলমে আমলে, অবস্থায় অথবা আকীদাগত দিক থেকে কিন্তু হুযূরে পাক (ﷺ) এর চরিত্র মাধুর্য্যতা, সৌন্দর্যতা আকর্ষনীয়তা চেয়ে কোন বিষয় অত্যধিক সৌন্দর্যমন্ডিত ও সুরভীত নয়। অতিরিক্ত ভালবাসা ও পরিপূর্ণ ঈমান দুটি শরীয়ত কর্তৃক আদিষ্ট বিষয় বিধায় এ দুটিই নৈকট্য লাভের মূল উৎস।



১০. রাসূলে পাকের তা’যীম তাকরীম করা শরীয়ত কর্তৃক প্রবর্তীত। বিশেষত: তাঁর আগমনের দিনে আনন্দ উল্লাস-খুশী যাহের করা, ভূজ অনুষ্ঠান করা, যিকরের মাহফিল করা, দরীদ্রদের খাদ্যদান করা হচ্ছে সর্বোত্তম তা’যীম, তাকরীম, আনন্দ, উল্লাস ও খুশী যাহের এবং আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার নামান্তর।



১১। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুমআর দিনের ফজিলত ও বৈশিষ্ট বণর্না করত: বললেন এ দিনে হযরত আদম (عليه السلام) জন্ম গ্রহণ করেন অর্থাৎ: এ দিনে তিনি অস্তিত্ব জগতে ফিরে আসেন বা তাঁর দেহ মোবারক তৈরী করা হয়। যে মোবারক সময়ে জন্মগ্রহণ করেছেন তা দ্বারা সাব্যস্থ হলো যে, নবীগনের আগমনের দিনই হচ্ছে মীলাদ অনুষ্ঠানের দিন। যদি তাই হয়, তবে যে দিন নবীউল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, মুহাম্মদ (ﷺ) জন্ম গ্রহণ করেছেন, সে দিনকে কেন আমরা ঈদ হিসেবে পালন করবো না। তা মূলত: শরীয়ত সম্মত ও যুক্তি সঙ্গত।



১২। মীলাদ শরীফ এমন একটি কাজ যাকে উলামায়ে কেরাম ও সকল মুসলমানগন উত্তম বলে রায় দিয়েছেন, যা শরীয়তের পঞ্চম দলীল মুস্তাহসান হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিম জনতা তা পালন করে আসছে এবং প্রতিটি দেশে তার আমল প্রবাহমান হয়ে আসছে।



আর উক্ত প্রমাণ হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) কতৃর্ক নিন্মে বর্ণিত হাদীসে মাওকুফ সুত্রে বর্ণিত হওয়ায় তা শরীয়ত সিদ্ধ।



রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ


 


فَمَا رَأوهُ الْمُؤْمِنُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدَ اللهِ حَسَنٌ ، وَمَا رَآهُ قَبِيحًا فَهُوَ عِنْدَ اللهِ قَبِيحٌ.



অর্থ: মুসলমান উলামায়ে কেরামগন যেটাকে উত্তম বলে মনে করেন, তা আল্লাহর নিকট উত্তম বলে বিবেচিত। অপর দিকে তারা সেটাকে নিকৃষ্ট বলে রায় দিয়েছেন, তা আল্লাহর কাছেও নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত। ইমাম আহমদ বিন হাজার (رحمة الله) তা বর্ণনা করেছেন।



১৩। মীলাদ মাহফিলে হুযূরে পাকের যিকরের বৈঠক, সাদক্বা খায়রাত, প্রশংসা ও তা’জীম কিয়াম প্রদর্শন করা হয়ে থাকে বিধায় তা সু্ন্নাত। আর উক্ত কার্যাদী শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রশংসনীয়। এবিষয়ে বহু বিশুদ্ধ হাদীসসমুহ বর্ণিত আছে এবং উক্ত আমলের প্রতি উদ্ভুদ্ধ হওয়ার ও উৎসাহ দিয়েছে।



১৪। মহান আল্লাহ পাক এরশাদ ফরমানঃ



وَكُـلاًّ نَّقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنبَاء الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهِ فُؤَادَكَ



অর্থাৎ: রাসূলগণের সংবাদ মধ্যকার কিছু কাহিনী আমি আপনার নিকট বর্ণনা করেছি, যাতে করে এর দ্বারা আমি আপনার অন্তকরণকে সুদৃঢ় করতে পারি। এ আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়ে গেলো যে, রাসূলগনের কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করার হেকমত হচ্ছে মূলত: হুযূরে পাক (ﷺ) এর অন্তকরণকে সুদৃঢ় রাখা। যদি তাই হয়, তবে আমরা ও আজ নবীগণের সংবাদ জানার মাধ্যমে আমাদের হৃদয় সুদৃঢ় রাখার প্রত্যাশী। আর এক্ষেত্রে সকল নবীগণের তুলনায় আমাদের নবী (ﷺ) এর আলোচনা জিন্দা রাখার মাধ্যমে আমাদের ক্বলব সুদৃঢ় রাখবো। তা ই যুক্তি নির্ভর কথা।



১৫। সলফে সালেহীনগণ যে কাজ করেননি বা যেটি ইসলামের প্রাথমিক যুগেও ছিলনা সেটা নিকৃষ্ট ও নিন্দনীয় বেদআত বটে। এ ধরনের কাজ করা সম্পুর্ণ হারাম বরং তাকে অস্বীকৃতি জানানোও অত্যাবশ্যক। আর যেগুলো শরঈ দলীলের উপর গঠিত হয়েছে তা মেনে নেয়া ওয়াজিব। যেমনঃ কোন কোনটি ওয়াজিব। কোনটি হারাম, যা মাকরূহের উপর গঠিত তা মাকরূহ, যা মুবাহ তা মুবাহ, অথবা কোনটি মুস্তাহাব হলে মুস্তাহাব হিসেবে পরিগণিত হবে।

_______________

আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)

মূলঃ ইমাম নূরুদ্দীন মুল্লা আলী কারী আল হারুবী (رحمة الله)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন