দুরুদ শরীফের ফযীলত

  

দুরুদ শরীফের ফযীলত


** হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন," যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করে, তার উপর আল্লাহ দশবার রহমত বর্ষণ করেন,আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি দশবার দুরুদ শরীফ পাঠ করে তার প্রতি আল্লাহ তায়ালা ১০০ বার রহমত নাযিল করেন। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি ১০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার দু'চক্ষুর মাঝখানে লিখে দেবেন যে,সে মুনাফিক্বী থেকে মুক্ত এবং জাহান্নাম

থেকে মুক্ত এবং আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন শহীদগণের সাথে তার আবাসস্থল করবেন।( ইমাম তাবরানী,মাসিক তরজুমান মাহে রজব - ১৪২৬হি:, পৃ:- ৭)।


** ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানী রহমাতুল্লাহি

আলাইহি হযরত আনাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু

থেকে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন; নবী করীম

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ

করেন," যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিনে ও

রাতে একশ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে,

আল্লাহ তায়ালা তার একশটি প্রয়োজন পূর্ণ করে দিবেন। তন্মধ্যে সত্তরটি হবে পরকালের আর বাকী ত্রিশটি হবে ইহকালের প্রয়োজন।

আল্লাহ তায়ালা এই জন্য একজন ফেরেস্তা

নিয়োগ দিয়েছেন। যিনি এই দুরুদ শরীফ নিয়ে

আমার কবরে ( রওজায়) এমনভাবে প্রবেশ

করে যেমনভাবে তোমাদের নিকট কেউ হাদিয়া - উপঢৌকন নিয়ে আসে। তিনি আরো

বলেন," নিশ্চয়ই আমার ইন্তেকালের পরেও

আমার ইলম সেই রকমই আছে, যেই রকম

জীবদ্দশায় ছিল।( আল - খাসায়েসুল কুবরা,

খন্ড - ২য়, পৃ:- ৪৯০, বিষয় ভিত্তিক মু'যিযাতুর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,পৃ:- ১৪৪, [উপরোক্ত হাদীস শরীফটি " ত্রিশটি হবে ইহকালের প্রয়োজন" পর্যন্ত নিম্নের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে - তাফসীরে দুররে মনসুর,খন্ড - ৬,পৃ:- ৬৫৪,নামাযের আহকাম ( হানাফী), 

পৃ:- ৩২২)।


** দু'জাহানের সুলতান,সারওয়ারে যীশান,

মাহবুবে রহমান, আযযা ও জাল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ফরমানে মাগফিরাত নিশান হচ্ছে," আমার উপর দুরুদ শরীফ পড়াটা পুলছিরাতের উপর নূর।

যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার উপর ৮০ বার

দুরুদে পাক পড়বে,তার ৮০ বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।( জামে সাগির,হাদীস নং-

৫১৯১,পৃ:-৩২০,নামাযের আহকাম (হানাফী),

পৃ:- ২৩৫)।


** তাজেদারে মদীনা হযরত মুহাম্মাদ

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ক্ষমাপূর্ণ বানী হচ্ছে," যে কিতাবে আমার উপর দুরুদ শরীফ লিখে, তবে যতদিন আমার নাম

ঐ কিতাবে থাকবে, ফিরিস্তারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে। ( মু'জামে আউসাত,

খন্ড - ১ম,হাদীস নং- ১৮৩৫  পৃ:- ৪৯৭ ও খাবারের ইসলামী নিয়মাবলী,  পৃ:- ৩৪৯)।


** আল্লাহর মাহবুব,অদৃশ্যের সংবাদ দাতা

নবী, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লাম এর জান্নাতরুপী ফরমান, "যে

ব্যক্তি আমার উপর প্রতিদিন হাজার বার

দুরুদে পাক পাঠ করলো,সে যতক্ষন পর্যন্ত

আপন ঠিকানা জান্নাতকে না দেখবে, ততক্ষন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবেনা।" ( আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব,খন্ড - ২য়, হাদীস নং- ২২, 

পৃ:- ৩২৮ ও রমযানের ফযীলত পৃ:- ২০৬)।


** সরকার দো - আলম, নূরে মুজাচ্ছাম, শাহে বনী আদম,রসূলে মুহতাশাম সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহান ফরমান," যে

ব্যক্তি দিনে ও রাতে আমার প্রতি ভালবাসা ও ভক্তি সহকারে তিন তিনবার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে,আল্লাহ তায়ালার উপর (নিজ বদান্যতায়); দায়িত্ব যে, তিনি যেন।তার ঐদিন ও ঐ রাতের গুনাহ মাফ করে।দেন।" 

(আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব,খন্ড - ২য়,পৃ:- ৩২৮ ও নামাযের আহকাম ( হানাফী), পৃ:- ১)।


** সারকারে মদীনা,সুলতানে বা - কারীনা,

করারে কলবো সীনা,ফয়যে গাঞ্জীনা,সাহিবে মুআত্তার পাসীনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রহমত বুনিয়াদ ইরশাদ হচ্ছে," যে ব্যক্তি কুরআনে পাক পাঠ করলো,আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করল এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করলো,এমনকি আপন প্রভূর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করল,তাহলে সে কল্যানকে তার স্থান থেকে খুঁজে নিল।( তাফসীরে দুররে মনসুর,খন্ড - ৮ম,পৃ:- ৬৯৮,নামাযের আহকাম (হানাফী), পৃ:- ১০৪)।


** উভয় জগতের সুলতান, সারওয়ারে

জীশান,মাহবুবে রহমান সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লাম এর মাগফিরাত নিশান ফরমান

হচ্ছে," যখন বৃ্হস্পতি বার আসে আল্লাহ

তায়ালা ফিরিশতাদেরকে প্রেরণ করেন যাদের হাতে রুপার কাগজ এবং স্বর্ণের কলম থাকে, তারা বৃহস্পতি বার দিন ও জুমার রাতে কে আমার উপর বেশী পরিমানে দুরুদে পাক পাঠ করে তাদের নাম লিখেন।( কানযুল উম্মাল,

খন্ড - ১ম, হাদীস নং- ২১৭৪,পৃ:- ২৫০ ও

নামাযের আহকাম ( হানাফী),পৃ:- ২১৮)।


** নবীদের সুলতান,রহমতে আলামিয়ান,

সারদারে দূ'জাহান,মাহবুবে রহমান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বরকতময় ফরমান," যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিন দুইশত বার দুরুদ শরীফ পাঠ।করবে,তার দুইশত বছরের গুনাহ মাফ হয়ে।যাবে। ( কানযুল উম্মাল,খন্ড - ১ম,হাদীস নং- ২২৩৮,

পৃ:- ২৫৬ ও নামাযের আহকাম।(হানাফী),

পৃ:-২৯৩)।


** বর্ণিত আছে যে, আরশের নিচে লিখা

আছে যে, আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, যে

আমার সন্তুষ্টি কামনা করে, আমি তাকে দয়া

করি।আর যে আমার কাছে চায়, আমি তাকে

দান করি এবং যে আমার মাহবুব সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ পাঠ করে আমার নৈকট্য অর্জন করতে চায়," গফারতা লাহু জুনুবাহু ওলাও কানাত মিছলা

যাবাদাতিল বাহর" অর্থাৎ আমি তার গুনাহ

ক্ষমা করে দিব। যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের

ফেনার সমপরিমান হয়। ( দালায়েলুল

খায়রাত,পৃ:- ১৩,গাউসিয়া তারবিয়াতি

নেসাব,পৃ:- ৫০৮)।


** হযরত উবাই ইবনে কা'ব রদ্বিয়াল্লাহু

আনহু বলেন যে,আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আরয করলাম

যে, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি আপনার উপর অধিক পরিমানে দুরুদ শরীফ পড়তে চাই,

এজন্য আমি কতটুকু সময় নির্ধারণ করবো?তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন - যতক্ষন তুমি পারো। তবে যদি আরো বেশি সময় নির্ধারণ করতে পারো,তবে তা তোমার জন্য অধিক কল্যানকর।তখন আমি আরয করলাম - আমি কি অর্ধেক সময় নির্ধারণ করবো? তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

তোমার খুশি,হ্যাঁ যদি আরো বেশি পড় তবে তোমার জন্য অধিক কল্যানকর।

তখন আমি আরয করলাম দুরুদ শরীফের জন্য আমি কি দুই তৃতীয়াংশ সময় নির্ধারন করব? হুযুর ইরশাদ করলেন - তোমার ইচ্ছা, হ্যাঁ যদি আরো বেশি সময় নির্ধারণ করতে পারো,তবে তা তোমার জন্য অধিক কল্যানকর। তখন আমি আরয করলাম যদি আমি সম্পূর্ণ সময় দুরুদ শরীফ পড়তে থাকি? তখন হুযুর রহমতে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, " যদি এমনটি করতে পারো অর্থাৎ সম্পূর্ণ সময় যদি দুরুদ শরীফ পড়তে পারো, তবে তোমার দ্বীন - দুনিয়ার সকল মকসুদ পূরা হয়ে যাবে এবং যাহেরী ও বাতেনী সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।( মুস্তাদরিক,কিতাবুত তাফসীর,বাবুল আকসার ওয়া আলাইয়াস সালাত,৩/১৯৮, হাদীস নং - ৩৬৩১; তিরমিযী শরীফ,মে'রাজের সফর ও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইলমে গায়েব,পৃ:- ২, কাদেরিয়া তরীকার শাজরাহ শরীফ ও সংক্ষিপ্ত অজিফা,

পৃ:- ৪৩ -৪৪)।


** দালায়েলুল খায়রাতের প্রণেতা হযরত

শেখ জাযুলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর

ইন্তেকালের সাতাত্তর বছর পর তাঁর দেহ

মুবারক " সাউস" হতে " মাররাকুশে" স্থানান্তরিত করার জন্য যখন কবর হতে বাহির করা হলো,তখন তাঁর কাফন মুবারক বিন্দুমাত্র পঁচিয়া যায়নি। তাঁহার দেহ মুবারক একেবারেই নিখুঁত ছিল।এমনকি একজন পরিক্ষামূলকভাবে  তাঁহার মুখমন্ডলে আঙ্গুল

রাখিয়া চাপ দিল। যখন আঙ্গুলটি উঠাইল,

তখন ঐ জায়গার রক্ত সরিয়া গিয়াছিল এবং

জায়গাটি সাদা হইয়া গিয়াছিল,যেমন জীবিত লোকদের শরীরে যেভাবে রক্ত।চলাচল করে এবং চাপ দিলে এ রকম হয়ে যায়।

এ সব অলৌকিক ব্যাপার সমূহ অধিক দুরুদ

শরীফের বরকতেই ঘটিয়াছে। ( মতালেউল

মাসাররাত,মুর্শীদে আযম গাউসুল আযম বড়পীর দস্তগীর হযরত শায়খ আবদুল ক্বাদির জীলানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু,পৃ:- ৩৪)।


** হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু

থেকে বর্ণিত হাদিসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন," আমার প্রতি দুরুদ প্রেরণকারী ব্যক্তি পুলছিরাতে নূর প্রাপ্ত হবে,আর যে পুলছিরাতের নূর প্রাপ্ত লোকদের অন্তুর্ভূক্ত

হবে - সে দোজখবাসীদের মধ্যে থাকবেনা।

( দালায়েলুল খায়রাত,পৃ:- ১০)।


** হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ

রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,প্রিয়নবী

হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম এরশাদ করেছেন," আমার নিকট

জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম এসে বললেন,হে

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আপনার উম্মতের কোন ব্যক্তি যদি আপনার

প্রতি দুরুদ শরীফ পেশ করে,তবে তার প্রতি

দুরুদ শরীফ প্রেরণ করে ৭০হাজার ফেরেশতাগণ।আর যার প্রতি ফেরেশতারা

দুরুদ প্রেরণ করে সে জান্নাতবাসীদের

অন্তর্ভূক্ত হবে। (দালায়েলুল খায়রাত,পৃ:- ১০)।


** প্রিয়নবী হুযুর আকরাম সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন," যে

আমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে দুরুদ শরীফ

পেশ করে, আল্লাহ পাক সেই দুরুদ শরীফ

দ্বারা একজন ফেরেশতা তৈরী করেন,যার

একটি পাখা থাকবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে

আর একখানি পাখা থাকবে পশ্চিম প্রান্তে,

তার পদযুগল জমীনের সপ্তম স্তরে (যা

সর্বনিম্ন স্তর) দন্ডায়মান হবে। আর তার গর্দান আরশের ছায়াতলে পৌঁছবে,আল্লাহ পাক সেই ফেরেশতাকে বলবেন, তুমি আমার বান্দার প্রতি দুরুদ প্রেরণ করতে থাকো,যেমন সে আমার নবী রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ শরীফ প্রেরণ করেছে। অত:পর সে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত সে ব্যক্তির প্রতি দুরুদ পেশ করতে থাকবে।

(দালায়েলুল খায়রাত,পৃ:- ১২)।


** হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন," যখন আল্লাহ

পাকের কোন বান্দা আমার প্রতি দুরুদ শরীফ

পাঠ করে,তখন তার মুখ থেকে দুরুদ শরীফ বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনতিবিলম্বে জল -

স্থল,পূর্ব - পশ্চিমের সকল পথ অতিক্রম করে

থাকে, আর বলতে থাকে আমি অমুকের পুত্র

অমুকের দুরুদ শরীফ। যা সে হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি

পাঠ করেছে। যিনি আল্লাহ পাকের সমগ্র

সৃষ্টি জগতের মাঝে সর্বোত্তম ব্যক্তি।তখন

সমগ্র সৃষ্টি জগতের মাঝে কোন কিছুই বাকি

থাকেনা,বরং সব কিছুই তার প্রতি দুরুদ প্রেরন করতে থাকে। আর সেই দুরুদ দ্বারা এমন একটি পাখি সৃষ্টি করা হয়,যার ৭০ হাজার ডানা থাকে,আর প্রতিটি ডানায় ৭০ হাজার পালক থাকে,আর প্রত্যেক পালকে ৭০ হাজার মাথা থাকে,আর প্রতিটি মাথায় ৭০ হাজার চেহারা থাকে,আর প্রত্যেকটি চেহারায় ৭০ হাজার মুখ থাকে,আর প্রত্যেকটি মুখে ৭০ হাজার জবান থাকে,আর প্রত্যেক জবান দ্বারা ৭০ হাজার ভাষায় আল্লাহ পাকের তাসবীহ পাঠ করতে থাকে,আর আল্লাহ পাক সে সমস্ত তাসবীহর সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন সেই দুরুদ পাঠকের জন্য। ( দালায়েলুল খায়রাত,

পৃ:- ১৪)।


** কোন মু'মিন পুরুষ কি নারী যখন হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ শরীফ পাঠ আরম্ভ করে,

তখন আসমানের দুয়ার এমনকি আরশ পর্যন্ত পর্দা সমূহ উন্মুক্ত করা হয়। তখন আসমানের সমস্ত ফেরেশতাগণ হযরত রসূলে করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ শরীফ পাঠ করে, কেউ এই মহান কাজ থেকে বঞ্চিত হয়না,আর আল্লাহর সেই বান্দা বা বান্দীর জন্য যতক্ষন আল্লাহ পাকের মর্জি

হয়,এস্তেগফার করতে থাকে। ( দালায়েলুল

খায়রাত,পৃ:- ১৬)।


** হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন,যার কোন কাজ

অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়, তার উচিত আমার

প্রতি অধিক পরিমানে দুরুদ শরীফ পাঠ করা।

কেননা, তা দূরীভূত করে সকল দু:খ দুর্দশা,

দুশ্চিন্তা এবং বিপদাপদ, আর রিয্ক বৃদ্ধি

করে দেয়,আর তার সকল প্রয়োজনের

আয়োজন করে।( দালায়েলুল খায়রাত,

পৃ:- ১৮)।


** জনৈক নেককার লোক বর্ণনা করেন,

তার একজন প্রতিবেশী ছিলো সে কিতাব লিখতো। এক সময় তার এন্তেকাল হলো, আমি স্বপ্নে তাকে দেখলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম আল্লাহ পাক তোমার সাথে কি ব্যবহার করেছেন? সে জবাব দিল: আল্লাহ পাক আমাকে মাফ করে দিয়েছেন। আমি পূনরায় জিজ্ঞাসা করলাম কি কারণে আপনাকে মাফ করে দিয়েছেন? সে জবাব দিল, যখন কিতাবে হুযুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম মুবারক আমি লিখতাম, তখন আমি তাঁর প্রতি দুরুদ শরীফ প্রেরণ করতাম; তারই বরকতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাকে এমন কিছু দান করেছেন যা কোন দিন কেউ চোখে দেখেনি, যার কথা কোন দিন কেউ কানেও শোনেনি,এমনকি কারো অন্তরেও এমন ভাবনার অবতারনা হয়নি। ( দালায়েলুল খায়রাত,পৃ:- ১৮)।


** হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লামের মহান দরবারে আরয করা

হলো,আমাদেরকে খবর দিন যে ব্যক্তি দূর

থেকে আপনার প্রতি দুরুদ প্রেরণ করে,আর যে আসবে আপনার পরে,আপনার মহান দরবারে তাদের কি অবস্থা হবে? প্রিয় নবী

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ

করলেন," আমার মহব্বত যাদের দিলে রয়েছে

তাদের দুরুদ শরীফ আমি শ্রবণ করি এবং আমি তাদেরকে জানি, তারা আমার অত্যন্ত

পরিচিত। এতদ্ব্যতীত অন্যদের দুরুদ শরীফ

আমার নিকট ফেরেশতাদের মাধ্যমে পেশ

করা হয়।( দালায়েলুল খায়রাত,পৃ:- ২২)।


** মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অনুষ্ঠান করলে এই আমলের দ্বারা এক বৎসর পর্যন্ত বিপদ - আপদ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং মাকসুদ ও উচ্চ বাসনা শ্রীঘ্র পূরণের সুসংবাদ ও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। নিয়ত পরিমানেই বরকত লাভ হয়।

(মিরআতুজ্জামান, প্রশ্নোত্তরে আকায়েদ

ও মাসায়েল শিক্ষা, পৃ:- ৯০)।



দুরুদ শরীফের ফযীলত ( দুরুদসহ)

________________

** দুরুদে তাজের ফযীলত :- এই দুরুদ শরীফ সকল দুরুদ থেকে শ্রেষ্ঠ বলে একে দুরুদে তাজ বা দুরুদ শরীফের মুকুট বলা হয়।

* এই দুরুদ শরীফ বৃহস্পতিবার দিনগত রাত্রে

এশার নামাযের পর ১০০ বার অথবা ১৮০ বার পাঠ করলে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখা যাবে। ইহা ফযরের নামায বাদ জায়নামাযে বসে ৭ বার পড়লে রুজীতে বরকত হয়। * কোন বন্ধ্যা স্ত্রী এই দুরুদ শরীফ ২১ টি শুকনা খেজুরে

প্রত্যেকটির উপর ১১ বার করে নিয়মিত এ দুরুদ শরীফ পাঠ করে দম দিয়ে ২১ দিনে ২১ টি খেজুর খেলে তার সন্তান লাভ হবে,

ইনশাআল্লাহ।

*ফজর নামায বাদ ৭ বার, আছর নামায বাদ ৩ বার,ইশার নামায বাদ ৩ বার করে নিয়মিত এ দুরুদ শরীফ পাঠ করলে পাঠকারীর হৃদয় পবিত্র হবে।

* প্রত্যহ একটি নির্দিষ্ট সময় ৪০ বার পাঠ করলে তার রুজীতে বরকত হবে এবং

সংসারে সুখ - শান্তি বৃদ্ধি পাবে।

* প্রত্যহ তাহাজ্জুদ নামাযের পর ৪০ বার পাঠ করে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলে স্বামী -

স্ত্রীর মধ্যেরর ভালবাসা গাঢ় হবে ইনশাআল্লাহ। * এই দুরুদ শরীফ নবী প্রেমিকদের গলার মালা ও জানের জান,কেননা, এই দুরুদ শরীফকে দুরুদে তাজ বলা হয়। অর্থাৎ ইহা হচ্ছে স্থায়ী মুকুট যা সর্বদা উদীয়মান থাকে।যখন দারিদ্র দূর হয় না, জীবিকার কোন ব্যবস্থা বা চাকরী না মেলার কারণে সম্মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়, তখন এ দুরুদে তাজ শরীফ প্রত্যেক নামাযের পর ৭ বার এবং এশার নামাযের পর ১০১ বার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাজির - নাযির জেনে পড়বে। দিনের বেলা চাকরির খোঁজে বের হবে এবং তিন দিন পর্যন্ত এরুপ করবে। তিন দিনের মধ্যে যদি চাকরির সংস্থান না হয় বা কোন উপায় বের না হয় তবে চতুর্থ দিন ফযরের পর থেকে এই দুরুদ পড়া শুরু করবে ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন পর্যন্ত না কেউ চাকরীর অথবা কাজের সুসংবাদ নিয়ে আসবে।



--------

দুরুদে তাজ নিম্নে বর্ণিত ( আরবীর বাংলা) :-


আল্লহুম্মা ছল্লি 'আলা ছাইয়িদিনা ওমাওলানা মুহাম্মাদিং চ্বহিবিত তাজি ওল মি'রজি ওল বুরাকি ওল 'আলাম,দাফি'য়িল বালাঈ ওল ওবাঈ ওল ক্বহাত্বি ওল মারাদ্বি ওল আলাম। ইছমুহু মাকতুবুম মারফু'উম মাসফু'উম

মাংকুশুং ফিল্লাওহি ওল ক্বলাম। ছাইয়িদিল

'আরাবী ওল 'আজাম,জিছমুহু মুক্বাদ্দাছুম মু'আত ত্বরুম মুত্বহ হারুম মুনাওওরুং ফিল বাইতি ওল হারম। শামছিদ্দুহা বাদরিদ্দুজা চ্বদরিল 'উলা নুরিল হুদা কাহফিল ওরা মিচবাহিয যুলাম। জামিলিস শিয়ামি শাফি'য়িল উমামি চহিবিল জুদি ওল কারম।

ওল্লহু 'আচ্বিমুহু ও জিব্রিলু খদিমুহু ওল বুরাক্বু

মারকাবুহু ওল মি'রজু ছাফারুহু ও ছিদরতুল

মুন্তাহা,মাক্বামুুহু ওক্ববা ক্বওছাইনি মাত্বলুবুহু

ওল মাত্বলুবু মাক্বচুদুহু ওল মাক্বচুদু মাওজুদুহু

ছাইয়িদিল মুরছালিনা খতামিন নাবিয়্যিন,

শাফি'য়িল মুযনাবিনা আনিছিল গরিবিনা রহমাতাল্লিল 'আলিমিন। রহাতিল আশিক্বিনা মুরাদিল মুসতাক্বিনা শামছিল 'আরিফিন।ছিরাজিচ্ছালিকিনা মিচ্ববাহিল মুক্বাররবিন। মুহিব্বিল ফুক্বারাঈ ওলগুরাবাঈ ওল ইয়াতামা ওল মাছাকিন। ছাইয়িদিছ ছাক্বালাইনি নাবিয়্যিল হারামাঈনি ইমামিল ক্বিবলাতাঈন। ওছিলাতিনা ফিদ্দারঈন।চ্বহীবি ক্ববা ক্বওছাঈনি মাহবুবি রব্বিল মাশরিক্বাইনি ওল

মাগরিবাইন। জাদ্দিল হাসানি ওল হুসাইন

(রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) মাওলানা ও

মাওলাচ্ছাক্বালাঈন। আবিল ক্বছিমী

মুহাম্মাদিবনি 'আবদিল্লাহ নূরিম মিন

নূরিল্লাহ,ইয়া আইয়ুহাল মুশতাক্বুনা বিনূরি

জামালিহী চ্বল্লু 'আলাইহি ও আলিহী ও

আচ্বহাবিহী ওছাল্লীমু তাছলিমা।

(হোসাইনী নামাজ শিক্ষা - কৃত:- মোহাম্মাদ

আবুল কাশেম রিজভী আল - ক্বাদেরী, পীর

সাহেব; নূর মদিনা দরবার শরীফ,শালদিঘা -

পূর্বধলা, নেত্রকোনা।পৃ:- ৭৫ - ৭৮)


** দুরুদে রেজভীয়া :- " চ্বল্লাল্লাহু 'আলান

নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ও আলিহী চ্বল্লাল্লাহু

'আলাইহি ও ছাল্লামা চ্বলাতাঁও ওছালামান

'আলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ"।

______________

দুরুদে রেজভীয়ার ফযীলত :- জুমা'আর

নামাযের পর একা / জামাতের সাথে মদীনা

শরীফের দিকে মুখ করে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে

১০০ বার এই দুরুদ শরীফ পাঠ করবেন। যেখানে জুমু'আ না হয়, জুমু'আর দিন যোহর / আসরের পর পড়বেন। যদি কেউ সাথে না থাকে তবে একা পড়বেন। মহিলারা ঘরের ভেতরে পড়বেন। জুমু'আর নামাযের পর সুযোগ - সুবিধা / পড়ার মত পরিবেশ না থাকলে আসরের পর পড়বেন।

এর চল্লিশটি উপকারিতা আছে।সামান্য কিছু

বর্ণনা করা হল।যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ভালবাসা রাখে,অন্তরে নবীজির মর্যাদা সারা জাহানের চেয়ে বেশি রাখে এবং নবীর শান - মান যারা কম রাখে তাদের থেকে দূরে থাকে, অন্তর দ্বারা অসন্তুষ্ট থাকে - এমন যে কোন খাঁটি সুন্নী মুসলমান এই দুরুদ শরীফ পড়বে তার জন্য অসংখ্য ফায়দা আছে।যার সামান্য কিছু নিচে বর্ণিত হল।

 ১// এই দুরুদ পাঠকারীর জন্য আল্লাহ ৩০০০ রহমত পাঠাবেন।

 ২// এই ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা ২০০০ হাজার বার সালাম পাঠাবেন।

৩// তার আমলনামায় ৫০০০ নেকী লিখে

দিবেন।

 ৪// তার ৫০০০ গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

 ৫// কিয়ামতের দিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার

সাথে মুসাফাহা করবেন। 

৬// তার মাথায়লিখে দেওয়া হবে যে," সে মুনাফিক নয়"।

 ৭//তার মাথাও এও লিখে দেওয়া হবে যে," সে জাহান্নাম থেকে মুক্ত"। 

৮// আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন শহীদদের সাথে রাখবেন।

৯// তার মাল সম্পদে উন্নতি হবে। 

১০// তার আওলাদ,সন্তান/সন্ততির মধ্যে বরকত হবে।

১১// মানুষের অন্তরে তার জন্য ভালবাসা

বিরাজ করবে।

১২//শত্রুদের উপর তাকে বিজয় দান করবে। ১৩// কোন না কোন দিন স্বপ্নে নবীজির দিদার লাভ করবে।

১৪// ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করবে। 

১৫// কিয়ামতের দিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত তার উপর ওয়াজিব হবে।

১৬// আল্লাহ তায়ালা তার উপর এমন রাজি হবেন কখনো নারাজ হবেন না।

১৭// আলা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সকল সুন্নী মুসলমমানদের এই দুরুদ শরীফ পড়ার অনুমতি প্রদান করেছেন এই শর্তে যে, সে বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা ও নবী দুশমনদের থেকে বেঁচে থাকবে। (হোসাইনী নামায শিক্ষা,পৃ:- ৭৯ - ৮০)।


{৭২} দুরুদে নারিয়ার ফযীলত :- * কোন লোক

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে তাহাজ্জুদ নামাযের পর নির্জন স্থানে বসে একাগ্রতার

সাথে দুরুদে নারিয়া ২৭ বার পাঠ করে

আল্লাহর দরবারে দোয়া করলে, আল্লাহ কবুল

করেন ও তার মনের বাসনা পূরণ করেন।

* কোন মারাত্মক রোগাক্রান্ত হলে কিছু পরহেজগার আলেম একত্রিত করে এ দুরুদ ৪৪৪৪ বার পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে উক্ত।দোয়া কবুল হয় ও রোগ ভাল হয়।* প্রত্যহ ফযর ও আসর নামাযের পর ১১ বার এ দুরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় সকল কাজ মঙ্গলজনক হবে।

-------- + --------

দুরুদে নারিয়া ( আরবীর বাংলা) :-

 আল্লহুম্মা চ্বল্লি চ্বলাতাং কামিলাতাঁও ওছাল্লিম

ছালামাং তা - ম্মান 'আলা ছাইয়িদিনা

মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহিল 'উক্বাদু ও তাংফারিজু বিহিল কুরাবু ও তুক্বদ্বি বিহিল ' হাওয়ায়িজু ওতানালু বিহির রগায়িবু ও'হুছনুল খওয়াতিমু ওইয়াছতাছক্বাল।গমামু বিওজহিহিল কারিম। ও'আলা আলিহী ও

আচ্ব'হাবিহী ফি কুল্লি লামহাতিঁও ও

নাফাছিম বি'আদাদি কুল্লি মা'লুমিল্লাক।

(দুরুদ পড় নবীর নামে,শাফায়াত করবেন

আখেরাতে,পৃ:- ৩৮৭ - ৩৮৮)।


** দুরুদে ছাইফুল্লাহর ফযীলত:- 

কোন বিপদ - আপদের আশংকা হলে বা কোন বিপদে পতিত হলে এ দুরুদ শরীফ পড়লে বিপদ দূর হয়ে যাবে এবং শত্রুতা হতে মুক্তি পাবে। হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এক উপাধি হচ্ছে ছাইফুল্লাহ।

------ + ------

দুরুদে ছাইফুল্লাহ :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিং ছাইফিল্লাহিল।ক্বতি'য়ি ও আলিহী ও ছাল্লিম। ( দুরুদ পড় নবীর নামে, শাফায়াত করবেন আখেরাতে,পৃ:- ৩৮৯)।


** দুরুদে মাহীর ফযীলত :- দৈনিক একটি

দীঘি বা নদীর পাড়ে গিয়ে মনোযোগ সহকারে অনেক লোক একত্রিত হয়ে এ দুরুদ শরীফ পাঠ করতে থাকবে। এ নিয়মে একুশ দিন

যাবত এ দুরুদ শরীফ এক লক্ষ পঁচিশ হাজার

বার পাঠ করবে। প্রতিদিন পূর্ব দিনের থেকে

কিছু বেশী পাঠ করতে হবে।

এভাবে পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালার রহমতে

যে কোন কঠিন ব্যাধি ভাল হবে। কিন্তু

প্রতিদিন পাঠ শেষে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করবে। যে ব্যক্তি ফযরের নামাযের

পরে তিনবার পাঠ করবে আল্লাহর ইচ্ছায় তার

কোন প্রকার অসুখ হবে না।

____

দুরুদে মাহী :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

মুহাম্মাদিন খইরিল খলায়িক্বি আফদ্বলিল

বাশারি শিফি'য়িল উম্মাতি ইয়াওমিল

হাশরি ওন্নাশরি,ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিম

বি'আদাদি কুল্লি মা'লু মিল্লাক। ও চ্বল্লি

'আলা জামি'য়িল আম্বিয়াই ওল মুরছালিন।

ওল মালাঈকাতিল মুক্বাররবিন, ও'আলা

'ইবাদিল্লাহিচ্ব চ্বলিহীন। ওরহামনা মা'আহুম; বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন। ( দুরুদ পড় নবীর নামে, শাফায়াত করবেন আখেরাতে,পৃ:- ৩৯০ - ৩৯১)।


** দুরুদে গাউছিয়া - এর ফযীলত ও আমল :-

দুরুদে গাউছিয়া ঐ দুরুদ শরীফ যা দিয়ে শায়খ আবদুল কাদির জীলানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর অযীফাকে সমাপ্ত করেছেন।"

মুতালায়াতুল মাছেরাত" কিতাবে লেখা

আছে, বিশিষ্ট আউলিয়ায়ে কেরাম মন্তব্য

করেছেন,যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকাল ও সন্ধায় এ

দুরুদ শরীফ ১০ বার করে পাঠ করবে,আল্লাহ

পাকের নৈকট্য লাভে সে ব্যক্তি ধন্য হবে।

আর আল্লাহ পাকের রহমত তার প্রতি এত

অধিক পরিমানে নাযিল হবে যার কোন হিসেব

নেই। মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে যাবতীয়

অশুভ ও অকল্যান হতে নিরাপদে রাখবেন।

সবচেয়ে বড় কথা হলো এই যে, এ দুরুদ পাঠে

যাবতীয় সমস্যার সমাধান মিলবে এবং

প্রত্যেকটি মুশকিল ও জটিল কাজের সমাধান

গায়েব থেকে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

_____

দুরুদে গাউছিয়া :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদানিছ ছাবিক্বি লিলখলক্বি নূরুহু ওরহমাতিল লিল'আলামিন।

যুহুরুহু 'আদাদা মাম মাদ্বা মিন খলক্বিকা

ওমাম বাক্বিয়া ওমাং ছা'য়িদা মিনহুম

ওমাং শাক্বিয়া চ্বলাতাং তাছতাগরিক্বুল

'আদ্দা ওতুহুত্বু বিহিল হাদ্দা চ্বলাতাল লা

গইয়াতালাহা ওলা মুংতাহা ওলাল ক্বিদ্বায়া, চ্বলাতাং দায়িমাতাম বিদাওয়ামিকা ও'আলা আলিহী ওচ্বহবিহী ও ছাল্লিম তাছলিমাম মিছলা যালিক।( দুরুদ পড় নবীর নামে,

শাফায়াত করব্দন আখেরাতে,পৃ:- ৩৯৭ - ৩৯৮)।


** এগারো হাজার দুরুদের সওয়াব:-

নিম্নোক্ত দুরুদ শরীফ একবার পাঠ করলে

১১০০০ বার দুরুদ পাঠের সওয়াব অর্জিত হয়।(হাকেমে সূয়ুতি)।

____

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিঁও ও'আলা আলিহী

চ্বলাতান আংতা আহলুন ওহুয়া লাহা আহলুন।

( দুরুদ পড় নবীর নামে, শাফায়াত করবেন

আখেরাতে,পৃ:- ৪১৪)।


** শাফায়াত প্রাপ্তির দুরুদ শরীফ, ফযীলত:-

হযরত রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম বলেছেন," যে ব্যক্তি এ দুরুদ শরীফ

পাঠ করবে,তার জন্য আমার শাফায়াত

ওয়াজিব ও জরুরী হবে।( তিরমিযী)।

-----------

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্না ছল্লি 'আলা মুহাম্মদিঁ

ও'আলা আলি মুহাম্মাদ, ওআংযিলহুল

মাক্ব'আদাল মুক্বাররবা 'ইংদাক।( দুরুদ পড়

নবীর নামে, শাফায়াত করবেন আখেরাতে,পৃ:-

৪৪০)।


** দুরুদে নূরুন 'আলা নূর ( দুরুদে ৮০ বৎসরের গুনাহ মাফের উপায়):- যে ব্যক্তি জুমাবারে আছরের নামাযের পর ৮০ বার এই দুরুদ পাঠ করবেন,আল্লাহ পাক তার ৮০ বৎসরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।

 ( আল - ক্বওলুল বদী,পৃ:- ১৯৬)।

--------

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল

উম্মিয়্যি ও'আলা আলিহী ওছাল্লিম।

( দুরুদ পড় নবীর নামে, শাফায়াত করবেন আখেরাতে,পৃ:- ৪৯২)।


** দুরুদে ভূলে যাওয়া নিবারণের উপায়:-

মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে এই দুরুদ

শরীফ পাঠ করলে তার স্বরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।

( আফদালুচ্ছালাত)।

--------

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্মাচ্বল্লি ওছাল্লিম

বারিক 'আলা ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিনিন

নাবিয়্যিল কামিলি ও'আলা আলিহী কামা

লা নিহাইয়াতা বিকামালিকি ও'আদাদা

কামালিহি।(দুরুদ পড়ড় নবীর নামে,শাফায়াত

করবেন আখেরাতে,পৃ:- ৪৯৬)।


** দুরুদে ১৪০০০ দুরুদ শরীফের সওয়াব :- এই দুরুদ শরীফ একবার পাঠ করলে ১৪০০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠের সওয়াব পাওয়া যায়।

(আফদালুচ্ছালাত,পৃ:- ১৮৬)।

--------

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি ওছাল্লিম

ওবারিক 'আলা ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিঁও

ও'আলা আলিহী 'আদাদা কামালিল্লাহি

ওকামা ইয়ালিক্বু বিকামালিহী।( দুরুদ পড়

নবীর নামে,শাফায়াত করবেন আখেরাতে,পৃ:-

৪৯৮)।


** দুরুদে তুনাজ্জিনা ও এর ফযীলত :- "

মানাহেজুল হাসানাত শরহে দালায়েলুল

খায়রাত" এর মধ্যে লিখিত আছে যে,হযরত

ইবনে ফাকেহানী স্বীয় কিতাব," ফজরে

মুনীর" এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন যে, এক বুযুর্গ

ব্যক্তি শেখ সালেহ মুসা নাবীনা ( অন্ধ)

ছিলেন।তিনি স্বীয় ঘটনা আমার কাছে

উল্লেখ করেছেন যে,একটি জাহাজ সাগরে

ডুবতে লাগলো, তার মধ্যে আমিও ছিলাম এমন সময় আমার তন্দ্রার ভাব হলো এমতাবস্থায় দেখতে পেলাম হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেনএই দুরুদ শরীফ যেন এক হাজার বার পড়ে।আমরা মাত্র তিনশ বার পড়লাম তখন জাহাজ ডুবন্ত অবস্থা থেকে বেঁচে গেল আর আমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলাম। এই দুরুদ শরীফের নাম নাজিয়া,এটাকে দুরুদে নাজাতও বলা হয়।

--------------

দুরুদ তুনাজ্জিনা :- আল্লহুম্মা ছল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদ চ্বলাতাং তুনাজ্জিনা

বিহা মিং জামি'য়িল আহওয়ালি ওল

আফাতি ওতাক্বদ্বিলানা বিহা জামি'য়িছ

ছাইয়িয়াত, ওতারফা'উনা বিহা 'ইংদাকা

আ'লাদ দারাজাত,ওতুবাল্লিগুনা বিহা

আক্বচল গইয়াতি মিং জামি'য়িল খইরাতি

ফিল হায়াতি,ওবা'দাল মামাতি ইন্নাকা

'আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদির। ( কাদেরিয়া

তরিকার শাজরা শরীফ ও সংক্ষিপ্ত

অজিফা,পৃ:- ৪৭)।


** ছয় লক্ষ দুরুদ শরীফের সওয়াব :-

দুরুদ শরীফ:- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা ও মাওলানা মুহাম্মাদিন

'আদাদা মা ফি 'ইলমিল্লাহি চ্বলাতাং দা

ঈমাতাম বিদাওয়ামি মুলকিল্লাহ।

--------

হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, এই দুরুদ

শরীফ একবার পড়িলে ছয় লক্ষ দুরুদ শরীফের সওয়াব পাওয়া যায়। ( সাদাতুদ্দারাইন - রচিত:- আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি রদ্বিয়াল্লাহু আনহু,ও মুর্শীদে আযম গাউসুল আযম " বড়পীর দস্তগীর" হযরত শায়খ আবদুল ক্বাদির জীলানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু,পৃ:- ৩৭,দুরুদ পড় নবীর নামে শাফায়াত করবেন আখেরাতে,

পৃ:- ৪১৫)।


** এক  হাজার দিন নেকীর সওয়াব :-

ফরমানে মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম, " যে ব্যক্তি এটা বলে " জাযাল্লাহু,'আন্না মুহাম্মাদাম মা হুয়া আহলুহু

"- ৭০ জন ফিরিশতা তার জন্য এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখতে থাকে।( তিবরানী, দুরুদ পড় নবীর নামে, শাফায়াত করবেন

আখেরাতে,পৃ:- ৪৯৭,নামাযের আহকাম

( হানাফী), পৃ:- ৩৬৮)।


** দালায়েলুল খায়রাত দুরুদ শরীফের

প্রসিদ্ধ ও মকবুল কিতাব। এই কিতাব লিখার

কারণ হলো, একদা আল্লামা মুহাম্মাদ

সুলায়মান জাযুলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জোহরের নামাজের জন্য অজু করতে চাইলেন কিন্তু কূপে পানি তোলার কোন উপকরণ না থাকায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পাশে উঁচু স্থান থেকে ৮/৯ বছরের এক ছোট্ট মেয়ে তাঁর অস্থিরতা দেখে জিজ্ঞেস করে আপনি কে? তিনি তার পরিচয় দিয়ে তাঁর সমস্যার কথা তাকে বলেন। মেয়েটি বলল - আপনি তো এমন লোক যাঁর সৎ কাজের মানুষ অনেক প্রশংসা করে আর আপনি কূপ থেকে পানি বের করার চিন্তায় অস্থির? মেয়েটি এসে কূপে থুথু নিক্ষেপ করল,সাথে সাথে পানি ফুলে উঠে মুখ পর্যন্ত এসেছে। শায়খ অজু করে নামাজ পড়ে মেয়েটিকে ডেকে আল্লাহ ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 'র শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করেন যে, সে এই মরতবা কিভাবে অর্জন করল। মেয়েটি উত্তরে বলল - আপনি যদি এত বড় শপথ না দিতেন তাহলে আমি এর রহস্য আপনাকে বলতাম না। আর এর কারণ হলো - আমি সর্বদা :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা মুহাম্মাদিঁও ও 'আলা আলী মুহাম্মাদিং চ্বলাতাং দা ইমাতাম মাক্ববুলাতাং তুওয়াদ্দি বিহা 'আন্না হাক্কুহুল 'আযীম"। এই দুরুদ শরীফের ওয়াযিফা পাঠ করার ফলে আমার এই মর্তবা অর্জন হয়েছে। শায়খ ঐ মেয়ে থেকে এই দুরুদ পাঠের এজাযত বা অনুমতি নেন এবং তাঁর মনে আগ্রহ জন্মেছে যে, দুরুদ শরীফের উপর সর্বজন স্বীকৃত ও গ্রহনযোগ্য একখানা কিতাব রচনা করবেন। অত:পর তিনি" দালায়েলুল খাওয়রাত" নামক বহু পরীক্ষিত মকবুল গ্রন্থ রচনা করেন। (দালায়েলুল খায়রাত এর পটভূমি,পৃ:- ২,আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, জামে কারামাতে আউলিয়া(উর্দু), পৃ:- ৬৯৪,বিষয় ভিত্তিক কারামাতে আউলিয়া,পৃ:- ৮৩ - ৮৪)।


** আবুল হাসান শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি

আলাইহি বলেন,আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখে নিবেদন করলাম,ইয়া রসূলাল্লাহ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমাম শাফেয়ী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর কিতাবে লিখেছেন," ও চ্বল্লাল্লহু 'আল্লা মুহাম্মাদিং কুল্লামা যাকারাহুয যা কিরুন,

ওগাফালা 'আন যিকরিহিল গফিলুন"।

অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর রহমত করুন যতবার স্বরণ করে তাকে স্বরণকারীগণ এবং তাঁর স্বরণ থেকে গাফেল হয় গাফেল লোকেরা"।এর বদলে সে আপনার নিকট থেকে কি পেয়েছে? তিঁনি বললেন," সে আমার পক্ষ হতে এই পেয়েছে যে, ক্বিয়ামতের ময়দানে তাকে হিসাবের জন্য দাঁড় করানো হবে না।( অর্থাৎ বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে)।( ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন,পৃ:- ২৮১)।


** সুলতান মাহমুদ গজনবী আলাইহির রাহমাহ একবার দরবারে উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন,যে ব্যক্তি এ দুরুদ শরীফ একবার পড়লো, সে যেন দশ হাজার বার দুরুদ শরীফ পড়লো। সুতরাং আমি তিনবার রাতের প্রথমভাগে এবং তিনবার শেষ রাতে ওঠে এ দুরুদ শরীফ নিয়মিতভাবে পড়ে থাকি। এভাবে আমি দিনে ষায় হাজার দুরুদ শরীফ হিসাব করে থাকি।

--------------

দুরুদ শরীফ :-আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিম মাখতালাফাল

মালাওয়ানি ওতা'আক্ববাল 'আচরনি ও কাররল জাদিদান। ওছতাক্বল্লাল ফারক্বদানি ও বাল্লিগ রুহাহু ও আরওয়াহা আহলি বাইতিহী মিন্নাত তাহিয়্যাতা ওছ ছালামা ও বারিক ও ছাল্লিম 'আলাইহি কাছিরান।(তাফসীরে রুহুল বয়ান,খন্ড - ৭ম, পৃ:-৩৩৪,

আসল বেহেশতের সোপান,পৃ:- ২২৬, দুরুদ পড় নবীর নামে,শাফায়াত করবেন আখেরাতে,পৃ:- ৪৫১ ও মাসিক তরজুমান মাহে রমজান - ১৪৩৩ হি:, পৃ:- ১১)।


** মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম এরশাদ করেছেন, নিম্নোক্ত দুরুদ

শরীফ যে নিয়মিত পাঠ করবে সে আমার

দিদার দ্বারা ধন্য হবে।

----------- -------

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি ও ছাল্লিম

'আলা রুহি ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিং ফিল

আরওয়াহি ও'আলা জাছাদিহী ফিল

আছজাদি ও'আলা ক্ববরিহী ফিল ক্বুবুর।

( কাশফুল গুম্মাহ ও ক্বওলুল বদী,মাসিক

তরজুমান মাহে রমজান - ১৪৩৩হি:, পৃ:- ৬০)।


** যে ব্যক্তি শুক্রবারে ভক্তি - মহব্বত

সহকারে এক হাজার বার নিম্নলিখিত দুরুদ

শরীফ পাঠ করবে, সে নবীজির দীদার লাভে

ধন্য হবে।

---------------

দুরুদ শরীফ :- আল্লহুম্মা চ্বল্লি 'আলা

ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবীয়্যিল

উম্মিয়্যি ও'আলা আলিহী ও আসহাবিহী ও

বারিক ও ছাল্লিম।( জযবুল ক্বুলুব,মাসিক

তরজুমান মাহে রমজান -১৪৩৩ হি:- পৃ:- ৬০)।

__________________

ফয়যানে শরিয়ত ও মারফত (আমলের ভান্ডার)

লেখক : মুহাম্মাদ আবদুল কাদির মাহী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন